ছবি: সংগৃহীত

.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

প্রস্রাবের সঙ্গে ফেনা বের হওয়া মানেই কি কিডনী রোগ?

অনেকের প্রসাবের সঙ্গে ফেনা বা প্রোটিন বের হয়। প্রোটিন যাওয়ার মাত্রা বেড়ে গেলে কিডনীর কার্যক্ষমতা কমে আসে এমনকি বিকল হয়ে যেতে পারে। প্রসাবের সঙ্গে প্রোটিন বা আমিষ যদি যায় তাহলে কী করণীয়? 

প্রফেসর ডা. এম এ সামাদ, চীফ কনসালট্যান্ট ও বিভাগীয় প্রদান কিডনী রোগ বিভাগ, বি আর বি হসপিটালস লি. বলেন, ‘‘ অনেক সময় দেখা যায় আপনাকে খুব ক্লান্ত হয়ে, অনেক দৌড়াদৌড়ি করে বা পরিশ্রম করে হঠাৎ প্রস্রাব করলেন, এতে অল্প  পরিমাণ প্রোটিন যেতে পারে। যদি ট্রেস প্রোটিন যায়, এ নিয়ে চিন্তার কোনো কারণ নেই। কিন্তু যদি দেখা যায় যে, ওয়ান প্লাস, টু প্লাস যাচ্ছে অথবা যদি এমন দেখা যায় যে, আপনার চোখের পাতা ভারি হয়ে যাচ্ছে, মুখ ফুলে যাচ্ছে, শরীর ফুলে যাচ্ছে সেই সঙ্গে প্রস্রাব পরীক্ষা করে দেখলেন যে প্রসাবের সঙ্গে প্রোটিন যাচ্ছে তাহলে কিন্তু এটা অবশ্যই গুরুত্ব দিয়ে দেখতে হবে।  

শিশুদের ক্ষেত্রে গলায় ইনফেকশনের কারণেও অনেক সময় কিডনীর প্রদাহ হতে পারে। বড়দের ক্ষেত্রেও প্রোস্রাবের সঙ্গে প্রোটিন গেলে খুব গুরুত্বের সঙ্গে দেখতে হবে। কেন প্রোটিন যায়, সেটা দেখার জন্য কিডনির আশপাশের জায়গা অবশ করে সুঁই দিয়ে একটা স্যাম্পল নেওয়া হয়, তাকে বলা হয় কিডনী বায়োপসি। এরপর মাইস্কোপে পরীক্ষা করে দেখা হয় যে, কোন ধরণের কিডনী রোগের কারণে প্রোটিন যাচ্ছে। 

আরো পড়ুন:

স্ক্যাবিস কেন ভালো হচ্ছে না 

‘ব্যায়াম করে ওজন কমাতে চাইলে ব্রেন চাপ অনুভব করে’

সঠিক সময়ে কারণ নির্ণয় করে চিকিৎসা দেওয়া হলে প্রস্রাবের সঙ্গে প্রোটিন যাওয়া বন্ধ হতে পারে, এতে কিডনী বিকল হওয়া থেকে রক্ষা পেতে পারে। সময় মতো চিকিৎসা নিলে এটা কিউর হয়ে যেতে পারে, অনেকক্ষেত্রেই।

ঢাকা/লিপি

সম্পর্কিত নিবন্ধ