ছয় বছরে ফিরেছেন ৬৭ হাজার নারী অভিবাসী, অনেকেই নিপীড়নের শিকার
Published: 8th, May 2025 GMT
বাংলাদেশ থেকে নারীদের বিদেশে যাওয়া বাড়ছে। নানা কারণে অনেক নারী ফিরেও আসছেন। নারী অভিবাসীদের দেশে-বিদেশে সুরক্ষা ও কল্যাণে সমন্বিত উদ্যোগ নেওয়া প্রয়োজন। এসব কথা বলেছেন সরকারি ও বেসরকারি বিভিন্ন সংস্থার প্রতিনিধিরা। বুধবার ঢাকার একটি হোটেলে ব্র্যাক মাইগ্রেশন প্রোগ্রামের উদ্যোগে ‘নারী অভিবাসীদের অধিকার ও ক্ষমতায়নে আমরা সবাই এক’ শীর্ষক কর্মশালায় এসব কথা বলা হয়।
এতে বেসরকারি সংস্থা মানুষের জন্য ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক শাহীন আনাম বলেন, দক্ষ করে না পাঠানোয় বিদেশে গিয়ে নারীরা নির্যাতনের শিকার হন। ফিরে এসেও তাদের সমাজে হেয় হতে হয়। নারীর অভিবাসনকে নিরাপদ ও ফেরার পর সহায়তা দিতে প্রাতিষ্ঠানিক কাঠামো গড়তে হবে।
অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ব্র্যাকের সহযোগী পরিচালক (মাইগ্রেশন অ্যান্ড ইয়ুথ প্ল্যাটফর্ম) শরিফুল হাসান। তিনি বলেন, বাংলাদেশের প্রায় দশ লাখ নারী এখন বিদেশে আছেন। গত ছয় বছরে ৬৭ হাজারেরও বেশি নারী নানা সংকটে পড়ে দেশে ফিরতে বাধ্য হয়েছেন। তাদের অনেকেই নিপীড়নের শিকার।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি বাংলাদেশ ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প (এসএমই) ফাউন্ডেশনের চেয়ারপারসন মো.
ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও ব্র্যাকের যৌথ উদ্যোগে বাস্তবায়িত ‘ইমপ্রুভড সাসটেইনেবল রিইন্টিগ্রেশন অব বাংলাদেশি রিটার্নি মাইগ্রেন্টস (প্রত্যাশা-২)’ প্রকল্পের আওতায় এ কর্মশালায় সভাপতিত্ব করেন আইন ও সালিশ কেন্দ্রের সাবেক নির্বাহী পরিচালক ও বিদেশফেরত বাংলাদেশি নারীদের সহায়তা করতে গড়ে তোলা ব্র্যাকের ‘নেটওয়ার্ক ফর বাংলাদেশি উইমেন মাইগ্রেন্টস’-এর চেয়ারপারসন শীপা হাফিজা।
কর্মশালায় অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব ইন্টারন্যাশনাল রিক্রুটিং এজেন্সিসের (বায়রা) মহাসচিব আলী হায়দার চৌধুরী, সেন্টার ফর উইমেন অ্যান্ড চিলড্রেন স্টাডিজের সভাপতি অধ্যাপক ইশরাত শামীম, বাংলাদেশ ফেডারেশন অব উইমেন এন্টারপ্রেনার্সের সভাপতি ড. রুবিনা হোসেন, আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থার (আইএলও) ন্যাশনাল প্রোগ্রাম ম্যানেজার রাহনুমা সালাম খান, আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থার (আইওএম) প্রোগ্রাম অ্যাসিস্ট্যান্ট আমরিন জামান আনিশা প্রমুখ।
উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
জুলাই শহীদ স্মৃতি ফাউন্ডেশনের সিইওর পদ ছাড়লেন মীর স্নিগ্ধ
জুলাই শহীদ স্মৃতি ফাউন্ডেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তার (সিইও) পদ ছাড়ার ঘোষণা দিয়েছেন মীর মাহবুবুর রহমান স্নিগ্ধ। আজ বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন যমুনায় জুলাই স্মৃতি ফাউন্ডেশনের চতুর্থ বোর্ড সভা শেষে সংবাদ সম্মেলনে এ ঘোষণা দেন তিনি।
স্নিগ্ধ এখন এ ফাউন্ডেশনের পরিচালনা পর্ষদের সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন। ফাউন্ডেশনের নতুন সিইও হিসেবে দায়িত্ব পেয়েছেন লেফটেন্যান্ট কর্নেল (অব.) কামাল আকবর।
মীর মাহবুবুর রহমান স্নিগ্ধ ছাত্র-জনতার আন্দোলনে শহীদ মীর মাহফুজুর রহমান মুগ্ধর বড় ভাই। গত বছরের ১২ সেপ্টেম্বর আনুষ্ঠানিকভাবে জুলাই শহীদ স্মৃতি ফাউন্ডেশন গঠনের কথা জানানো হয়। সে সময় স্নিগ্ধকে এ ফাউন্ডেশনের সাধারণ সম্পাদক করা হয়েছিল। পরে ২১ অক্টোবর ফাউন্ডেশনের সাধারণ সম্পাদক করা হয়েছিল বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতা সারজিস আলমকে। সে সময় স্নিগ্ধকে এ ফাউন্ডেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তার দায়িত্ব দেওয়া হয়।
সারজিস আলম অবশ্য গত জানুয়ারিতে জুলাই শহীদ স্মৃতি ফাউন্ডেশনের দায়িত্ব থেকে সরে যান। তিনি বর্তমানে জাতীয় নাগরিক পার্টির মুখ্য সংগঠকের (উত্তরাঞ্চল) দায়িত্বে আছেন।