Samakal:
2025-06-16@08:57:55 GMT

শুটিংয়ের অন্দরে

Published: 27th, March 2025 GMT

শুটিংয়ের অন্দরে

বড় বাজেটের সিনেমা, তারকাদের ঝলমলে উপস্থিতি, ক্যামেরার ঝলকানি—এ সবই পর্দায় দর্শক দেখেন। কিন্তু এর পেছনে থাকে একগাদা গল্প, হাসির মুহূর্ত, দুঃখ, ক্লান্তি আর কখনও কখনও ছোটখাটো দুর্ঘটনা। সিনেমার শুটিং মানেই একটা আলাদা দুনিয়া, যেখানে বাস্তবের সঙ্গে পর্দার জীবনের প্রতিনিয়ত লড়াই চলে। দুই নির্মাতার শুটিংয়ের অন্দরের গল্প লিখেছেন মীর সামী

অমিতাভ রেজা
সিনেমা বানানোটা কখনোই শুধু ক্যামেরা অন করে শট নেওয়া নয়, একটি স্বপ্নের মতো, যেটি ধীরে ধীরে বাস্তব হয়। ‘আয়নাবাজি’ আমার কাছে শুধুই একটি সিনেমা নয়, এটি একটি সময়, একটি অনুভূতি, একটি শহরের গল্প, যেখানে ভালো-মন্দ, সত্য-মিথ্যা একে অপরের আয়নায় প্রতিফলিত হয়। আমি সবসময় চেয়েছি এমন একটি সিনেমা বানাতে, যেটি আমাদের শহরকে অন্যভাবে দেখাবে। ঢাকা শহর, তার রহস্য, তার মানুষ– এসব মিলিয়েই ‘আয়নাবাজি’। সিনেমার মূল চরিত্র আয়না– যে একজন মাস্টারমাইন্ড অভিনেতা, কিন্তু তার মঞ্চ সিনেমার পর্দায় নয়, বরং বাস্তব জীবন! এই চরিত্রটা যখন গুছিয়ে উঠল, তখনই মনে হলো, এবার কাজটি শুরু করা দরকার। আমাদের সিনেমার সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ ছিল ঢাকার আসল রূপ ধরা। আমি চাইনি কৃত্রিম সেট বানিয়ে শুটিং করি, বরং চাইছিলাম সত্যিকারের ঢাকা শহরটি ক্যামেরায় তুলে আনতে। আমরা পুরান ঢাকার অলিগলি ঘুরতে শুরু করলাম। একেকটা জায়গায় ঢুকলেই মনে হতো, ‘এটিই হতে পারে আয়নার দুনিয়া!’ পুরান ঢাকার সরু গলি, শত বছরের পুরোনো বাড়ি, রাস্তার পাশে চায়ের দোকান–এ সবকিছু মিলে আয়নার গল্পের বাস্তবতা তৈরি হলো।
আমার মনে আছে, ‘আয়নাবাজি’র শুটিংয়ের সময় একটি দৃশ্য ছিল যেখানে চঞ্চল (চঞ্চল চৌধুরী) ধীর পায়ে রাস্তা দিয়ে হেঁটে আসবে, খুবই স্টাইলিশ শট। সব রেডি। আমি বললাম, ‘অ্যাকশন!’
চঞ্চল হাঁটতে শুরু করল। ঠিক তখনই, পাশের রাস্তায় একটা ভ্যানওয়ালা জোরে চেঁচিয়ে উঠল, ‘এই যে আপনেরা শুটিং করতাছেন, এইডা নাটক না সিনেমা?’
ক্যামেরার ফ্রেমে চঞ্চল, সঙ্গে ভ্যানওয়ালার মাথা!
আমি চিৎকার দিয়ে বললাম, ‘কাট! ভাই, একটু চুপ করবেন?’
ভদ্রলোক একদম অবাক হয়ে বললেন, ‘আরে ভাই, আমি তো মাইক্রোফোন পাই নাই, কেমনে চুপ করমু?’
আমরা সবাই হেসে উঠলাম। শুটিং বন্ধ রেখে তাঁকে বুঝিয়ে বিদায় দিলাম।
যাই হোক। সিনেমার সবচেয়ে বড় শত্রু হলো রিটেক।
একটি দৃশ্য পারফেক্ট করতে কতবার যে রিটেক দিতে হয়, তার হিসাব নেই।
একবার একটি সংলাপ ছিল, যেখানে চঞ্চলকে বলতে হবে— ‘মানুষ আয়না দেখে নিজেকে চেনে, কিন্তু আমি?’
ডেলিভারি একটুর জন্য পারফেক্ট হচ্ছিল না। চারবার শট নিলাম। পাঁচবার নিলাম। দশবার নিলাম।
অবশেষে চঞ্চল বলল, ‘দেখেন, আমি আয়নায় তাকিয়ে আগে নিজেকে চিনে নিই, তারপর সংলাপ বলি!’
শুটিং সেটে হাসির রোল উঠল।
‘অ্যাকশন সিন’ বিপদের আরেক নাম
একটা দৃশ্যের কথা ভুলতেই পারি না। সিনেমার ক্লাইম্যাক্স শুট করছি। চঞ্চলকে ছাদ থেকে নিচে নামতে হবে। সব ঠিকঠাক, ক্যামেরা রেডি, স্টান্ট টিম প্রস্তুত।
‘অ্যাকশন!’
চঞ্চল ঝাঁপ দিল।
কিন্তু ভুলটা হলো অন্য জায়গায়– নিচে সেফটি ম্যাট ঠিকমতো রাখা হয়নি!
আমি দৌড়ে গিয়ে দেখি, চঞ্চল হাসছে, বলছে, ‘ভাই, আমি বেঁচে আছি, কিন্তু একটু ব্যথা পেয়েছি!’
এই জন্যই আমি বলি, সিনেমা বানানো মানেই শুধু গল্প বলা নয়, বরং একটা যুদ্ধে নামা।
‘শেষ দিন, শেষ হাসি’ সিনেমার শুটিংয়ের শেষ দিনটা সবসময় অদ্ভুত এক অনুভূতি দেয়। সবাই ক্লান্ত, কিন্তু বিদায়ের মন খারাপও থাকে। সেদিন সেটে সবাই দৌড়াদৌড়ি করছে, লাইট প্যাকিং হচ্ছে, ক্যামেরা খুলে নেওয়া হচ্ছে। চঞ্চল, নাবিলা, পার্থদা সবাই বসে আছেন, ক্লান্ত কিন্তু খুশি।
আমি চুপচাপ দাঁড়িয়ে দেখছিলাম।
একজন এসে বলল, ‘ভাই, আরেকটি টেক নেবেন?’
আমি একটু হেসে বললাম, ‘না, এবার আসল সিনেমার জন্য অপেক্ষা করা যাক!’
সিনেমা বানানো অনেক কষ্টের, কিন্তু শেষ পর্যন্ত পর্দায় যখন সেটি দেখা যায়, তখন মনে হয়—এই যুদ্ধটা জেতাই ছিল আসল আনন্দ!

