ফিলিস্তিনি তরুণ কথাসাহিত্যিকের ডিলান টমাস পুরস্কার লাভ
Published: 23rd, May 2025 GMT
ফিলিস্তিনি তরুণ ঔপন্যাসিক ইয়াসমিন জাহের যুক্তরাজ্যের সোয়ানসি বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিলান টমাস পুরস্কার পেয়েছেন। তাঁর প্রথম উপন্যাস ‘দ্য কয়েন’-এর জন্য তরুণ লেখক বিভাগে তিনি এই পুরস্কার পান। ১৯১৪ সালে যুক্তরাজ্যের সোয়ানসিতে জন্মগ্রহণকারী লেখক ডিলান টমাসের নামকরণে যাত্রা শুরু হয় এই পুরস্কারের।
ডিলান ৩৯ বছর বয়সে মারা যান। কবির জীবনকালের সঙ্গে সংগতি রেখে প্রতিযোগী লেখকদের জন্য শর্ত জুড়ে দেওয়া হয়, তাদের বয়স যেন হয় ৩৯ বছরের মধ্যে। লেখকের জীবন ও কর্মকে সম্মান জানাতে সৃজনশীল তরুণ লেখকদের অনুপ্রেরণা জোগাতে আন্তর্জাতিকভাবে মর্যাদাপূর্ণ এই পুরস্কার দেওয়া হয়। পুরস্কারের অর্থমূল্য ত্রিশ হাজার পাউন্ড। ২০১০ সালে ইংরেজি ভাষায় প্রকাশিত লেখকদের উন্মুক্ত পুরস্কারটি মূলত দ্বিবার্ষিকভাবে দেওয়া হলেও পরবর্তী সময়ে এটি একটি বার্ষিক পুরস্কারে পরিণত হয়। ইয়াসিন জাহের ১৫ মে সন্ধ্যায় অনুষ্ঠানিকভাবে পুরস্কারটি গ্রহণ করেন।
বিচারকদের প্রধান নমিতা গোখেল বলেন, এবারের বইগুলোর মধ্যে বৈচিত্র্য আছে; ইতিহাসের সঙ্গে সমকালীন বিষয় পাওয়া যাবে এ বইগুলোতে। চিরন্তন ও বিশ্বজনীন বিষয়ও রয়েছে। লেখকদের লেখার শৈলী ও প্রাণশক্তির কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, তাদের লেখা পুরোপুরি চমৎকার এবং নতুন। বিচারকদের মতে, ‘দ্য কয়েন’ একটি সাহসী উপন্যাস। এটি নিউইয়র্ক শহরের একটি মিডল স্কুলে পড়ানোর সময় একজন তরুণ ফিলিস্তিনি মহিলার গভীর তাৎপর্যপূর্ণ পরিণতি সম্পর্কে বর্ণনা করা হয়েছে; যিনি বার্কিন ব্যাগ বিক্রির একটি চক্রান্তে আটকা পড়েন এবং তাঁর শরীর ও মনের ওপর নিয়ন্ত্রণ অর্জনের চেষ্টা করেন। v
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: প রস ক র প রস ক র ল খকদ র
এছাড়াও পড়ুন:
‘প্রধান উপদেষ্টা পদত্যাগ করবেন না’ লেখা সরিয়ে নতুন পোস্ট দিলেন ফয়েজ তৈয়্যব
‘প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস পদত্যাগ করবেন না। তার ক্ষমতা প্রয়োজন নেই। কিন্তু একটি শান্তিপূর্ণ গণতান্ত্রিকভাবে ক্ষমতা হস্তান্তরের জন্য ড. ইউনূসকে দরকার আছে।’
শুক্রবার দুপুরে এ কথা লিখে ফেসবুকে পোস্ট দেন ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব।
এ নিয়ে বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। তবে বিকেল পৌনে ৪টার দিকে পোস্টটি ডিলিট করে আরেকটি পোস্ট দেন তিনি।
বিকেলের পোস্টে ফয়েজ তৈয়্যব লেখেন, ‘ডিসক্লেইমার। মাননীয় প্রধান উপদেষ্টা স্যারের বিষয়ে দেওয়া স্ট্যাটাসটি আমার ব্যক্তিগত মতামত। এটাকে নিউজ না করার অনুরোধ জানানো যাচ্ছে। ধন্যবাদসহ।’
দুপুরের পোস্টে তিনি লিখেছিলেন, ‘প্রধান উপদেষ্টা পদত্যাগ করবেন না। অধ্যাপক ডক্টর মুহাম্মদ ইউনূসের ক্ষমতা প্রয়োজন নেই, কিন্তু বাংলাদেশের জন্য, বাংলাদেশের শান্তিপূর্ণ ডেমোক্রেটিক ট্রানজিশনের জন্য ড. ইউনূস স্যারের দরকার আছে। বরং ক্যাবিনেটকে আরও গতিশীল হতে হবে। সরকারকে আরও বেশি ফাংশনাল হতে হবে, উপদেষ্টাদের আরও বেশি কাজ করতে হবে, দৃশ্যমান অগ্রগতি জনতার সামনে উপস্থাপন করতে হবে—এ ব্যাপারে কোনো দ্বিমত থাকতে পারে না। আমাদের দেখাতে হবে যে, গণ-অভ্যুত্থান পরবর্তীতে জনতার সম্মতিতে ক্ষমতায় এসে প্রফেসর সাফল্য দেখিয়েছেন। বিশ্ব সম্প্রদায়ের কাছে ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সম্মান আছে, এটা রক্ষা করা আমাদের দায়িত্ব।’
ফয়েজ তৈয়্যব লেখেন, ‘আমি মনে করি, সরকারকে এখন থেকে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আরও নিবিড়ভাবে আলোচনায় বসতে হবে, নিয়মিত বসে এবং বিভিন্ন বিষয়ে তাদের মতামত চাইতে হবে। কোনো ধরনের বিচ্ছিন্নতা কাম্য নয়। পাশাপাশি সেনাবাহিনীও রাজনীতিতে নাক গলাতে পারবে না। আজকের দুনিয়ায় কোনো সভ্য দেশের সেনাবাহিনী রাজনীতি করে না। তাই ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচনের বক্তব্যে সেনাপ্রধান জুরিশডিকশনাল কারেক্টনেস রক্ষা করতে পারেননি। তবে সেনাবাহিনীকে প্রাপ্য সম্মান দেখাতে হবে, আস্থায় রাখতে হবে। সেনাবাহিনী প্রশ্নে হুট করে কিছু করা যাবে না, হঠকারী কিছু করা যাবে না। তেমনি, ইনক্লুসিভনেসের নাম করে আওয়ামী লীগের পুনর্বাসনও চাওয়া যাবে না। বাংলাদেশ সেনাবাহিনী আমাদের গর্ব এবং আস্থার জায়গা, সেটা কেউ ভঙ্গ করবে না।’
নির্বাচনের বিষয়ে ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব লেখেন, ‘সকল দরকারি প্রস্তুতি শেষ করে নির্বাচন এপ্রিল-মের মধ্যেই অনুষ্ঠিত হবে বলেই আশা করি। এ সময়ে সকল যৌক্তিক সংস্কার সম্পন্ন করতে হবে, করতে হবে জুলাই সনদ।’