বিশ্ববিদ্যালয়ে বুলিং-র্যাগিং যেন স্থান না পায়: জবি উপাচার্য
Published: 23rd, January 2025 GMT
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. রেজাউল করিম বলেছেন, “ক্যাম্পাসে বুলিং ও র্যাগিং যেন কোনভাবেই স্থান না পায়। এজন্য সব শিক্ষার্থীকে সচেতন হতে হবে। ইতোমধ্যে র্যাগিং ও বুলিংয়ের কারণে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থীসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের মর্যাদা ক্ষুণ্ন হয়েছে। জবির নতুন ২০তম ব্যাচ আসার আগেই র্যাগিং ও বুলিংয়ে ‘জিরো টলারেন্স’ চাই।”
বৃহস্পতিবার (২৩ জানুয়ারি) বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মিলনায়তনে আয়োজিত ‘রেইজিং অ্যাওয়ারনেস: কমব্যাটিং বুলিং অ্যান্ড র্যাগিং ইন ইউনিভার্সিটি ক্যাম্পাস’ শীর্ষক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, “র্যাগিং ও বুলিংয়ের প্রতিকারের চেয়ে প্রতিরোধে বেশি মনোযোগ দিতে হবে। র্যাগিং-বুলিং প্রতিরোধে বিশেষ গবেষণা প্রকল্প হলে অনুমোদন দেওয়া হবে। আমাদের লক্ষ্য একটি সহনশীল, নিরাপদ ও বন্ধুত্বপূর্ণ পরিবেশ তৈরি করা। যেখানে প্রতিটি শিক্ষার্থী নিজের মেধা ও যোগ্যতার ভিত্তিতে এগিয়ে যেতে পারে।”
সেমিনারে কি-নোট স্পিকার হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের বুলিং অ্যান্ড র্যাগিং প্রিভেনশন কমিটির আহ্বায়ক এবং মনোবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড.
তিনি বলেন, “বুলিং ও র্যাগিংয়ের প্রভাবে সমাজে ব্যক্তিকেন্দ্রিক বিরূপ প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়। এসব বিষয় থেকে উত্তরণের উপায় বের করতে হবে। বুলিং ও র্যাগিং শুধু শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন নয়, এটি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার পরিবেশকেও প্রভাবিত করে। আমাদের সবাইকে সচেতন হতে হবে, যাতে ক্যাম্পাসে এ ধরনের ঘটনার পুনরাবৃত্তি না হয়।”
এ সময় উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজকর্ম বিভাগের চেয়ারম্যান ও পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক (অ.দা.) অধ্যাপক ড. মোস্তফা হাসান, সহযোগী অধ্যাপক মোস্তাফিজ আহমেদ, আইন বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক মুহম্মদ আসাদুজ্জামান সাদী, সমাজবিজ্ঞান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক মো. আমিনুল ইসলাম প্রমুখ।
বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-কল্যাণ দপ্তরের পরিচালক ড. কেএএম রিফাত হোসেনের সঞ্চালনায় সেমিনারে স্বাগত বক্তব্য দেন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ তাজাম্মুল হক। এছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৮তম ও ১৯তম ব্যাচের শ্রেণি প্রতিনিধিসহ অন্যান্য অতিথিরা অংশগ্রহণ করেন।
ঢাকা/লিমন/মেহেদী
উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
ঝগড়া থেকে দেয়ালে মাথা ঠোকা, সালমান-ঐশ্বরিয়ার সম্পর্কের বিষয়ে প্রকাশ্যে আনলেন প্রতিবেশী
বলিউডের ইতিহাসে সবচেয়ে আলোচিত প্রেম-বিচ্ছেদের একটি হলো ঐশ্বরিয়া রাই ও সালমান খানের সম্পর্ক। প্রেমের সূচনা হয়েছিল পর্দার আড়ালেই, কিন্তু আলোচনায় আসে ‘হাম দিল দে চুকে সনম’ ছবির মাধ্যমে। ছবির রোমান্স যেন বাস্তব জীবনের প্রতিচ্ছবি হয়ে উঠেছিল। অথচ সেই রূপকথার প্রেমই কিছুদিনের মধ্যে রূপ নেয় দুঃস্বপ্নে। সম্পর্ক ভেঙে যাওয়ার পর শুধু ব্যক্তিজীবন নয়, কর্মজীবনেও কঠিন আঘাত সহ্য করতে হয়েছিল ঐশ্বরিয়াকে।
প্রতিবেশীর চোখে সেই সময়
বিজ্ঞাপন জগতের কিংবদন্তি প্রহ্লাদ কাক্কর ছিলেন ঐশ্বরিয়ার ঘনিষ্ঠজন। ঐশ্বরিয়ার মায়ের একই ভবনে থাকতেন তিনি। সম্পর্কের শুরুর দিক থেকে ক্যারিয়ারের উত্থান—সবকিছু কাছ থেকে দেখেছেন তিনি। তাঁর মতে, সালমান ছিলেন ভীষণ আক্রমণাত্মক। ঐশ্বরিয়ার ওপর প্রভাব বিস্তার করতে চাইতেন। প্রহ্লাদ এক সাক্ষাৎকারে বলেন, ‘সালমান খুবই আক্রমণাত্মক ছিলেন। আমি একই ভবনে থাকতাম, সবকিছু শুনতাম-দেখতাম। ঝগড়া, চিৎকার, এমনকি দেয়ালে মাথা ঠোকা…এগুলো নিয়মিত ছিল। সম্পর্ক আসলে অনেক আগেই ভেঙে গিয়েছিল, শুধু ঘোষণাটা পরে এসেছে। বিচ্ছেদটা সবার মধ্যে স্বস্তি এনেছিল—ঐশ্বরিয়ার, তাঁর বাবা-মায়ের, এমনকি সালমানেরও।’