গরমকাল চলছে। এ সময় নানা রোগের ঝুঁকি বাড়ে। সুস্থ থাকতে তাই হালকা ধরনের খাবার খাওয়াই ভালো। গরমের দিনে বাড়িতে তৈরি করতে পারেন এমন কয়েক পদের রেসিপি দিয়েছেন আফরোজা খানম মুক্তা
পাঁচমিশালি সবজি
উপকরণ: পেঁপে ২০০ গ্রাম, চালকুমড়া অর্ধেকটা, মিষ্টি কুমড়া ১ ফালি, আলু ২টি, ঝিঙে ১টি, পেঁয়াজ কুচি ২ টেবিল চামচ, কাঁচা মরিচ, লবণ ও চিনি স্বাদমতো, আদা ও রসুন বাটা ১ চা চামচ, হলুদ, মরিচ, ধনিয়া গুঁড়া ১ চা চামচ করে, জিরা গুঁড়া ও পাঁচফোড়ন ১ চা চামচ, ধনেপাতা কুচি ২ টেবিল চামচ, সয়াবিন তেল ৪ টেবিল চামচ।
প্রস্তুত প্রণালি: আলু, পেঁপে, চালকুমড়া, মিষ্টি কুমড়া, ঝিঙেসহ সব সবজির খোসা ফেলে নিখুঁতভাবে চারকোনা করে কেটে নিন। এবার আলু, পেঁপে একসঙ্গে রাসুন। কড়াইতে সয়াবিন তেল গরম হলে পাঁচফোড়ন আর কাঁচামরিচের ফোড়ন দিন। তারপর পেঁয়াজ কুচি সামান্য ভেজে আদা ও রসুন বাটা, হলুদ মরিচ, ধনিয়া গুঁড়া, লবণ দিয়ে কষিয়ে নিন। আলু, চালকুমড়া দিয়ে ৭-৮ মিনিট রান্না করুন। পরে মিষ্টি কুমড়া, ঝিঙে দিয়ে রান্না করুন। সব সবজি সেদ্ধ হলে পাঁচফোড়ন, জিরা গুঁড়া, কাঁচামরিচ, চিনি, ধনেপাতা কুচি দিয়ে নেড়ে নামিয়ে নিন। হয়ে গেল পাঁচমিশালি সবজি।
ঝিঙে শুক্তো
উপকরণ: ঝিঙে ৫০০ গ্রাম, করলা ১০০ গ্রাম, পেঁয়াজ কুচি ২ টেবিল চামচ, শুকনা মরিচ ২টি, মেথি ও কালিজিরা ২ চা চামচ, পোস্তদানা বাটা ২ টেবিল চামচ, হলুদ গুঁড়া সামান্য, আদা ও রসুন বাটা ১ চা চামচ, সরিষার তেল ৪ টেবিল চামচ, কাঁচামরিচ ৫-৬টি, লবণ ও চিনি স্বাদমতো, ঘি ১ টেবিল চামচ।
প্রস্তুত প্রণালি: পোস্তদানা পানিতে ভিজিয়ে রাখুন ১০ মিনিট। পরে ছেঁকে নিন। এবার কাঁচামরিচ ও লবণ দিয়ে মিহি করে বেটে নিন। কড়াইতে সরিষার তেল কম হলে মেথি ও কালিজিরা, শুকনা মরিচের ফোড়ন দিন। ফ্রাইপানে করলা, লবণ ও হলুদ মাখিয়ে সামান্য ভেজে রাসুন, ফোড়নের কড়াইতে পেঁয়াজ কুচি, আদা ও রসুন বাটা, হলুদ, পোস্তদানা বাটা দিয়ে কষিয়ে নিন। পরে ঝিঙে ও করলা ভাজা দিয়ে নেড়ে রান্না করুন সেদ্ধ হওয়ার আগ পর্যন্ত। এরপর লবণ দেখে ঘি দিয়ে নেড়ে নামিয়ে নিন। তৈরি হয়ে গেল ঝিঙে শুক্তো।
থানকুনি পাতার ভর্তা
উপকরণ: থানকুনি পাতা এক আঁটি, পেঁয়াজ কুচি এক কাপ, কাঁচামরিচ কুচি ২ টেবিল চামচ, লবণ স্বাদমতো, সরিষার তেল পরিমাণমতো, লেবুর রস চা চামচ।
প্রস্তুত প্রণালি: থানকুনির ডাঁটা ফেলে শুধু পাতা নিন। পানি ঝরিয়ে মিহি কুচি করে কেটে নিন। পেঁয়াজ কিউব করে কেটে নিন। একটি বাটিতে পেঁয়াজ কুচি, কাঁচামরিচ কুচি, ধনেপাতা কুচি, লবণ, লেবুর রস দিয়ে চটকে নিন। তারপর থানকুনি পাতার কুচি দিয়ে আবারও চটকে নিয়ে সরিষার তেল দিয়ে ভালো করে মাখিয়ে নিন। তৈরি হয়ে গেল থানকুনি পাতার ভর্তা।
কই পোস্ত
উপকরণ: বড় কই ডিমসহ ৬টি, পোস্তদানা বাটা ২ টেবিল চামচ, আদা ও রসুন বাটা ১ চা চামচ, হলুদ-মরিচ-ধনিয়া গুঁড়া ১চা চামচ করে, কাঁচামরিচ ফালি ৬-৭টি, সরিষার তেল ৪ টেবিল চামচ, কালিজিরা ২ চা চামচ, লবণ স্বাদমতো।
