চার অপরাধে চাকরিচ্যুতির বিধান রেখে ‘সরকারি চাকরি (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৫’ জারি করেছে সরকার। রোববার সন্ধ্যায় এ অধ্যাদেশ জারি করা হয়।  বৃহস্পতিবার উপদেষ্টা পরিষদে অধ্যাদেশের খসড়া অনুমোদনের পর বিক্ষোভ করে আসছেন সচিবালয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। এর মধ্যেই অধ্যাদেশ জারি করল সরকার।

অধ্যাদেশ বলা হয়েছে, ‘সরকারি কোনো কর্মচারী যদি এমন কোনো কর্মকাণ্ডে লিপ্ত হন, যার কারণে অন্য যে কোনো সরকারি কর্মচারীর মধ্যে অনানুগত্য সৃষ্টি করে বা শৃঙ্খলা বিঘ্নিত করে বা কর্তব্য সম্পাদনে বাধার সৃষ্টি করে; অন্যান্য কর্মচারীদের সঙ্গে সমবেতভাবে বা এককভাবে, ছুটি ছাড়া বা কোনো যুক্তিসংগত কারণ ছাড়া নিজ কর্মে অনুপস্থিত থাকেন বা বিরত থাকেন বা কর্তব্য সম্পাদনে ব্যর্থ হন; অন্য যে কোনো কর্মচারীকে তার কর্ম থেকে অনুপস্থিত থাকতে বা বিরত থাকতে বা তার কর্তব্য পালন না করার জন্য উসকানি দেন বা প্ররোচিত করেন; যে কোনো সরকারি কর্মচারীকে তার কর্মে উপস্থিত হতে বা কর্তব্য সম্পাদনে বাধাগ্রস্ত করেন- তাহলে তিনি অসদাচরণের দায়ে দণ্ডিত হবেন।’

দোষী কর্মচারীকে নিম্নপদ বা নিম্ন বেতন গ্রেডে অবনমিতকরণ বা চাকরি থেকে অপসারণ বা চাকরি থেকে বরখাস্ত দণ্ড দেওয়া যাবে বলে অধ্যাদেশে উল্লেখ করা হয়েছে।


 

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: চ কর সরক র সরক র

এছাড়াও পড়ুন:

দুর্নীতি নিয়ন্ত্রণ ব‍্যবস্থার আধুনিকায়ন ও দুদকের ক্ষমতায়ন

সমৃদ্ধ ইতিহাস, সংস্কৃতি ও ঐতিহ‍্যের উত্তরাধিকার হওয়া সত্ত্বেও বাংলাদেশকে বিশ্বের অন‍্যতম দু্র্নীতিপরায়ণ দেশের অপবাদ নিতে হয়। বিশেষত আওয়ামী লীগের টানা ১৫ বছরের শাসনামলে সরকারি খাত ও আর্থিক খাতে দু্র্নীতির ভয়াবহ চিত্র অন্তর্বর্তী সরকার গঠিত শ্বেতপত্র প্রণয়ন কমিটির প্রতিবেদনে ফুটে উঠেছে।

বিগত সরকারের আমলে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) প্রধান কাজ ছিল রাজনৈতিক প্রতিপক্ষকে কীভাবে সাজা দেওয়া বা হয়রানি করা যায়। দুদক কমিশনাররাসহ কর্মকর্তারাও দুর্নীতিতে জড়িয়ে পড়েন। সবচেয়ে ভয়ানক, সরকারের সর্বোচ্চ মহল থেকে বড় বড় দুর্নীতিকে পৃষ্ঠপোষকতায় সব খাতে দুর্নীতির অভয়ারণ‍্য সৃষ্টি হয়েছিল।
বর্তমান সময়ে দুর্নীতির ধরন যেমন বদলেছে, তেমনি দুর্নীতি নিয়ন্ত্রণ ও প্রতিকারমূলক ব‍্যবস্থারও আধুনিকায়ন জরুরি হয়ে পড়েছে। দুর্নীতি প্রতিরোধ ও প্রতিকারের প্রচলিত ও বহুল ব‍্যবহৃত ব্যবস্থাগুলো এখন ভোঁতা হয়ে গেছে। দীর্ঘায়িত এবং জটিল তদন্ত ও বিচার প্রক্রিয়ার ফাঁক দিয়ে দুর্নীতির রুই-কাতলা বের হওয়া এখন কঠিন কাজ নয়। এ পরিপ্রেক্ষিতে উদ্ভাবনী দুর্নীতি নিয়ন্ত্রণ ব‍্যবস্থা ও সংস্কারের চিন্তা এবং দুদককে শক্তিশালী করতে হবে।

