কক্সবাজারের মহেশখালীতে দুর্বৃত্তদের লাঠি ও ধারালো অস্ত্রের আঘাতে পুলিশ কর্মকর্তা ও ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যানসহ ছয়জন আহত হয়েছেন। গতকাল বুধবার সন্ধ্যা ছয়টার দিকে উপজেলার মুহুরিঘোনা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এ সময় তারা ইউপি চেয়ারম্যানের ব্যবহৃত সিএনজিচালিত অটোরিকশাটি ভাঙচুর করে।

আহত ব্যক্তিরা হলেন ধলঘাট ইউপির চেয়ারম্যান (ভারপ্রাপ্ত) আতাহার ইকবাল (৪৫), মাতারবাড়ী পুলিশ ফাঁড়ির উপপরিদর্শক (এসআই) রাইটন দেব (৩০), পুলিশ সদস্য মোহাম্মদ জাহিদ (২৭), মোহাম্মদ সাইফুল (২৬), মোহাম্মদ ইব্রাহিম (২৮) ও মোহাম্মদ তাফসির (২৫)। তাঁদের উদ্ধার করে মহেশখালী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও চকরিয়া উপজেলার বদরখালী জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয়।

আহত পুলিশ সদস্যরা বলেন, গতকাল সন্ধ্যা ছয়টার দিকে ইউপির কাজ শেষ করে সুতুরিয়া বাজার থেকে সিএনজিচালিত অটোরিকশা নিয়ে নিজের বাড়িতে ফিরছিলেন ধলঘাট ইউপির চেয়ারম্যান আতাহার ইকবাল। মুহুরিঘোনা এলাকায় সাবেক চেয়ারম্যান আহসান উল্লাহর বাড়ির সামনে পৌঁছালে চেয়ারম্যানের ভাই ও তাঁর লোকজন আতাহারের অটোরিকশায় হামলা চালান।

অটোরিকশাটি ভাঙচুর করার পর গাড়ি থেকে নামিয়ে আতাহারকে লাঠি ও ধারালো অস্ত্র দিয়ে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে গুরুতর আহত করেন। ওই সময় এসআই রাইটন দেবসহ পাঁচ পুলিশ সদস্য আরেকটি সিএনজিচালিত অটোরিকশায় মাতারবাড়ী পুলিশ ফাঁড়িতে ফিরছিলেন। এ ঘটনা দেখে তাঁরা গাড়ি থামিয়ে আতাহার ইকবালকে উদ্ধারের চেষ্টা চালান। পরে তাঁদের ওপরও হামলা করা হয়।

প্রথমে গুরুতর আহত আতাহার ইকবালকে মহেশখালী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও পুলিশ কর্মকর্তা রাইটন দেবকে চকরিয়া উপজেলার বদরখালী জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তবে অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাঁদের কক্সবাজার সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

এ ঘটনায় গতকাল রাতে উপপরিদর্শক রাইটন দেব বাদী হয়ে মহেশখালী থানায় আহসান উল্লাহর ভাই কলিম উল্লাহকে প্রধান আসামি করে ১৮ জনের বিরুদ্ধে একটি মামলা করেন। তবে আজ বৃহস্পতিবার দুপুর পর্যন্ত ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান আতাহার ইকবালের ওপর হামলার ঘটনায় থানায় কোনো মামলা হয়নি বলে জানিয়েছে পুলিশ।

চিকিৎসাধীন আতাহার ইকবাল বলেন, গত বছরের আগস্টে ধলঘাট ইউপির সাবেক চেয়ারম্যান আহসান উল্লাহ গ্রেপ্তার হন। তিন মাস পর জামিনে মুক্তি পেয়ে এলাকায় এসে তাঁর বাহিনী নিয়ে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড চালাচ্ছেন। এসবের প্রতিবাদ করায় ক্ষুব্ধ হয়ে আহসান উল্লাহ ও তাঁর লোকজন সশস্ত্র হামলা চালিয়েছেন। পুলিশ সদস্যরা এগিয়ে না এলে তাঁকে হত্যা করে ফেলতেন তাঁরা।

তবে এ বিষয়ে বক্তব্যের জন্য কয়েকবার যোগাযোগের চেষ্টা করেও আহসান উল্লাহকে পাওয়া যায়নি।

খবর পেয়ে গতকাল সন্ধ্যায় তাৎক্ষণিকভাবে একদল পুলিশ নিয়ে মহেশখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ কাইছার হামিদ ঘটনাস্থলে যান। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, আহসান উল্লাহ ও তাঁর অনুসারীরা এই হামলা চালিয়েছেন। ঘটনায় জড়িত ব্যক্তিদের ধরার জন্য পুলিশ চেষ্টা করছে।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: প ল শ সদস য র ইটন দ ব ম হ ম মদ উপজ ল ইউপ র গতক ল

এছাড়াও পড়ুন:

১৭নং ওয়ার্ড বিএনপির প্রাথমিক সদস্য নবায়ন ও নতুন সদস্য ফরম বিতরণ 

নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির অন্তর্গত সদর থানা বিএনপির আওতাধীন ১৭নং ওয়ার্ড বিএনপির প্রাথমিক সদস্য নবায়ন ও নতুন সদস্য ফরম কার্যক্রম বিতরণ করা হয়েছে। মঙ্গলবার (১ জুলাই) বিকেল শহরের পাইপাড়া জয়গোবিন্দ স্কুল মাঠে ১৭নং ওয়ার্ড বিএনপির উদ্যোগে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। 

মহানগর ১৭নং ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি ফারুক আহমেদের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক কাজী জিয়াউল হাসান নাঈমের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক এড. সাখাওয়াত হোসেন খান, প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব এড. আবু আল ইউসুফ খান টিপু, বিশেষ অতিথি নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক এড. জাকির হোসেন, যুগ্ম আহ্বায়ক ফতেহ মোহাম্মদ রেজা রিপন, সদর থানা বিএনপির সভাপতি মাসুদ রানা, সাধারণ সম্পাদক এড. এইচ এম আনোয়ার প্রধান।

এছাড়াও আরও উপস্থিত ছিলেন, মহানগর বিএনপির সাবেক সহ- সাংগঠনিক সম্পাদক এড. কাজী রুবায়েত হোসেন সায়েম, মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য মাকিত মোস্তাকিন শিপলু, বিএনপি, ১৭নং ওয়ার্ড বিএনপির সিনিয়র সহ-সভাপতি লুৎফর রহমান মন্টু, সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সালাউদ্দিন মোল্লা, সাংগঠনিক সম্পাদক পলাশ প্রধান, দপ্তর সম্পাদক নাজমুল হাসান রাব্বি, প্রচার সম্পাদক লিয়াকত আলী লিটন, ক্রীড়া সম্পাদক মো. স্বপন প্রমুখ।
 

সম্পর্কিত নিবন্ধ