বার্সেলোনায় এবার ট্রেবলের ডাক—ছেলে, মেয়ে, যুবা সবাই পাক
Published: 4th, May 2025 GMT
‘ট্রিপলেট’—স্প্যানিশ শব্দ। তিনটি বড় শিরোপা বোঝাতে শব্দটি ব্যবহার করেন স্প্যানিশরা। বার্সেলোনা শহরে এই ‘ট্রিপলেট’ লোকের মুখে মুখে ফুটছে।
কিন্তু ওই শহরেরই ক্লাব বার্সেলোনায় খেলোয়াড়দের মুখে এ নিয়ে টুঁ শব্দটি নেই। বাতাসে ‘ট্রেবল’ জয়ের সম্ভাবনা নিয়ে ফিসফিসানি, গুঞ্জন বাড়ছে কিন্তু বার্সার খেলোয়াড়েরা কেউ কিছু বলছেন না, যেন বললেই অভিশাপ লাগবে!
অথচ বার্সার ছেলে ও মেয়েদের দলের সব পর্যায় মিলিয়ে সবাইকে এই ‘ট্রেবল’ জয়ের দীক্ষা দেওয়া হয়, সেটা একদম অল্প বয়স থেকে। বার্সা মিডফিল্ডার গাভি যেমন চ্যাম্পিয়নস লিগ কোয়ার্টার ফাইনাল প্রথম লেগের আগে বলেছিলেন, ‘লা মাসিয়া (বার্সার একাডেমি) থেকেই সবাই ট্রেবল জয়ের স্বপ্ন দেখে।’
আরও পড়ুনমেসি-ইয়ামাল: প্রথম ১০০ ম্যাচে কে বেশি ভালো০৩ মে ২০২৫চলতি মৌসুমে বার্সার আশপাশে ঘোরাফেরা করছে সেই স্বপ্ন। মৌসুম শুরুর আগে যে স্বপ্নটি দূরবর্তী ছিল, পারফরম্যান্স দিয়ে সেটাই এখন বার্সার হাতছোঁয়া দূরত্বে। নিশ্চয়ই ভাবছেন হান্সি ফ্লিকের দলের কথা বলা হচ্ছে? হ্যাঁ, সে তো বটেই। তবে শুধু ফ্লিকের দল নয়, পেরে রোমেউ ও হুলিয়ানো বেলেত্তির দলের কথাও বলা হচ্ছে। পেরে রোমেউ বার্সার নারী মূল দলের কোচ এবং বেলেত্তি ক্লাবটির ছেলেদের অনূর্ধ্ব–১৯ দলের কোচ।
ভ্রুকুটি জাগছে? বিষয়টি ভেঙে বলা যাক।
উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
সাহিত্য রাজনৈতিক বিভাজন ভেঙে দেয়: ফরহাদ মজহার
সাহিত্য রাজনৈতিক বিভাজন ভেঙে দেয় বলে মন্তব্য করেছেন কবি ও দার্শনিক ফরহাদ মজহার। তিনি বলেন, সাহিত্য সবসময়ই রাজনৈতিক শক্তির বাইরে দাঁড়িয়ে থাকে। কারণ সাহিত্য বিভাজনকে ভেঙে দেয়, নতুন সম্বন্ধ তৈরি করে। ফলে সাহিত্য কখনো সরাসরি রাজনীতির হাতিয়ার হয়ে উঠলেও, তা রাজনীতিকে চ্যালেঞ্জ করেই টিকে থাকে। রাজনীতি বুঝলে সাহিত্যও বোঝা যাবে। সাহিত্য শুধু জাতীয়তাবাদী বয়ান নয় বরং সার্বজনীনতার আকাঙ্ক্ষাও।
শুক্রবার বিকেল সাড়ে ৪টায় রাজধানীর সংস্কৃতি বিকাশ কেন্দ্রে মোহাম্মদ রোমেলের প্রকাশিত কাব্যগ্রন্থ ‘অধরা শহীদি মিছিল’–এর ওপর পাঠ, আবৃত্তি ও পর্যালোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
সাহিত্য ও চিন্তাশীলতার এই আয়োজনে উপস্থিত বাংলা একাডেমীর মহাপরিচালক মোহাম্মদ আজম, গবেষক কুদরত-ই-হুদা এবং কবি ও ‘বিবিধ’ পত্রিকার সম্পাদক ইকতিজা হাসান। সঞ্চালনায় ছিলেন লেখক ও চিন্তক উদয় হাসান। আয়োজক ছিল ‘বায়োস্কোপ আড্ডা’।
বই প্রসঙ্গে ফরহাদ মজহার বলেন, শহীদি মিছিল শুধু একটি বই নয়, এটি একটি রাজনৈতিক অভিব্যক্তি। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের স্মৃতি বহন করে এই নাম। বইয়েই কবিতাগুলো ২০১৩ সাল থেকে লেখা হয়েছে, যার ভেতরে আছে বাংলাদেশ রাষ্ট্র ও রাজনীতিকে নতুনভাবে দেখার আকাঙ্ক্ষা।
কবি সম্পর্কে তিনি বলেন, রোমেল এখনো বাইনারি থেকে সম্পূর্ণ মুক্ত নন। তাঁর কবিতায় গ্রাম বনাম শহর, নাগরিকতা বনাম প্রকৃতি, আবেগ বনাম যুক্তির দ্বন্দ্ব প্রকট। তবে তিনি এই দ্বৈততার ভেতর থেকেও নতুন ভাষা নির্মাণের সম্ভাবনা তৈরি করছেন।
আলোচনায় মোহাম্মদ আজম বলেন, রোমেল প্রচলিত কাব্যধারায় কবিতা লেখেননি। তাঁর কবিতায় বাংলার ভাব, কৃষি, নাগরিক সংকট, রাজনৈতিক ভাষ্য ও একান্ত ব্যক্তিগত অনুভব একত্রে ধরা পড়ে। এইসব উপাদানে ফরহাদ মজহারের ছায়া লক্ষ্য করা যায়।
তিনি আরও বলেন, রোমেলের কবিতা শরীরকে একটি কেন্দ্রীয় মেটাফোর হিসেবে ব্যবহার করেছে। প্রেম, আবেগ, ভালোবাসা সবই সেখানে শরীরের ভেতর দিয়ে প্রকাশিত।