ক. সরকারি কর্মচারীর সম্পদ বিবরণী
২০০৭-০৮ সালের তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময়ে প্রথমবার এবং বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারের সময়ে আরেকবার সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারী ও বিচারকদের সম্পদ বিবরণী নেওয়ার উদ‍্যোগ গৃহীত হয়েছে। যদিও ২০২৪ সালে শুধু প্রথম শ্রেণির কর্মকর্তাদের সম্পদের হিসাব বিবরণী চাওয়া হয়েছে। তবে দাখিলকৃত সম্পদ বিবরণী নিয়ে আগেরবার কী ব‍্যবস্থা গৃহীত হয়েছিল বা এখন কী করা হচ্ছে সে সম্পর্কে কিছু জানা যায়নি। 

এই দুইবারের বাইরে দেশের ৫৪ বছরের ইতিহাসে সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীর সম্পদ বিবরণী আর কখনও চাওয়া হয়নি। যদিও ‘সরকারি কর্মচারী আচরণ বিধি, ১৯৭৯’ অনুযায়ী সব কর্মকর্তা-কর্মচারীকে চাকরিতে যোগদানের সময় প্রথমবার এবং পরে প্রতিবছর ডিসেম্বর মাসে নিজের ও পরিবারের স্থাবর-অস্থাবর সম্পত্তির হিসাব বিবরণী দাখিল করার বাধ‍্যবাধকতা কয়েছে। কিন্তু সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীরা যেমন সম্পদ বিবরণী দাখিলে আগ্রহী নন, তেমনি কর্তৃপক্ষও বিধানটির প্রতিপালন নিশ্চিত করায় আন্তরিক নন। কারণ কর্তৃপক্ষও সমগোত্রীয়।
উল্লেখ‍্য, পাকিস্তান, ভারতসহ বিশ্বের অনেক দেশে সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীকে প্রতিবছর বাধ‍্যতামূলক সম্পত্তির হিসাব বিবরণী দাখিল করতে হয়। ভারতে ২০১১ সাল থেকে স্থাবর সম্পত্তির বিবরণীও সরকারি ডোমেইনে প্রকাশ বাধ‍্যতামূলক। 

বাংলাদেশেও কর্মকর্তা-কর্মচারীর দুর্নীতি নিয়ন্ত্রণে চাকরিতে যোগদানের সময় এবং প্রতিবছর সম্পদ বিবরণী দাখিল বাধ্যতামূলক এবং স্থাবর সম্পত্তির হিসাব সরকারি ওয়েবসাইটে প্রকাশ করতে হবে। এ জন‍্য ‘সরকারি কর্মচারী আচরণবিধি, ১৯৭৯’ সংশোধন করতে হবে। সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীর সম্পদ বিবরণীর একটি ডেটাবেজ তৈরি, সংরক্ষণ এবং তাতে দুদককে প্রবেশাধিকার দিতে হবে।

খ. দুর্নীতির কঠোরতর শাস্তি
সম্প্রতি ‘ভাইরাল’ একটি খবরে দেখা গেছে, জাপানের কিয়োটো নগর সরকারের একজন বাস ড্রাইভার ২০২২ সালে মাত্র ৭ ডলার (১০০০ ইয়েন) বাস টিকিটের টাকা সরিয়ে ফেলায় (ভিডিও ক‍্যামেরায় ধৃত) ২৯ বছরের চাকরির ফসল ৮৪,০০০ ডলারের (১২ মিলিয়ন ইয়েন) পেনশন প‍্যাকেজ থেকে বঞ্চিত হয়েছেন। শাস্তির বিরুদ্ধে ড্রাইভার আপিল করলেও কোর্ট তার পক্ষে রায় দেয়নি। ২৯ বছর চাকরি করার পর মাত্র ৭ ডলার চুরির অভিযোগে অবসরের পর যদি কোনো ব‍্যক্তিকে শূন‍্য হাতে ঘরে ফিরতে হয়, তেমন দেশে দু্র্নীতি নিয়ন্ত্রণ খুব কঠিন কাজ নয়। এত বড় শাস্তি দিতে সে দেশের কর্তৃপক্ষ মায়া-মমতা দেখায়নি। কারণ দুর্নীতি বিষয়ে ক্ষমা বা সহানুভূতি দেখাতে গেলে মূল‍্যবোধের কাঠামোটি ভেঙে পড়তে বাধ‍্য। আমাদের দেশেও দুর্নীতি রুখতে হলে সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীর বরখাস্ত এবং পদোন্নতি, পেনশন বাতিলসহ কঠোরতর বিধান সংযুক্ত করতে হবে।

