মহাসমাবেশ থেকে নতুন দুটি কর্মসূচি ঘোষণা করেছে হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ। নারীর ন্যায্য অধিকার প্রতিষ্ঠার দাবিতে তিন মাসের মধ্যে বিভাগীয় সম্মেলন এবং আগামী ২৩ মে বাদ জুমা চার দফা আদায়ে বিক্ষোভ মিছিল করবে সংগঠনটি।

হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের মহাসচিব মাওলানা সাজিদুর রহমান এসব কর্মসূচি ঘোষণা করেন। আজ শনিবার সকাল ৯টার দিকে রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের মহাসমাবেশ শুরু হয়। বেলা সোয়া একটার দিকে সমাবেশ শেষ হয়।

হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের মহাসমাবেশে নেতা কর্মীরা ঢাকাসহ বিভিন্ন জেলা থেকে অংশ নেন। আজ শনিবার দুপুরে.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ইসল ম ব

এছাড়াও পড়ুন:

বিরে রুমা: মদিনার পানির সংকট দূর করেছে যে কুয়া

মদিনা শহরের ধর্মীয় নিদর্শনগুলোর মধ্যে বিরে রুমা বা রুমা কুয়া একটি বিশেষ স্থান দখল করে আছে। এই কুয়াটি শুধু পানির উৎস নয়, বরং ইসলামি ইতিহাসের এক অনন্য অধ্যায়ের সাক্ষী। মহানবী মুহাম্মদ (সা.)-এর সময়ে মদিনার মুসলিম সম্প্রদায় বিশুদ্ধ পানির তীব্র সংকটে পড়েছিল। এই সংকট দূর করতে উসমান ইবনে আফফান (রা.)-এর অবদান এবং তাঁর মহানুভবতা বিরে রুমা কুয়াকে ইসলামের ইতিহাসে একটি গৌরবময় স্থান দিয়েছে।

সে সময় মদিনায় রুমা নামে এক ইহুদির একটি বড় কুয়া ছিল। এই কুয়ার মালিক মুসলিমদের কাছে চড়া মূল্যে পানি বিক্রি করত। এদিকে মুসলিমরা পানির তীব্র সংকটে পড়েছে। এই সংকটের সময় মহানবী (সা.) উপস্থিত সবাইকে বললেন, ‘তোমাদের মধ্যে এমন কেউ কি আছে, যে এই কুয়া ক্রয় করে মুসলিমদের জন্য ওয়াকফ করে দেবে? আর এটা যে করবে আল্লাহ তাকে জান্নাতে একটি ঝরনা দান করবেন।’

এই আহ্বান শুনে উসমান (রা.) ইহুদির কাছে কুয়াটি ক্রয়ের প্রস্তাব দেন। প্রথমে সে কুয়াটি বিক্রি করতে রাজি হলো না। পরে উসমান (রা.) অর্ধেক কুয়া ক্রয়ের প্রস্তাব করেন, অর্থাৎ ইহুদি একদিন নিজে পানি নেবে এবং অন্যদিন উসমান (রা.) পানি নেবেন বলে সম্মত হয়। উসমান (রা.) তাঁর নির্ধারিত দিনে মুসলিমদের বিনা মূল্যে পানি বিতরণ শুরু করেন। এতে ইহুদির ব্যবসায় সংকট দেখা দিলে সে পুরো কুয়া বিক্রি করতে সম্মত হয়। উসমান (রা.) ৩৫ হাজার দিরহামের বিনিময়ে পুরো কুয়ার মালিকানা লাভ করেন এবং তা মুসলিমদের জন্য ওয়াকফ করে দেন।

আরও পড়ুনমদিনার ঐতিহাসিক স্থান ঘুরে দেখছেন হজযাত্রীরা২৬ জুন ২০২৪

উসমান (রা.)-এর কাজটি মুসলিম সম্প্রদায়ের জন্য একটি অনুকরণীয় দৃষ্টান্ত হয়ে আছে।

বর্তমানে রুমা কুয়াটি সৌদি আরবের কৃষি মন্ত্রণালয়ের অধীন। কুয়াটি এখনও সক্রিয় এবং এর পানি দিয়ে খেজুরবাগানে সেঁচ দেওয়া হয়। আয়তনে কুয়াটি ৮ মিটার গভীর এবং ৩.৬ মিটার চওড়া। বর্তমানে কুয়ার অবস্থান আকীক উপত্যকার মাঝখানে এবং মসজিদে কিবলাতাইন থেকে প্রায় ১ কিলোমিটার উত্তরে। কুয়ার চারপাশে একটি বাগান রয়েছে। সৌদি সরকারের কৃষি মন্ত্রণালয় বাগানটিকে পরীক্ষামূলক কৃষি কেন্দ্র হিসেবে ব্যবহার করছে।

রুমা কুয়ায় যেতে হলে মসজিদে নববি থেকে মানাখা সড়ক ধরে উত্তর দিকে সুলতানা সড়কে যেতে হবে। এই সড়কটি বর্তমানে ইসলামি বিশ্ববিদ্যালয় সড়ক নামে পরিচিত। সেখান থেকে ডান দিকে একটি কালো পাহাড় পড়ে। পাহাড়ের পাশ দিয়ে পশ্চিমমুখী রাস্তা ধরে এগিয়ে গেলে রুমা কুয়া দেখতে পাওয়া যায়।

রুমা কুয়া শুধু একটি ঐতিহাসিক স্থানই নয়, বরং এটি ইসলামি বিশ্বাস ও ঐতিহ্যের এক জীবন্ত সাক্ষী, যা মুসলমানদের জন্য গর্ব ও অনুপ্রেরণার উৎস।

আরও পড়ুন মদিনা যাত্রায় মনের কোণে যত কথা২১ জুন ২০২৪

সম্পর্কিত নিবন্ধ