‘মার্চ ফর গাজা’ কর্মসূচিতে অংশ নিয়েছেন নারীরাও
Published: 12th, April 2025 GMT
ফিলিস্তিনিদের সঙ্গে সংহতি প্রকাশ করতে ‘মার্চ ফর গাজা’ কর্মসূচিতে অংশ নিয়েছেন নারীরাও। রাজধানীর বাইরে থেকে এসে এই কর্মসূচিতে যোগ দেন তাঁদের কেউ কেউ।
আজ শনিবার প্যালেস্টাইন সলিডারিটি মুভমেন্ট, বাংলাদেশের আয়োজিত এই কর্মসূচিতে বেলা তিনটায় সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে গণজমায়েত শুরুর কথা ছিল। তবে তার আগেই বিভিন্ন স্থান থেকে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে যেতে থাকেন নারী–পুরুষসহ সর্বস্তরের মানুষ। তাঁরা ফিলিস্তিনের গাজায় ইসরায়েলি হত্যাযজ্ঞের নিন্দা জানান।
নারায়ণগঞ্জের মদনপুর থেকে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে মার্চ ফর গাজা কর্মসূচিতে এসেছেন শান্তা বেগম (৬১)। পুত্রবধূ সালমা আক্তার এসেছেন তাঁর সঙ্গে। শান্তা বেগম ছেলের ফোনে ইউটিউব থেকে জানতে পারেন ফিলিস্তিনিদের পক্ষে এ কর্মসূচির কথা। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমরা গাজাবাসীর পক্ষে আছি, ফিলিস্তিনের পক্ষে আছি। ইহুদিদের বিপক্ষে।’ শান্তা বেগমের পুত্রবধূ সালমা গৃহিণী। সালমার স্বামী চায়ের দোকান করেন নারায়ণগঞ্জের মদনপুরে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ফিলিস্তিনের নারী ও শিশুদের ওপর নির্মম হামলার চিত্র নিয়মিত দেখেন সালমা। তিনি বলেন, ‘আমাদের উদ্দেশ্য এটাই যে আমরা আমাদের অন্য মুসলিম ভাইবোনের পাশে দাঁড়াতে পারি.
রাজধানীর উত্তরা থেকে মার্চ ফর গাজা কর্মসূচিতে এসেছেন সোনিয়া খান। প্রকৌশলী সোনিয়া খান প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমরা জুলাই আন্দোলনেও মাঠে নেমেছিলাম। মানবতাবিরোধী যেকোনো কার্যক্রমে আমরা তীব্র প্রতিক্রিয়া জানাব। কারণ হচ্ছে মানুষ হত্যা, এর চেয়ে বড় কিছু তো আর হতে পারে না।’ তিনি বলেন, ফিলিস্তিনে নারী, পুরুষ ও শিশুদের গণহারে হত্যা করা হচ্ছে। জাতিসংঘের কোনো ভূমিকা নেই কেন? এ অত্যাচার বন্ধ করতে হবে, এ গণহত্যা বন্ধ করতে হবে।
কেরানীগঞ্জের একটি স্কুলের শিক্ষক মাবিয়া আক্তার। মার্চ ফর গাজা কর্মসূচিতে যোগ দিয়ে তিনি প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমরা এখানে থেকে কিছুটা হলেও সবার সঙ্গে শামিল হয়ে একসঙ্গে এটা জানাতে পারি, বাংলাদেশের নারীরা মুসলমানদের পক্ষে আছে, ফিলিস্তিনের পক্ষে আছে।’
বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ফারজানা আক্তার বললেন, তিনি মার্চ ফর গাজা কর্মসূচিতে এসেছেন প্রতিবাদ জানানোর জন্য। ফিলিস্তিনে যে নৃশংসতা চালানো হচ্ছে, তা যেন কখনো আর না হয়।
উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ম র চ ফর গ জ এস ছ ন
এছাড়াও পড়ুন:
সাত খুন মামলা দ্রুত নিষ্পত্তি করা হবে: অ্যাটর্নি জেনারেল
নারায়ণগঞ্জের আলোচিত সাত খুন মামলাটি দ্রুত নিষ্পত্তি এবং ত্বকী হত্যা মামলার অবস্থান জেনে কার্যকরী পদক্ষেপ নেওয়া হবে বলে আশ্বাস দিয়েছেন অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান।
বুধবার (৯ জুলাই) বিকেলে নারায়ণগঞ্জ জেলা বার ভবনে বিচারক ও আইনজীবীদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে এ আশ্বাস দেন তিনি।
অ্যাটর্নি জেনারেল বলেছেন, “বুয়েটের শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদ ও কক্সবাজারে মেজর সিনহা হত্যা মামলা যেভাবে দ্রুত সময়ে নিষ্পত্তি করা হয়েছে, একইভাবে গুরুত্ব দিয়ে নারায়ণগঞ্জের আলোচিত সাত খুন ও ত্বকী হত্যা মামলা দুটি ত্বরান্বিত করার ব্যাপারে সংশ্লিষ্টদের দিকনির্দেশনা দেওয়া হচ্ছে।”
জুলাই আন্দোলনের ঘটনায় দায়ের করা মামলা নিয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, “আমরা গুরুত্ব সহকারে বিষয়গুলো দেখছি। ভুক্তভোগীদের পরিবার যাতে ন্যায়বিচার পান এবং নিরপরাধ কেউ যাতে হয়রানির শিকার না হন, সেদিকে লক্ষ্য রেখে যথাযথভাবে তদন্ত ও বিচার প্রক্রিয়া পরিচালনা করা হবে।”
দীর্ঘদিন ধরে চলমান মামলাগুলো দ্রুত নিষ্পত্তির ব্যাপারে আইন মন্ত্রণালয় থেকে ফৌজদারি কার্যবিধিতে একটি সংশোধিত প্রস্তাব করার কথাও জানিয়েছেন মো. আসাদুজ্জামান।
ঢাকা/অনিক/রফিক