গ. দুদকের কৌশলে পরিবর্তন
দুদকের দুর্নীতি দমন কৌশলে দু্টি প্রধান কর্মসূচি রয়েছে : ১.দুর্নীতি প্রতিরোধে নাগরিকদের নিয়ে সচেতনমূলক কর্মসূচি এবং ২. দুর্নীতির অভিযোগ তদন্ত করে বিচারযোগ‍্য হলে কোর্টে মামলা। আজ অবধি এ দুই কর্মসূচির তেমন সাফল‍্য দেখা যায়নি। 
দুদককে এখন প্রচলিত কর্মসূচির বাইরে গিয়ে উদ্ভাবনী কর্মসূচি গ্রহণ করতে হবে। যেমন– দুর্নীতিবাজদের হাতেনাতে ধরতে অধিকতর গোয়েন্দাগিরি ও নজরদারি কৌশল অবলম্বন, স্টিং অপারেশন, সম্ভাব‍্য দুর্নীতিবাজের ব‍্যাংক অ্যাকাউন্ট, বিদেশে লেনদেন যাচাই, বড় বড় ক্রয় আদেশ-সংশ্লিষ্টদের নজরদারি, নিয়মিত স্পট অভিযান, গোয়ন্দা তৎপরতা ইত‍্যাদি। ঘুষদাতা ও গ্রহীতার মধ‍্যে গোপন আলোচনা ও লেনদেনের সম্ভাব্য স্থান যেমন হোটেল-রেস্তোরাঁ, বিমানবন্দর, ক্লাব, পার্ক ইত‍্যাদিতে গোয়েন্দা তৎপরতা। 

ঘ. দুর্নীতি তদন্তের দীর্ঘসূত্রতা
দুর্নীতির বিরুদ্ধে ব‍্যবস্থা গ্রহণের সিংহভাগ প্রচেষ্টা দুদকের তদন্তের জটিল প্রক্রিয়া ও দীর্ঘসূত্রতার কারণে সফল হয় না। সুতরাং দুর্নীতি সম্পর্কিত ‘অনুসন্ধান’ ও ‘তদন্ত’ সম্পর্কিত বিধিবিধান সহজতর ও সংক্ষিপ্ত করতে হবে। দুদক ‘অনুসন্ধান’ ও ‘তদন্ত’– এ দুই নামে ও দফায় সময়ক্ষেপণ প্রক্রিয়ায় দুর্নীতির অভিযোগের তদন্ত করে। ফলে দুর্নীতির বিরুদ্ধে আদালতে মামলা দাখিল প্রক্রিয়া অযথা দীর্ঘায়িত হয়।
২০০৭ সালের দিকে এডিবির কারিগরি সহায়তায় সিঙ্গাপুরের ‘করাপ্ট প্র্যাক্টিসেস ইনভেস্টিগেশন ব‍্যুরো’র সাবেক প্রধান মি. চুয়া দুদককে সুপারিশ করেছিলেন, দুর্নীতির তদন্তকার্য ‘অনুসন্ধান’ ও ‘তদন্ত’ দুই দফায় না করে এক স্তরেই সম্পন্ন করা যায়। কিন্তু দুদকের সে সময়কার চেয়ারম‍্যান ও কমিশনাররা তাঁর মতামত গ্রহণ করেননি। তদুপরি দুদকের বিধি এটাও বলছে, দুর্নীতির পক্ষে অভিযোগ পেলেই তবে সেটা তদন্ত হবে, স্বতঃপ্রণোদিত কোনো তদন্ত করবে না।

ঙ. বিচার ও সাজা সম্পর্কিত আইন সংশোধন
বর্তমানের ‘ক্রিমিনাল প্রসিডিউর কোড’ বা ‘সিআরপিসি’ এর অধীনে দ্রুততম সময়ে বিচারকার্য সম্পন্ন সম্ভব নয়। কারণ এতে দীর্ঘ শুনানির সুযোগ রয়েছে। সুতরাং ‘ক্রিমিনাল প্রসিডিউর কোড’ এবং ‘পেনাল কোড’ সংস্কার অথবা বিশেষ আইন প্রণয়ন করে দুর্নীতির শুনানির সর্বোচ্চ সময়সীমা নির্ধারণ করে দেওয়া এবং দুর্নীতির সাজা বৃদ্ধি করা প্রয়োজন।

