বিদেশে চিকিৎসা খরচ পাঠানোর সীমা বাড়ল
Published: 12th, May 2025 GMT
অসুস্থ রোগীর জন্য বিদেশে চিকিৎসা খরচ পাঠানোর সীমা বাড়িয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। এখন থেকে চিকিৎসা খরচ হিসেবে ১৫ হাজার মার্কিন ডলার বিদেশে পাঠানো যাবে। এজন্য বাংলাদেশ ব্যাংকের অনুমোদন নিতে হবে না। আগে এই সীমা ছিল ১০ হাজার মার্কিন ডলার।
সোমবার (১২ মে) কেন্দ্রীয় ব্যাংকের বৈদেশিক মুদ্রা ও নীতি বিভাগ থেকে এ সংক্রান্ত সার্কুলার জারি করা হয়।
সার্কুলারে বলা হয়েছে, এখন থেকে চিকিৎসা খরচ হিসেবে ১৫ হাজার ডলার বিদেশে নেওয়া যাবে। এরমধ্যে একজন ব্যক্তি সর্বোচ্চ ৫ হাজার ডলার পর্যন্ত নগদ নিতে পারবেন। চিকিৎসার খরচ হিসেবে ছাড় করা অর্থ সরাসরি বিদেশের হাসপাতালের নামে পাঠানো যাবে। এছাড়া আন্তর্জাতিক প্রিপেইড, ডেবিট কিংবা ক্রেডিট কার্ড ব্যবহারের মাধ্যমে বিদেশে এই পরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রা চিকিৎসায় খরচ করতে পারবে।
আরো পড়ুন:
ঈদুল আজহা: ১১ ও ১২ জুন বন্ধ থাকবে ফাইন্যান্স কোম্পানি
গভর্নরের গাড়ির সামনে শুয়ে পড়লেন চাকরিচ্যুত নারী কর্মী
সার্কুলারে আরো বলা হয়েছে, বিদেশে চিকিৎসা খরচ পাঠানোর বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের আগের জারি করা অন্যান্য নিয়মগুলো বহাল থাকবে।
সংশ্লিষ্টরা বলছে, নতুন এই সিদ্ধান্তের ফলে বিদেশে চিকিৎসা নিতে যাওয়া রোগী ও তাদের পরিবারের জন্য আর্থিক সুবিধা হলো। এটি বৈদেশিক মুদ্রার ব্যবহারে স্বচ্ছতা ও সহজলভ্যতা নিশ্চিত করবে।
ঢাকা/এনএফ/বকুল
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতি অবিচার ও বৈষম্য করা হচ্ছে
বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদের দু-চারজন ছাড়া বর্তমান কমিটির অধিকাংশই আওয়ামী লীগের দোসর বলে অভিযোগ করেছে জাতীয়তাবাদী মুক্তিযোদ্ধা দল। সংগঠনের সভাপতি ইসতিয়াক আজিজ উলফাত মঙ্গলবার সংবাদ সম্মেলনে এ অভিযোগ করে বলেন, শেখ হাসিনা যেমন মুক্তিযোদ্ধা সংসদকে কুক্ষিগত করে ভুয়া মুক্তিযোদ্ধাদের আখড়া বানিয়েছিলেন, তেমনি অন্তর্বর্তী সরকারের মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অধীনে কতিপয় বিতর্কিত মানুষের কারণে দেশের অন্য মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতি অবিচার ও বৈষম্য করা হচ্ছে।
জাতীয় প্রেসক্লাবে এ সংবাদ সম্মেলনে ইসতিয়াক আজিজ আরও বলেন, বিএনপি করে এমন কেউ এই সংসদের সদস্য হতে পারবে না, এমন তো কোনো আইন নেই। কিন্তু বর্তমান সময়ে যেভাবে নতুন সদস্য ও কমিটিগুলো করা হয়েছে, তাতে মনে হচ্ছে মুক্তিযোদ্ধা হলেও বিএনপি করে এমন কেউ সদস্য হতে পারবে না।
তিনি বলেন, ‘স্বাধীনতার ঘোষক জিয়াউর রহমান রাজনৈতিক দল গঠনের মধ্য দিয়ে জাতিকে নানা বৈষম্য থেকে মুক্তি দিয়েছিলেন। স্বনির্ভর করেছিলেন এই জাতিকে। তার দলের সদস্যরা বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সদস্য হতে বাধার সম্মুখীন হবেন, তা কি কখনও জাতি আশা করেছিল? এর চেয়ে বৈষম্য আর কী হতে পারে।’
সংবাদ সম্মেলনে এ সময় উপস্থিত ছিলেন জাতীয়তাবাদী মুক্তিযোদ্ধা দলের সহ-সভাপতি নজরুল ইসলাম, যুদ্ধকালীন কমান্ডার শহীদ বাবলু, মো. মোবারক, শরীফ আহমেদ, সাংগঠনিক সম্পাদক মিয়া মোহাম্মদ আনোয়ার প্রমুখ।