বিজয় দিবসে কুচকাওয়াজে পুতিনের পাশে সি, ড্রোন-ক্ষেপণাস্ত্রসহ নানা অস্ত্রের মহড়া
Published: 9th, May 2025 GMT
রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের পাশে চীনের প্রেসিডেন্ট সি চিন পিং। দুজনেই বেশ প্রাণোচ্ছ্বল। সামনে মস্কোর রেড স্কয়ার দিয়ে কুচকাওয়াজ করে যাচ্ছেন হাজার হাজার সেনাসদস্য। প্রদর্শন করা হচ্ছে অত্যাধুনিক সব অস্ত্র। চিত্রটি রাশিয়ার বিজয় দিবসের। এদিন জমকালো কুচকাওয়াজের মাধ্যমে নিজেদের শক্তিমত্তা বিশ্বের সামনে তুলে ধরেন পুতিন।
আজ শুক্রবার (৯ মে) রাশিয়ার ৮০তম বিজয় দিবস ছিল। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে নাৎসি জার্মানির বিরুদ্ধে সোভিয়েত ইউনিয়নের জয় উপলক্ষে দিবসটি পালন করে আসছে মস্কো। বিজয় দিবস ঘিরে ইউক্রেনে তিন দিনের যুদ্ধবিরতিও ঘোষণা করেন পুতিন। তবে কিয়েভের দাবি, এ সময় হামলা না চালানোর প্রতিশ্রুতি দিয়েও, তা পালন করেনি রাশিয়া।
বিজয় দিবসের কুচকাওয়াজের সময় পুতিনের সঙ্গে চীনা প্রেসিডেন্ট ছাড়াও ছিলেন বিভিন্ন দেশের নেতারা। সুদূর ব্রাজিল থেকে উড়ে এসেছিলেন দেশটির প্রেসিডেন্ট লুইস ইনাসিও লুলা দা সিলভা। এ ছাড়া ছিলেন উত্তর কোরিয়ায় সামরিক কর্মকর্তারা। এদিন দেশটির রাজধানীয় পিয়ংইয়ংয়ে রুশ দূতাবাস পরিদর্শনে যান উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং–উন।
বিজয় দিবসের কুচকাওয়াজে সাঁজোয়া যানের মহড়া.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
চট্টগ্রাম বন্দরে কার্গো পণ্য হ্যান্ডলিংয়ে রেকর্ড
চট্টগ্রাম বন্দর প্রতিষ্ঠার ১৩৭ বছরের মধ্যে এবারই সর্বাধিক কার্গো পণ্য হ্যান্ডলিংয়ের রেকর্ড হয়েছে। দেশের প্রধান এই সমুদ্র বন্দরটি সদ্য বিদায়ী ২০২৪-২৫ অর্থবছরে কার্গো (খোলা) পণ্য হ্যান্ডলিং করেছে ১৩ কোটি ৭ লাখ ২৪ হাজার ৭৮৩ লাখ মেট্রিক টন। এতদিন তাদের সর্বোচ্চ হ্যান্ডলিং ছিল ১২ কোটি ৩২ লাখ ৪২ হাজার ৪৮ মেট্রিক টন। গত অর্থবছর এটি অর্জন হয়। সে হিসাবে আগের তুলনায় কার্গো পণ্যে এবারে ৬ দশমিক শূন্য ৭ শতাংশ প্রবৃদ্ধি অর্জন করেছে বন্দর।
২০২১-২২ অর্থ বছরের পর এটিই এক অর্থবছরে বন্দরের সর্বোচ্চ প্রবৃদ্ধি। চার বছর আগে ২০২০-২১ অর্থবছরে আগের তুলনায় সর্বোচ্চ ১১ দশমিক ৯৮ শতাংশ প্রবৃদ্ধি অর্জন করার গৌরব অর্জন করেছিল চট্টগ্রাম বন্দর।
চট্টগ্রাম বন্দর সচিব ওমর ফারুক জানান, চট্টগ্রাম বন্দর প্রতিষ্ঠা হয় ১৮৮৮ সালের ২৫ এপ্রিল। এ হিসাবে চট্টগ্রাম বন্দর পাড়ি দিয়েছে ১৩৭ বছর। দীর্ঘ এই পথ পরিক্রমায় এবারই প্রথম ১৩ কোটি মেট্রিক টন কার্গো পণ্য হ্যান্ডলিংয়ের মাইলফলক ছুঁয়েছে দেশের প্রধান সমুদ্র বন্দর।
কনটেইনার হ্যান্ডলিংয়েও এবার রেকর্ড করেছে বন্দর। ৪৮ বছরের মধ্যে এবার সর্বোচ্চ ৩২ লাখ ৯৬ হাজার একক কনটেইনার হ্যান্ডেল করেছে তারা।
মিউচ্যুয়াল গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক পারভেজ আহমেদ বলেন, ‘চট্টগ্রাম বন্দর দিয়ে বর্তমানে মোট আমদানির ২৩ শতাংশ হয় কনটেইনারে। বাকি ৭৭ শতাংশ আসে বাল্ক পণ্য, তেল ও কেমিক্যাল ট্যাংকারে। বন্দরে নোঙর করা জাহাজের মধ্যে ৪৫ শতাংশই কনটেইনারবাহী, ৪৫
শতাংশ বাল্ক ক্যারিয়ার এবং ১০ শতাংশ তরল পণ্যবাহী জাহাজ।
তিনি জানান, দেশের মোট কনটেইনার বাণিজ্যের প্রায় ৯৯ শতাংশ পরিচালিত হয় চট্টগ্রাম বন্দর দিয়ে। বাকি এক শতাংশ মোংলা বন্দর দিয়ে পরিচালিত হয়।