মেজবাউর রহমান সুমন
আমি জানতাম, ‘হাওয়া’ সহজ কোনো ছবি হবে না। সমুদ্রের গল্প মানেই অনিশ্চয়তা, আর অনিশ্চয়তার মধ্যেই তো সবচেয়ে সুন্দর গল্পগুলো লুকিয়ে থাকে। প্রথম থেকেই সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম, বাস্তবের কাছাকাছি যেতে হলে আমাদের সত্যিকার অর্থেই সমুদ্রে নামতে হবে। কিন্তু গভীর সমুদ্রে শুটিং করা যে এতটা কঠিন হবে, সেটি কেউ কল্পনাও করতে পারেনি। আমাদের যাত্রা শুরু হয়েছিল একদল স্বপ্নবাজ মানুষকে নিয়ে। চঞ্চল ভাই, নাসির ভাই, রাজ, আর পুরো টিমকে নিয়ে আমরা গভীর সমুদ্রে রওনা দিলাম একটি ফিশিং ট্রলারে। ধীরে ধীরে মোবাইল নেটওয়ার্ক মিলিয়ে গেল, তীরে ফেলে আসা শহরের আলোও দূরে হারিয়ে গেল। আমাদের সামনে শুধু জলরাশি, মাথার ওপর বিশাল আকাশ। শুটিং শুরুর আগেই মনে হলো, আমরা একটি নতুন পৃথিবীতে এসে পড়েছি। প্রথম কয়েক ঘণ্টা সবার মধ্যে রোমাঞ্চ ছিল। তারপরই শুরু হলো আসল চ্যালেঞ্জ। ঢেউয়ের ধাক্কায় শরীরের ভারসাম্য ঠিক রাখা যাচ্ছিল না, শুটিং তো দূরের কথা, সোজা হয়ে দাঁড়ানোই কঠিন হয়ে পড়ল। ট্রলারের একটানা দুলুনি, খাবারের সীমাবদ্ধতা, মোবাইল নেটওয়ার্কের অনুপস্থিতি– সব মিলিয়ে ধীরে ধীরে এক অদ্ভুত মানসিক পরীক্ষার মধ্যে পড়লাম আমরা। সবচেয়ে বড় সমস্যা হলো সি-সিকনেস। একেকজন খাবার খেয়েই বমি করে দিচ্ছিল।
সাগরে শুটিং মানে প্রতিদিন একরকম নতুন যুদ্ধ। কখনও ঢেউয়ের সঙ্গে লড়াই, কখনও সূর্যের প্রচণ্ড তাপ, কখনও আবার হঠাৎ ঝড়। এর মধ্যেও কিছু ঘটনা আছে, যা কখনও ভুলব না।
প্রথম দিন: সমুদ্রের আসল রূপ
আমরা তখন গভীর সমুদ্রে শুটিং করছি। ছোট্ট একটি ট্রলারে পুরো ইউনিট, ক্যামেরা সেট, লাইট, সবকিছু। প্রথম দিনেই আমি বুঝলাম, এখানে কোনো কিছু আমাদের নিয়ন্ত্রণে নেই।
‘অ্যাকশন!’ বলার সঙ্গে সঙ্গে ঢেউ এলো। পুরো ট্রলার দুলে উঠল। ক্যামেরা প্রায় পড়ে যাচ্ছিল, টেকনিশিয়ানরা ঝাঁপিয়ে গিয়ে ক্যামেরা সামলালো।
আমি তখনই বুঝলাম, এই সিনেমাটি আমাদের নয়, এটি সমুদ্রের, ওর মর্জির ওপরই সব নির্ভর করছে!
সিনেমার সবচেয়ে কঠিন দৃশ্যগুলোর মধ্যে একটি ছিল– চঞ্চল চৌধুরী [চান মাঝি] আর অন্য শিল্পীদের ট্রলারের গায়ে দাঁড়িয়ে থাকা। সাগরের মধ্যে ট্রলার এমনভাবে দুলছিল যে মনে হচ্ছিল, যেকোনো সময় কেউ পড়ে যাবে।
চঞ্চল ভাইকে বললাম, ‘ভাই সাবধানে, আপনার ভারসাম্য রাখতে পারবেন তো?’
তিনি মুচকি হেসে বললেন, ‘আমি তো মাঝি, পানির ছেলে, আমার ভয় কী?’

