সাবেক সংসদ সদস্য অধ্যাপক ডা. প্রাণ গোপাল দত্তের মেয়ে ডা. অনিন্দিতা দত্তকে উদ্ধার করেছে সেনাবাহিনী। আজ রোববার বিকেল সাড়ে তিনটার পর তাকে উদ্ধার করা হয়।

এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন বাংলাদেশ মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের একান্ত সচিব রুহুল কুদ্দুস বিপ্লব। তিনি বলেন, সেবাবাহিনী তাকে বাসায় নেওয়ার কথা বলে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে নিয়ে যায়। 

এ বিষয়ে শাহবাগ থানার ওসি খালিদ মনসুর বলেন, অবরুদ্ধ ডা.

অনিন্দিতা দত্তকে উদ্ধার করেছে সেবাবাহিনী। এই ঘটনার সঙ্গে আমাদের কোনো সম্পর্ক নেই। পুলিশ সেখানে যায়নি। তার বিরুদ্ধে মামলা থাকলে ব্যবস্থা নেবে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ব এসএমএমইউ শ হব গ অবর দ ধ

এছাড়াও পড়ুন:

সিদ্ধিরগঞ্জে মাদক সেবনে বাধা দেওয়ায় বসতবাড়িতে হামলা ও লুটপাট, থানায় অভিযোগ

সিদ্ধিরগঞ্জে মাদক সেবনে ও মাদক ব্যবসায় বাধা দেওয়ায় এক বসত বাড়িতে হামলা ও লুটপাট চালিয়েছে কিশোর গ্যাংয়ের সদস্য ও মাদক ব্যবসায়ীরা।

গত শুক্রবার রাত সাড়ে ১০ টার সময় নাসিক ১নং ওয়ার্ডের পাইনাদী পূর্ব পাড়া এলাকায় এ হামলার ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী কামরুন নাহার শারমিন বাদী হয়ে তিন জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত আরও ২০/৩০ জনকে আসামি করে একটি অভিযোগ দায়ের করেন।

অভিযুক্তরা হলেন, নাসিক ১নং ওয়ার্ডের সিআই খোলা এলাকার কালামের ছেলে মো. সাগর (২৩), মো. জাকির হোসেনের ছেলে কিশোর গ্যং লিডার মো. জিহাদ (২৪) ও বিশেষ পেশার পরিচয়দানকারী মো. শরীফ (২৩)।

অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, অভিযুক্তরা গত শুক্রবার সকালে উক্ত বসত বাড়ির পিছনে মাদক সেবন ও ক্রয় বিক্রয় করতে ছিলো। উক্ত ঘটনা দেখে ভুক্তভোগীর স্বামী তাদের মাদক সেবন ও ক্রয় বিক্রয়ে বাধা প্রধান করেন। এ নিয়ে তাদের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়। 

এরই জের ধরে শুক্রবার রাতে অভিযুক্তরা ভুক্তভোগীর বাসায় ঢোকার চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়। এক পর্যায়ে ৩নং অভিযুক্ত বিশেষ পেশার পরিচয় দিলে ভুক্তভোগী বাসার মেইন গেট খুলে দেয়। 

পরবর্তীতে অভিুক্তরাসহ অজ্ঞাত আরও ২০/২৫ জন কিশোর গ্যাং সদস্যরা দেশীয় অস্ত্র নিয়ে বাসায় ঢুকে বিভিন্ন আসবাবপত্র ভাংচুর করে ঘরে থাকা নগদ ১ লক্ষ ৫৭ হাজার টাকা লুট করে নিয়ে যায়। এবং যাওয়ার সময় ভুক্তভোগীর কাছে ৫ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেন অভিযুক্তরা। 

পাশাপাশি এ ঘটনায় কোনো আইনি ব্যবস্থা নিলে প্রাণ নাশের হুমকি প্রধান করে চলে যায় তারা। 
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, পাইনাদী পূর্বপাড়া, সি আই খোলা এলাকায় কিশোর গ্যাংয়ের সেল্ডার দাতা ও মাদক ব্যবসা পরিচালনা করতো চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ী রতন।

মাদক মামলায় রতন পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার হয়ে জেল হাজতে আছে। পরবর্তীতে মাদক ব্যবসায়ী রতনের পাইনাদী পূর্বপাড়া, সি আই খোলা এলাকায় সিদ্ধিরগঞ্জ থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি মজিবুর রহমান ও সাবেক কাউন্সিলর ওমর ফারুকের এর ঘনিষ্ট সহচর আতাহার আলী এর নাতি সাগর, জিহাদ, শরিফসহ অজ্ঞাতরা মাদক ব্যবসা বীরদর্পে পরিচালনা করে আসছে।

এলাকাবাসী বলছে এক মাদক ব্যবসায়ী জেল হাজতে গেলেও, এখন দেখি নতুন করে সাগর সিন্ডিকেট মাদক ব্যবসা এবং কিশোর গ্যাং পরিচালনা করে এলাকায়। 

এ বিষয়ে সিদ্ধিরগঞ্জ থানার এএসআই রাশেদুল ইসলাম বলেন, ঘটনাস্থলে গিয়ে ছিলাম। অভিযুক্তরা ঘটনার সাথে জড়িত তারা ওই বাসায় গিয়েছিলো। কিন্তু টাকা নেয়ার যে অভিযোগ উঠেছে তার প্রমান এখনো পাইনি। তদন্ত চলমান বলেও জানান তিনি।
 

সম্পর্কিত নিবন্ধ