১৬ বছর পর সম্মেলন, পঞ্চগড় সদর উপজেলা বিএনপির সভাপতি দাউদ, সম্পাদক মাহফুজুর
Published: 4th, May 2025 GMT
১৬ বছর পর অনুষ্ঠিত হলো পঞ্চগড় সদর উপজেলা বিএনপির দ্বিবার্ষিক সম্মেলন। এতে সভাপতি পদে নির্বাচিত হয়েছেন আবু দাউদ প্রধান এবং সাধারণ সম্পাদক পদে মাহফুজুর রহমান (বাবু)। আবু দাউদ আগের আহ্বায়ক কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক ও মাহফুজুর সদস্য ছিলেন।
গতকাল শনিবার রাতে পঞ্চগড় সরকারি অডিটরিয়ামে সম্মেলনের দ্বিতীয় অধিবেশনে ভোটের মাধ্যমে এ কমিটি গঠিত হয়। ভোটের ফলাফল ঘোষণা করেন পঞ্চগড় জেলা বিএনপির সদস্যসচিব ফরহাদ হোসেন। এর আগে দুপুরে সম্মেলনের প্রথম অধিবেশন শুরু হয় অডিটরিয়াম চত্বরের মুক্তমঞ্চে। জাতীয় সংগীত, দলীয় সংগীত পরিবেশনা ও পতাকা উত্তোলনের মধ্য দিয়ে শুরু হয় আনুষ্ঠানিকতা। সদর উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়ন থেকে খণ্ড খণ্ড মিছিল নিয়ে দলীয় নেতা-কর্মীরা অংশ নেন।
সাংগঠনিক সম্পাদক পদে নির্বাচিত হয়েছেন মো.
প্রথম অধিবেশনে সভাপতিত্ব করেন উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক আনোয়ার হোসেন। প্রধান অতিথি ছিলেন বিএনপির আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক নওশাদ জমির। প্রধান বক্তা ছিলেন ফরহাদ হোসেন।
২০০৯ সালের সম্মেলনে আবু দাউদ সভাপতি ও আনোয়ার হোসেন সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হয়েছিলেন। এরপর ২০২০ সালে আহ্বায়ক কমিটি গঠিত হয়। আহ্বায়ক হন আনোয়ার হোসেন এবং সদস্যসচিব সেকেন্দার আলী।
উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ব এনপ র উপজ ল সদস য
এছাড়াও পড়ুন:
সিলেটে বকেয়া মজুরি ও রেশন পরিশোধের দাবিতে চা-শ্রমিকদের সড়ক অবরোধ, বিক্ষোভ
সিলেট শহরতলির বুরজান টি কোম্পানির ইজারা বাতিল করে সরকারিভাবে বাগান চালু ও ২০ সপ্তাহের বকেয়া মজুরি-রেশন প্রদানসহ ১১ দফা দাবিতে বিক্ষোভ ও অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছেন চা-শ্রমিকেরা। আজ রোববার বেলা একটা থেকে চা-শ্রমিকেরা সিলেট-কোম্পানীগঞ্জ-ভোলাগঞ্জ আঞ্চলিক মহাসড়কের লাক্কাতুরা এলাকায় সড়ক অবরোধ করে কর্মসূচি পালন শুরু করেন। পরে প্রশাসনের কাছ থেকে আশ্বাস পেয়ে বেলা তিনটার দিকে তাঁরা কর্মসূচি প্রত্যাহার করেন।
সড়ক অবরোধ কর্মসূচিতে বুরজান টি ফ্যাক্টরি এবং ছড়াগাং, কালাগুল ও বুরজান চা-বাগানের হাজারো শ্রমিক অংশ নেন। এ সময় তাঁদের হাতে বিভিন্ন স্লোগান-সংবলিত প্ল্যাকার্ড ছিল। এসব প্ল্যাকার্ডে ‘বকেয়া বেতন পরিশোধ করতে হবে’, ‘বকেয়া বোনাস পরিশোধ করতে হবে’, ‘বকেয়া রেশন পরিশোধ করতে হবে’, ‘জুলাইয়ের চেতনা শ্রমিক শোষণ হবে না’, ‘বসতবাড়ি নির্মাণ ও মেরামত চালু করতে হবে’সহ নানা স্লোগান লেখা ছিল।
সড়ক অবরোধের কারণে সড়কের দুই পাশে অসংখ্য যানবাহন আটকা পড়ে। এ কারণে দুর্ভোগ দেখা দেয়। অবরোধের খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে সেনাবাহিনী ও পুলিশ সদস্যরা এসে শ্রমিকদের বোঝানোর চেষ্টা করেন। তবে দাবি আদায়ে স্থানীয় প্রশাসনের চূড়ান্ত আশ্বাস না পাওয়া পর্যন্ত শ্রমিকেরা কর্মসূচি থেকে সরবেন না বলে ঘোষণা দেন। অবশ্য সেনাবাহিনীর সদস্যরা এ সময় যানজটে আটকে পড়া অ্যাম্বুলেন্সসহ কয়েকটি জরুরি যান চলাচলের সুযোগ তৈরি করে দেন।
চা-শ্রমিকেরা জানান, দীর্ঘদিন ধরে সিলেটের বেশ কয়েকটি চা-বাগানের শ্রমিকেরা বেতন, রেশনসহ অন্যান্য সুবিধা পাচ্ছেন না। এ কারণে কয়েক হাজার চা-শ্রমিক পরিবার-পরিজন নিয়ে মানবেতর জীবন যাপন করছেন। বারবার আশ্বাস দেওয়া সত্ত্বেও তাঁদের সমস্যার সমাধান স্থানীয় প্রশাসন করছে না। তাই কঠোর কর্মসূচি দিতে তাঁরা বাধ্য হয়েছেন। চূড়ান্ত লিখিত আশ্বাস ছাড়া শ্রমিকেরা সড়ক ছাড়বে না।
আজ বেলা সোয়া তিনটার দিকে সিলেট সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) খোশনূর রুবাইয়াৎ বলেন, ‘চা-শ্রমিকদের পাঁচ সদস্যের একটি প্রতিনিধিদলের সঙ্গে তাঁদের দাবিদাওয়া নিয়ে এখনই বৈঠকে বসব। বুরজান টি কোম্পানির ইজারা বাতিলসহ কিছু দাবির বিষয়টি জেলা প্রশাসক ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠানো হবে। অন্য যৌক্তিক দাবি বাস্তবায়নেও প্রশাসন আন্তরিকভাবে চেষ্টা করবে।’