গাজায় ইসরায়েলের হামলায় ২২০ সাংবাদিক নিহত
Published: 25th, May 2025 GMT
গাজায় ১৯ মাস ধরে চলমান হামলায় মোট ২২০ জন সাংবাদিক নিহত হয়েছেন। গাজার জনসংযোগ কার্যালয় এ হিসাব দিয়েছে। এই সাংবাদিকদের মধ্যে রয়েছেন আশরাফ আবু নার নামের একজন। আজ রোববারই ইসরায়েলের হামলায় নিহত হয়েছেন তিনি।
২০২৩ সালের অক্টোবর থেকে গাজায় হামলা চালিয়ে যাচ্ছে ইসরায়েল। মাস দুয়েকের যুদ্ধবিরতির সময় ছাড়া উপত্যকাটিতে নির্বিচার চলছে মানুষ হত্যা। আজও গাজায় অন্তত ২৩ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। এ দিন দক্ষিণের খান ইউনিস, উত্তরের জাবালিয়া ও মধ্য গাজার নুসেইরাতে হামলা হয়েছে।
গাজার জনসংযোগ কার্যালয়ের হিসাবে, গাজায় ১৯ মাস ধরে চলমান হামলায় এখন পর্যন্ত ২২০ জন সাংবাদিক নিহত হয়েছেন। এ নিয়ে সংঘাত শুরুর পর থেকে উপত্যকাটিতে প্রায় ৫৪ হাজার ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে স্থানীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। তাঁদের মধ্যে নারী ও শিশুই বেশি। এ সময় আহত হয়েছেন প্রায় ১ লাখ ২৩ হাজার মানুষ।
উদ্ধার সরঞ্জামের অভাবে গাজায় হাজার হাজার মানুষ ধ্বংসস্তূপের নিচে চাপা পড়ে মারা যাচ্ছেন বলে জানিয়েছে উপত্যকাটির সিভিল ডিফেন্স কর্তৃপক্ষ। আজ সিভিল ডিফেন্সের কর্মকর্তা মোহাম্মাদ আল-মুগাইর বলেন, ‘আমাদের তথ্য অনুযায়ী আমরা সহায়তা করতে না পারার কারণে ৯ হাজার ৭০০ জন ধ্বংসস্তূপের নিচে আটকা পড়া অবস্থায় শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেছেন।’
গাজায় ইসরায়েলের ওপর পাল্টা আঘাত হানার কথা বলেছে হামাসের সশস্ত্র শাখা কাসেম ব্রিগেডস। তাদের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, ২০ মে খান ইউনিসের আল-কারারা এলাকায় একটি বাড়িতে ইসরায়েলি সেনাদের একটি দল অবস্থান করছিল। সেখানে হামাস যোদ্ধারা বিস্ফোরণ ঘটায়। এতে বাড়িটি ধ্বংস হয়ে যায় এবং ‘শত্রু’ সেনারা হতাহত হন।
অনাহারে শিশুর মৃত্যু
এদিকে ইসরায়েল গাজায় দিনে ১০০ ট্রাক ত্রাণ প্রবেশের অনুমতি দিলেও তার অনেক কম পাওয়া যাচ্ছে বলে জানিয়েছে উপত্যকাটির কর্তৃপক্ষ। ইসরায়েলের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, গাজার ওপর থেকে অবরোধ তুলে নেওয়ার পর সেখানে ৩০০টি ত্রাণের ট্রাক প্রবেশ করেছে। তবে ফিলিস্তিনের একজন কর্মকর্তার অভিযোগ, মাত্র ৯২ ট্রাক হাতে পেয়েছেন তাঁরা।
এমন পরিস্থিতিতে খাবারসহ জরুরি পণ্যের অভাবে অনাহার-অর্ধাহারে রয়েছেন গাজার বাসিন্দারা। অনেক ত্রাণ বিতরণকেন্দ্রে খাবারের মজুত শেষ হয়ে গেছে। জাতিসংঘের ফিলিস্তিনি শরণার্থীবিষয়ক সংস্থা ইউএনআরডব্লিউএ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে বলেছে, গাজায় প্রতিদিন ৫০০ থেকে ৬০০ ট্রাক ত্রাণ প্রয়োজন। উপত্যকাটির বাসিন্দাদের আর অপেক্ষা করার অবস্থা নেই।