চ. দুদকের লোকবল ও ক্ষমতায়ন
দুদকের ঊর্ধ্বতন নির্বাহী সবাই যেমন সচিব এবং মহাপরিচালকদের ৮ জনের মধ‍্যে ৭ জন ও বেশ কয়েকজন পরিচালক জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা, যারা প্রেষণে দুদকে কাজ করছেন। যদিও দুদকের আইন অনযায়ী, সচিব ও মহাপরিচালকসহ দুদকের সব কর্মকর্তা-কর্মচারী নিয়গের ক্ষমতা কমিশনেরই। আমলাতান্ত্রিক কাঠামোয় বেড়ে ওঠা এসব কর্মকর্তার পক্ষে দুদকের কর্মকাণ্ডে খুব অবদান রাখা সম্ভব হয় না। তদুপরি, ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের নিয়োগের কারণে একদিকে দুদকে সরকারের নিয়ন্ত্রণ বাড়তে থাকে, অন্যদিকে দুদককেও বিশেষায়িত সংস্থা হিসেবে গড়ে তোলা অসম্ভব হয়ে পড়ে।
সাধারণ আমলা নয়, দুদকের প্রয়োজন তদন্তের কাজ জানা বিশেষজ্ঞ, ফরেনসিক অডিট বিশেষজ্ঞ, মানি লন্ডারিং বিশেষজ্ঞ, ব‍্যাংকিং বিশেষজ্ঞ, অর্থ ব‍্যবস্থাপনা বিশেষজ্ঞ, প্রকল্প ব‍্যবস্থাপনা বিশেষজ্ঞ, সরকারি ক্রয়বিধি জানা বিশেষজ্ঞ, গোয়েন্দাগিরি এবং নজরদারি করতে জানা বিশেষজ্ঞ; সর্বোপরি দুর্নীতির আইন জানা বিশেষজ্ঞ। দুদকের আইনে নিজস্ব আইন কর্মকর্তা গড়ে তোলার কথা থাকলেও অ্যাটর্নি জেনারেলের অফিস ও চুক্তিভিত্তিক আইন কর্মকর্তা দিয়েই প্রসিকিউশনের কাজ চলছে। 

দুদককে উন্মুক্ত প্রতিযোগিতার মাধ্যমে কর্মকর্তা-কর্মচারী নিয়োগের ব‍্যবস্থা এবং নিজস্ব ক‍্যাডার সৃষ্টি করতে হবে। বিধিবিধান প্রণয়নের ক্ষমতা দুদকে হস্তান্তর করা না হলে সংস্থাটি কখনোই স্বাধীনভাবে কাজ করতে পারবে না। ২০০৮ সালের শেষ দিকে দুদকের তখনকার চেয়ারম‍্যান জেনারেল হাসান মশহুদ চৌধুরী সরকারের কাছে এমন প্রস্তাব দিয়েছিলেন। কিন্তু ২০০৯ সালে পট পরিবর্তনে আমলারা সবকিছু উল্টে দেন।

ছ. সরকারি দপ্তরে ই-গভর্ন্যান্স প্রতিষ্ঠা
দুদকের গণসচেতনতামূলক ও প্রচারধর্মী কার্যক্রম দুর্নীতি হ্রাসে তেমন ভূমিকা রাখছে বলে মনে হয় না। দুর্নীতি প্রতিরোধের একটি প্রধান অস্ত্র হতে পারে সরকারি দপ্তরে দুর্নীতির সুযোগগুলো বন্ধ এবং নাগরিকদের তথ্য সরবরাহের মাধ্যমে সরকারি কাজের স্বচ্ছতা বৃদ্ধি করা। সরকারি দপ্তর, বিশেষত জনসেবামূলক প্রতিষ্ঠানে ই-গভর্ন্যান্স প্রতিষ্ঠা। সরকারি সেবাগুলো অনলাইনে মানুষের দোরগোড়ায় পৌঁছানো গেলে দুর্নীতি প্রতিরোধ বেশি কার্যকর হবে। শিক্ষা, স্বাস্থ্য, ইউটিলিটি সার্ভিস ও সামাজিক নিরাপত্তা খাতের সব সেবা অনলাইন বা মোবাইল ফোনের মাধ্যমে নির্বাহ করা গেলে সরকারি খাতের দুর্নীতি বহুলাংশে হ্রাস পেতে বাধ্য।

উপসংহার
দুর্নীতি নিয়ন্ত্রণে দুদকের কৌশল, স্বাধীনতা এবং সক্ষমতা– সবকিছুতেই যথেষ্ট ঘাটতি রয়েছে। তবে বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার দুদকে একজন যোগ‍্য চেয়ারম‍্যান নিয়োগ দিয়েছে। ইতোমধ‍্যে বেশ কিছু ইতিবাচক ও উদ্ভাবনী পদক্ষেপ পরিলক্ষিত হচ্ছে। তবে রাজনৈতিক সরকারের সময় পরিস্থিতি কী দাঁড়াবে এখনই বলা যাচ্ছে না। মূল কথা, রাজনৈতিক নেতৃত্বের সদিচ্ছা ও সমর্থন ছাড়া দুদকের পক্ষে প্রভাবশালীদের বিরুদ্ধে, বিশেষত ক্ষমতাসীন দল-সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া দুরূহ।

ফিরোজ আহমেদ: সদস‍্য, জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশন; সাবেক কর্মকর্তা, এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক‍
firozlxp@gmail.com

সম্পর্কিত নিবন্ধ