দেশের প্রথম আন্তর্জাতিকমানের ডিজিটাল দক্ষতা প্রতিযোগিতা ভি টিউটর মাইক্রোসফট অফিস স্পেশালিস্ট (এমওএস) বাংলাদেশ চ্যাম্পিয়নশিপ ২০২৫ আজ শনিবার (১০ মে) আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হয়েছে। 

সকালে ঢাকার ইস্ট ওয়েস্ট ইউনিভার্সিটিতে শুরু হয়। ভি টিউটর বাংলাদেশ–এর আয়োজনে এবং যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের সহযোগিতায় আয়োজিত এই প্রতিযোগিতা ১৩ থেকে ২২ বছর বয়সী শিক্ষার্থীদের জন্য উন্মুক্ত।

অলিম্পিয়াডের আদলে আয়োজিত এই জাতীয় প্রতিযোগিতা রাজধানীর ছয়টি বিশ্ববিদ্যালয়ে তিনটি ক্যাটাগরিতে অনুষ্ঠিত হবে। অংশগ্রহণকারী বিশ্ববিদ্যালয়গুলো হলো: ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, ইউনিভার্সিটি অব বিজনেস অ্যান্ড প্রফেশনালস (ইউবিপি), ইস্ট ওয়েস্ট ইউনিভার্সিটি, আমেরিকান ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশ (এআইইউবি), ইনডিপেনডেন্ট ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশ (আইইউবি) এবং ইউনাইটেড ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি (ইউআইইউ)।

বিভাগীয় পর্যায়ে প্রতিযোগিতার ভিত্তিতে সর্বোচ্চ তিনজনকে ‘চ্যাম্পিয়ন’ হিসেবে ঘোষণা করা হবে। সেখান থেকে জাতীয় পর্যায়ের জন্য বাছাই করা হবে সেরা ১০ জনকে। জাতীয় পর্যায়ের বিজয়ীরা পাবেন মাইক্রোসফট সার্টিফিকেশন অর্জনের সুযোগ।

এছাড়া নির্বাচিত এলএস (লংলিস্টেড) প্রতিযোগীদের মধ্য থেকে সেরা ৩ জনকে নিয়ে আয়োজিত হবে ‘গালা রাউন্ড’, যার আগে থাকবে একটি বিশেষ গ্রুমিং সেশন। গালা রাউন্ডের বিজয়ীরা অংশ নেবেন যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডায় অনুষ্ঠেয় আন্তর্জাতিক মাইক্রোসফট অফিস স্পেশালিস্ট প্রতিযোগিতায়।

আজকের উদ্বোধনী আয়োজনে উপস্থিত ছিলেন ভি টিউটর বাংলাদেশ–এর কো-ফাউন্ডার ও চিফ ট্রেনিং অফিসার কাজী শামীম, কো-ফাউন্ডার ও চিফ একাডেমিক অফিসার মুত্তাকি ফারুক, ভি টিউটর–এর ১৫ জন স্বেচ্ছাসেবক এবং ইস্ট ওয়েস্ট ইউনিভার্সিটির কম্পিউটার ল্যাবের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। 
 

ঢাকা/এএএম/বকুল

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ট ইউন ভ র স ট ট উটর

এছাড়াও পড়ুন:

ভারত যুদ্ধবিরতি মেনে চলবে, তবে সেনাবাহিনী প্রস্তুত থাকবে: ব্রিফিংয়ে সামরিক মুখপাত্র

যুদ্ধবিরতির সিদ্ধান্ত ঘোষণার পরেই আজ শনিবার সন্ধ্যায় ভারত জানিয়ে দিল, তারা যুদ্ধবিরতি মেনে চলবে। তবে যেকোনো পরিস্থিতি মোকাবিলার জন্য ভারতীয় বাহিনী প্রস্তুত থাকছে। ভারতীয় বাহিনী দেশের অখণ্ডতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষায় সদা সতর্ক।

আজ শনিবার সন্ধ্যায় প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের এই সংক্ষিপ্ত সংবাদ সম্মেলনে অন্য দিনের মতোই উপস্থিত ছিলেন কর্নেল সোফিয়া কুরেশি ও উইং কমান্ডার ব্যোমিকা সিং। এই কয়েক দিন ধরে পাকিস্তান নানা অপপ্রচার চালিয়েছে অভিযোগ তুলে তাঁরা সেগুলো তুলে ধরেন।

কর্নেল সোফিয়া ও উইং কমান্ডার ব্যোমিকা দাবি করেন, পাকিস্তানের দাবি চীনের তৈরি জে এফ–১৭ যুদ্ধবিমান দিয়ে তারা ভারতের এস–৪০০ আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ধ্বংস করেছে। এই প্রচার মিথ্যা। তারা প্রচার করেছে শ্রীনগর, জম্মু, পাঠানকোট ও ভুজের বিমানঘাঁটি গুঁড়িয়ে দিয়েছে। এটাও ভুয়া প্রচার। চণ্ডীগড় ও বিয়াসের অস্ত্র ভান্ডারও নাকি ধূলিসাৎ করেছে। এই দাবিও অসত্য।

এই দুই সামরিক কর্মকর্তা দাবি করেন, পাকিস্তান আরও প্রচার করেছে ভারতীয় বাহিনী নাকি বেছে বেছে মসজিদ ভেঙেছে। এই প্রচারও পুরোপুরি অসত্য। ভারতীয় বাহিনী দেশের ধর্মনিরপেক্ষ চরিত্র সম্পর্কে শ্রদ্ধাশীল। সংবিধানের প্রতি বিশ্বস্ত। তারা মূল্যবোধ রক্ষায় বিশ্বাসী। ভারতীয় বাহিনীর লক্ষ্য ছিল শুধু সন্ত্রাসবাদী ঘাঁটি। তাদের শিবির।

কর্নেল সোফিয়া কুরেশি ও উইং কমান্ডার ব্যোমিকা সিংয়ের দাবিমতে, এই কয়েক দিনে স্কারদু, সরগোদা, জাকোয়াবাদ, ভুলারিতে পাকিস্তানি সেনাঘাঁটি মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। বিমান হানা রুখে পাল্টা আক্রমণ করার ক্ষমতা পুরোপুরি নষ্ট করা হয়েছে। নিয়ন্ত্রণরেখা বরাবর পাকিস্তানি সেনাঘাঁটিগুলো প্রবলভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