খাবারের অভাবে অনাহারে গাজায় চার বছর বয়সী এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে বলে জানিয়েছে স্থানীয় স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষ। তাঁর নাম মোহাম্মদ ইয়াসিন। এর মধ্য দিয়ে গাজায় ইসরায়েলের অবরোধ শুরুর পর থেকে অনাহারে মৃত ফিলিস্তিনির সংখ্যা বেড়ে ৫৮-তে দাঁড়াল।
.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
সংগীতশিল্পী দীপ মারা গেছেন
রাস্টফ ব্যান্ডের ভোকাল আহরার মাসুদ মারা গেছেন। সেমাবার (১৫ সেপ্টেম্বর) দিবাগত রাতে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। ভক্তদের কাছে দীপ নামে পরিচিত ছিলেন আহরার মাসুদ।
মঙ্গলবার (১৬ সেপ্টেম্বর) সকাল ৮টায় ব্যান্ডের অফিশিয়াল ফেসবুক পেজে এ তথ্য জানানো হয়। তবে এ শিল্পীর মৃত্যুর কারণ সম্পর্কে কিছু জানা যায়নি।
আরো পড়ুন:
৫০ শয্যার থানচি হাসপাতাল চলছে একজন চিকিৎসকে
সিজেএফবি পারফরম্যান্স অ্যাওয়ার্ড ঘোষণা
রাস্টফ ব্যান্ডের ফেসবুক পেজে দীপের মৃত্যুর খবর জানিয়ে লেখা হয়, “এমন এক বেদনাদায়ক মুহূর্তে সঠিক শব্দ খুঁজে পাওয়া বা কোনো শব্দ খুঁজে পাওয়া—প্রায় অসম্ভব। প্রিয় ভোকালিস্ট, বন্ধু ও সহযাত্রী আহারার ‘দীপ’ মাসুদের মৃত্যুসংবাদ আমাদের স্তম্ভিত করেছে। আমরা শোকে ভেঙে পড়েছি, এখনো অবিশ্বাসের ভেতর ডুবে আছি। গত রাতেই তিনি আমাদের ছেড়ে চিরবিদায় নিয়েছেন।”
দীপের শূন্যতা ব্যাখ্যা করে লেখা হয়, “তার পরিবার, বন্ধু ও প্রিয়জনদের প্রতি আমাদের অন্তরের সমবেদনা ও প্রার্থনা। আপনাদের মতো আমরাও এই অপূরণীয় ক্ষতি বোঝার চেষ্টা করছি, চেষ্টা করছি দীপের অসাধারণ প্রতিভাকে সম্মান জানাতে এবং তার চেয়েও বড় কথা—মানুষ হিসেবে তিনি আমাদের কাছে যে অমূল্য ছিলেন, তাকে স্মরণ করতে। এই কঠিন সময়ে সবার কাছে অনুরোধ, দয়া করে পরিবার ও কাছের মানুষদের ব্যক্তিগত পরিসরকে সম্মান করুন এবং তার আত্মার শান্তির জন্য প্রার্থনা করুন। শান্তিতে ঘুমাও, দীপ। তোমার শূন্যতা চিরকাল বেদনাময় হয়ে থাকবে।”
তরুণদের কাছে জনপ্রিয় আরেকটি ব্যান্ড পাওয়ারসার্চও দীপের মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেছে। ব্যান্ডের অফিশিয়াল ফেসবুক পেজে লেখা হয়েছে, “স্মরণ করছি আহরার মাসুদ দীপকে। কিছুক্ষণ আগে আমরা হারিয়েছি আমাদের প্রিয় ভাই, ঘনিষ্ঠ বন্ধু এবং এক সত্যিকারের শিল্পীকে। এক্লিপস, কার্ল, ক্যালিপসো ও সবশেষ রাস্টফ ব্যান্ডের অবিস্মরণীয় কণ্ঠ আহরার মাসুদ দীপ আমাদের মাঝে আর নেই। ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন।”
পাওয়ারসার্চ আরো লেখেন, “আহরার মাসুদ দীপ শুধু একজন ভোকালিস্টই ছিলেন না, তিনি ছিলেন শক্তি, সৃজনশীলতা আর আবেগের প্রতীক, যিনি তার চারপাশের সবাইকে অনুপ্রাণিত করেছেন; একই সাথে তার অত্যন্ত নমনীয় ব্যবহার, যা সবাইকে তাঁর শুভাকাঙ্ক্ষীই করে ফেলত! শান্তিতে থাকো ভাই, তুমি সব সময় আমাদের গল্পের অংশ হয়ে থাকবে।”
ঢাকা/শান্ত