প্রস্তুত প্রণালি: পোস্তদানা ১০ মিনিট ভিজিয়ে রেখে পানি ছেঁকে নিন। পরে কাঁচামরিচ আর লবণ দিয়ে মিহি করে বেটে নিন। লবণ ও হলুদ দিয়ে কই মাছ মাখিয়ে ফ্রাইপ্যানে হালকা করে ভেজে নিন। অন্য কড়াইতে কালিজিরা ফোড়ন দিয়ে পেঁয়াজ কুচি বাদামি করে ভেজে নিন। তারপর আদা ও রসুন বাটা, হলুদ, ধনিয়া, মরিচ, জিরা গুঁড়া, লবণ আর সামান্য পানি দিয়ে কষিয়ে নিন। পরে পোস্ত বাটা দিয়ে কষিয়ে ভেজে রাখা মাছ দিয়ে নেড়ে আবার পানি দিয়ে ঢাকনাসহ রান্না করুন। সব শেষে কাঁচামরিচ ফালি আর কাঁচা সরিষার তেল দিয়ে কম তাপে রান্না করে নামিয়ে নিন। তৈরি হয়ে গেল দারুণ স্বাদের কই পোস্ত।
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: ও রস ন ব ট স ব দমত লবণ দ লবণ ও
এছাড়াও পড়ুন:
মুঘল ঐতিহ্যের মিষ্টি নিয়ে যাত্রা শুরু করল ‘হেরিটেজ সুইটস’
মুঘল ঐতিহ্যের মিষ্টি নিয়ে রাজধানীর বসুন্ধরা আবাসিক এলাকায় আনুষ্ঠানিকভাবে যাত্রা শুরু হলো ‘হেরিটেজ সুইটস’-এর। মঙ্গলবার (২৭ মে) বসুন্ধরা আবাসিকের সি ব্লকে (আপন মার্ট-২-এর পাশে) ‘হেরিটেজ সুইটস’-এর আউটলেট উদ্বোধন করা হয়।
মুঘল সম্রাটদের রাজসভা ও উৎসবের অবিচ্ছেদ্য অংশ ছিল বাহারি ও সুস্বাদু মিষ্টান্ন। সেই ঐতিহ্যকে ধারণ করে হেরিটেজ সুইটস-এ পরিবেশিত হবে আদি রসগোল্লা, কমলাভোগ, দিল্লী চমচম, ভোগসাগর, গুলাব-জমুন, ছানার জিলেবিসহ আরো নানান ঐতিহ্যবাহী মিষ্টি।
প্রতিটি মিষ্টি তৈরি করা হয়েছে প্রাচীন মুঘল রেসিপি অনুসারে, যেখানে আধুনিক স্বাস্থ্যবিধি, দক্ষ কারিগর ও উৎকৃষ্ট মানের উপকরণ ব্যবহারের মাধ্যমে নিশ্চিত করা হয়েছে স্বাদ ও গুণগতমান। গ্রাহকদের স্বাস্থ্য ও স্বাদ দুটোই মাথায় রেখে, প্রতিটি পদে ব্যবহার করা হয়েছে সর্বোচ্চ মানের উপকরণ ও পরীক্ষিত প্রাচীন পদ্ধতি।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্যে আইসিসিবি-র চিফ অপারেটিং অফিসার এম এম জসীম উদ্দীন বলেন, “আইসিসিবি হেরিটেজ সুইটস শুধু একটি মিষ্টির আউটলেট নয়, বরং এটি একটি অভিজ্ঞতা—যেখানে আপনি ফিরে পাবেন মুঘল আমলের রাজকীয় আতিথেয়তা ও স্বাদের ঐতিহ্য। বাংলার মুঘল ঐতিহ্য ও সংস্কৃতির এক অনন্য নিদর্শন হচ্ছে আমাদের মিষ্টান্ন। সেই ঐতিহ্যকে সম্মান জানিয়ে এবং নতুন প্রজন্মের কাছে তুলে ধরার লক্ষ্যে আমরা আইসিসিবি হেরিটেজ সুইটস-এর যাত্রা শুরু করেছি।”
তিনি আরো বলেন, “মুঘল যুগের অনবদ্য স্বাদ, পরিবেশনা ও সৌন্দর্যকে আধুনিক স্বাস্থ্যকর উপায়ে পরিবেশন করাই আমাদের প্রধান লক্ষ্য। আমরা বিশ্বাস করি, খাদ্য শুধু স্বাদ বা পুষ্টির উৎস নয়, এটি আমাদের ইতিহাস, ঐতিহ্য এবং সংস্কৃতিরও বাহক। তাই, আমাদের প্রতিটি মিষ্টি তৈরি হয়েছে প্রথাগত রেসিপি ও উৎকৃষ্ট উপকরণে, যাতে পুরোনো দিনের স্বাদ ও গুণ বজায় থাকে।”
আইসিসিবি হেরিটেজ সুইটস এর আউটলেটের পরিবেশে ফুটে উঠেছে মুঘল আমলের স্থাপত্য ও সৌন্দর্য, যা গ্রাহকের মুহূর্তকে করে তুলবে আরো স্মরণীয়।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন বসুন্ধরা গ্রুপের বিভিন্ন কোম্পানির উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।
ঢাকা/চিশতী/ফিরোজ