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: অ য কশন আম দ র প রথম বলল ম সবচ য়

এছাড়াও পড়ুন:

‘ভালোবাসার আসল রূপটাই যেন ছিলেন আব্বা’

এবারের বাবা দিবস আমার কাছে একটু অন্যরকম। চারপাশ যেন কিছুটা বেশি নিস্তব্ধ, হৃদয়ের ভেতর যেন একটু বেশি শূন্যতা। কারণ এবার প্রথমবারের মতো আমার আব্বাকে ছাড়াই কাটছে দিনটি। আব্বা চলে গেছেন গত জানুয়ারিতে। ফলে বাবা দিবস এখন আর কেবল উদযাপনের দিন নয়– এটি হয়ে উঠেছে স্মরণ, অনুধাবন ও আমার জীবনের সবচেয়ে গুরত্বপূর্ণ মানুষের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদনের উপলক্ষ। আব্বা না থেকেও আছেন, তবে এক ভিন্ন অনুভবে– আমার নীরব নিঃশব্দ অভিভাবক হয়ে।    

আমাদের সমাজে কিংবা বলা যায় পারিবারিক সংস্কৃতির বাবারা সবসময় প্রকাশের ভাষায় ভালোবাসা বোঝান না। তাদের স্নেহ, দায়িত্ববোধ ও নিবেদন অনেক সময়েই নীরব থাকে, তবে গভীরভাবে অনুভব করা যায়। আমার আব্বাও ছিলেন তেমনই একজন। আব্বা ছিলেন আমার দিকনির্দেশক, আমার রক্ষাকবচ, আমার জীবনপথের চুপচাপ ভরসা। 

আব্বার অ্যাজমা ছিল, তা সত্ত্বেও তিনি ছিলেন অত্যন্ত স্বাস্থ্যসচেতন। নিজের শরীরের প্রতি যত্ন নিতেন, আমাদের প্রতিও ছিল তাঁর সজাগ দৃষ্টি। আমি কিংবা আমার মেয়ে সামান্য অসুস্থ হলেই তিনি অস্থির হয়ে যেতেন। তাঁর যখন ৭৯ বছর বয়স, তখনও আমি ডাক্তারের কাছে একা যেতে গেলে বলতেন, ‘তুমি একা যাবে কেন? আমি যাচ্ছি।’ এই কথা বলার মানুষটাকে প্রতি পদে পদে আমার মনে পড়ে, যেন দূর থেকে দেখছেন সবই। আর আমিও তাঁর কনুই-আঙুল ধরে হেঁটে যাচ্ছি জীবনের পথে।    

আব্বা ছিলেন একজন পুরোদস্তুর ধার্মিক মানুষ। শৈশব থেকে নামাজের গুরুত্ব তিনি আমার মধ্যে গভীরভাবে বপন করার চেষ্টা করে গেছেন। কখনও নরম সুরে, আবার কখনও খুব জোর গলায়। তখন মনে হতো তিনি চাপ দিচ্ছেন; কিন্তু এখন তাঁর অনুপস্থিতির নিস্তব্ধতায় আমি সেই কণ্ঠস্বরের জন্য আকুল হই।

