ছোটপর্দা ও ওটিটিতে সরব নিদ্রা নেহা। গেল ঈদে নাটক দিয়ে প্রশংসা কুড়িয়েছেন তিনি। এবার আসছে তাঁর অভিনীত ওয়েব সিরিজ ‘ফ্যাঁকড়া’। এটি মুক্তি পাবে ওটিটি প্ল্যাটফর্ম ‘বঙ্গ’তে। গত বছরের আগস্টে সারাদেশে যখন রাজনৈতিক পরিস্থিতি উত্তাল, সেই সময় দেশের শোবিজ ইন্ডাস্ট্রিও হয়ে পড়েছিল স্থবির। ওই সময় ওয়েব সিরিজটির দৃশ্যধারণ হয়েছিল। সিরিজটি নির্মাণ করেছেন আসিফ চৌধুরী।
প্রেমিকা গোলাপিকে পেতে প্রচুর অর্থের প্রয়োজন সামাদের। সেই অর্থ জোগাড় করতে বন্ধুদের সহায়তা চায় সে। একসময় সবাই মিলে ছিনতাইয়ের পরিকল্পনা করে। ছিনতাই করার সময় ভুলবশত খুন হয়ে যায় এক নারী। সব ওলটপালট হয়ে যায়। প্রতিশোধ নিতে তাদের পিছু নেয় সেই নারীর স্বামী। পুলিশও খুঁজতে থাকে তাদের। এমন গল্পে তৈরি হয়েছে ওয়েব সিরিজ ফ্যাঁকড়া। সাত পর্বের সিরিজটির চিত্রনাট্য লিখেছেন নেয়ামত উল্লাহ মাসুম ও আহাম্মদ সাদ।
ফ্যাঁকড়া সিরিজে সামাদ চরিত্রে অভিনয় করেছেন পার্থ শেখ ও গোলাপি চরিত্রে নিদ্রা দে নেহা। সিরিজ নিয়ে নেহা বলেন, ‘ওয়েব সিরিজটির গল্প অসাধারণ। প্রেমের জন্য অপরাধ এবং ভুলের পরণতি, সেখানে কতগুলো মানুষ জড়িয়ে পড়ে সেই গল্প পর্দায় দেখাবেন নির্মাতা। গত আগস্ট মাসের চ্যালেঞ্জিং একটা সময়ে এর দৃশ্য ধারণ হয়েছিল। নানা ধরনের বাধার মুখে পড়তে হয়েছে। অবশেষে সিরিজটি মুক্তি পেতে যাচ্ছে ভেবে ভালোই লাগছে। চেষ্টা করেছি গোলাপি চরিত্রটি ফুটিয়ে তুলতে। কতটুকু পেরেছি, দর্শক তা ভালো বলতে পারবেন।’ এতে আরও অভিনয় করেছেন শ্যামল মাওলা, মীর রাব্বি, নিশাত প্রিয়ম প্রমুখ।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: স র জট
এছাড়াও পড়ুন:
সাহিত্য রাজনৈতিক বিভাজন ভেঙে দেয়: ফরহাদ মজহার
সাহিত্য রাজনৈতিক বিভাজন ভেঙে দেয় বলে মন্তব্য করেছেন কবি ও দার্শনিক ফরহাদ মজহার। তিনি বলেন, সাহিত্য সবসময়ই রাজনৈতিক শক্তির বাইরে দাঁড়িয়ে থাকে। কারণ সাহিত্য বিভাজনকে ভেঙে দেয়, নতুন সম্বন্ধ তৈরি করে। ফলে সাহিত্য কখনো সরাসরি রাজনীতির হাতিয়ার হয়ে উঠলেও, তা রাজনীতিকে চ্যালেঞ্জ করেই টিকে থাকে। রাজনীতি বুঝলে সাহিত্যও বোঝা যাবে। সাহিত্য শুধু জাতীয়তাবাদী বয়ান নয় বরং সার্বজনীনতার আকাঙ্ক্ষাও।
শুক্রবার বিকেল সাড়ে ৪টায় রাজধানীর সংস্কৃতি বিকাশ কেন্দ্রে মোহাম্মদ রোমেলের প্রকাশিত কাব্যগ্রন্থ ‘অধরা শহীদি মিছিল’–এর ওপর পাঠ, আবৃত্তি ও পর্যালোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
সাহিত্য ও চিন্তাশীলতার এই আয়োজনে উপস্থিত বাংলা একাডেমীর মহাপরিচালক মোহাম্মদ আজম, গবেষক কুদরত-ই-হুদা এবং কবি ও ‘বিবিধ’ পত্রিকার সম্পাদক ইকতিজা হাসান। সঞ্চালনায় ছিলেন লেখক ও চিন্তক উদয় হাসান। আয়োজক ছিল ‘বায়োস্কোপ আড্ডা’।
বই প্রসঙ্গে ফরহাদ মজহার বলেন, শহীদি মিছিল শুধু একটি বই নয়, এটি একটি রাজনৈতিক অভিব্যক্তি। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের স্মৃতি বহন করে এই নাম। বইয়েই কবিতাগুলো ২০১৩ সাল থেকে লেখা হয়েছে, যার ভেতরে আছে বাংলাদেশ রাষ্ট্র ও রাজনীতিকে নতুনভাবে দেখার আকাঙ্ক্ষা।
কবি সম্পর্কে তিনি বলেন, রোমেল এখনো বাইনারি থেকে সম্পূর্ণ মুক্ত নন। তাঁর কবিতায় গ্রাম বনাম শহর, নাগরিকতা বনাম প্রকৃতি, আবেগ বনাম যুক্তির দ্বন্দ্ব প্রকট। তবে তিনি এই দ্বৈততার ভেতর থেকেও নতুন ভাষা নির্মাণের সম্ভাবনা তৈরি করছেন।
আলোচনায় মোহাম্মদ আজম বলেন, রোমেল প্রচলিত কাব্যধারায় কবিতা লেখেননি। তাঁর কবিতায় বাংলার ভাব, কৃষি, নাগরিক সংকট, রাজনৈতিক ভাষ্য ও একান্ত ব্যক্তিগত অনুভব একত্রে ধরা পড়ে। এইসব উপাদানে ফরহাদ মজহারের ছায়া লক্ষ্য করা যায়।
তিনি আরও বলেন, রোমেলের কবিতা শরীরকে একটি কেন্দ্রীয় মেটাফোর হিসেবে ব্যবহার করেছে। প্রেম, আবেগ, ভালোবাসা সবই সেখানে শরীরের ভেতর দিয়ে প্রকাশিত।