অফিস থেকে ফিরতে দেরি করলে কিংবা আত্মীয়ের বা বন্ধুর বাসায় গেলে বাবার ফোন আসত, ‘কোথায়? কখন ফিরবি?’ সেসব ফোন একসময় মনে হতো আব্বার বাড়াবাড়ি। এখন মনে হয়, একটাবার হলেও যদি ফোনে তাঁর নামটা দেখতাম! ছোট ছোট এসব প্রশ্ন– এই উদ্বেগই তো ছিল নিঃশব্দ ভালোবাসা। এগুলোই ছিল বাবার নিজের মতো করে যত্ন নেওয়ার ভাষা। সেই ভাষাটাই আজ আর শোনা যায় না। আব্বা নেই, এখন জীবনযাপনে এক অদ্ভুত শূন্যতা ঘিরে থাকে।

আব্বা ছিলেন একজন ব্যাংকার। হয়তো চেয়েছিলেন আমি তাঁর পেশার ধারাবাহিকতা বজায় রাখি। কিন্তু কোনোদিন চাপ দেননি। বরং নিজের ইচ্ছেমতো পথ বেছে নেওয়ার স্বাধীনতা দিয়েছিলেন; ছায়ার মতো পাশে ছিলেন। আব্বাই আমাকে নিজের ওপর আস্থা রাখতে শিখিয়েছেন। বিয়ে করেছি, বাবা হয়েছি, নিজস্ব ক্যারিয়ার গড়েছি– তবুও বাবার সেই গাইডেন্স কখনও ফুরায়নি। আব্বা কখনও অর্থ বা অন্য কোনো সহায়তার কথা বলেননি; বরং সবসময় নিজে থেকেই পাশে থেকেছেন। মনে পড়ে, একবার মেয়ের অসুস্থতার সময় আমি অর্থকষ্টে ছিলাম, কিছু বলিনি তাঁকে। কিন্তু তিনি ঠিকই বুঝে গিয়েছিলেন, পাশে থেকেছেন।

এখন অনেক সিদ্ধান্ত নেওয়ার সময় মনে হয়, ‘বাবা হলে কী করতেন?’ তাঁর শিক্ষা, অভ্যাস, স্নেহ– সবকিছু এখন আমার আচরণে, আমার সিদ্ধান্তে, আমার ভালোবাসায় প্রতিফলিত হয়। তাঁকে ছুঁতে না পারলেও আমি প্রতিদিন তাঁর উপস্থিতি অনুভব করি– স্মৃতিতে, নৈঃশব্দ্যে, নানা রকম ছোট ছোট মুহূর্তে।

এই বাবা দিবসে আব্বার কোনো ফোন আসবে না, থাকবে না কোনো উপহার বা আলিঙ্গনের মুহূর্ত; যা আছে সেটি হলো আব্বার প্রতি একরাশ কৃতজ্ঞতা, শ্রদ্ধা আর অপার ভালোবাসা। যিনি জীবনের প্রতিটি মুহূর্তে সন্তানদের শুধু দিয়েছেন, বিনিময়ে কিছু চাননি কখনোই। তাঁর জীবনদর্শন আর মানুষের প্রতি ভালোবাসা, সহানুভূতি– এগুলোই নিজের জীবনে ধারণ করার চেষ্টা করে যাচ্ছি, হয়তো পুরোপুরি পারছি না; কিন্তু আমার মনে হয় এ চেষ্টাটাই আমার জীবনে শৃঙ্খলা এনেছে।

বাবাকে হারানোর শোক যেমন গভীর, তেমনি গভীর তাঁর রেখে যাওয়া ভালোবাসা। নিজের অনুভবকে চাপা না দিয়ে, বরং বাবাকে নিজের ভেতরে জায়গা দিন। বাবার কথা বলুন, তাঁর শেখানো পথে হাঁটুন। কারণ প্রিয় মানুষরা চলে যান বটে, কিন্তু তাঁদের ভালোবাসা থেকে যায় সবসময়।

লেখক: কমিউনিকেশনস প্রফেশনাল

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • ‘ভালোবাসার আসল রূপটাই যেন ছিলেন আব্বা’
  • বর্ষার শুরুতেই সপ্তাহব্যাপী বৃষ্টির বার্তা
  • টানা সাত দিন সারাদেশে বৃষ্টি ঝরবে
  • অর্ধশত বছরের চামড়ার মোকাম রাজারহাট
  • সিদ্ধিরগঞ্জে ডিবি পুলিশ পরিচয়ে সোর্স ইকবালের ডাকাতি