Samakal:
2025-10-27@10:54:47 GMT

বক্স অফিসে ঝড় তুলছে ‘হিট-৩’

Published: 4th, May 2025 GMT

বক্স অফিসে ঝড় তুলছে ‘হিট-৩’

‘হিট: দ্য থার্ড কেস’ বক্স অফিসে দারুণ সাড়া ফেলেছে। সেলেশ কোলানু পরিচালিত অ্যাকশন থ্রিলার সিনেমাটি মুক্তির তৃতীয় দিনেই ভারতে আয় করেছে ১০.২৫ কোটি রুপি। স্যাকনিলকের তথ্যমতে, তিন দিনে ছবিটির মোট আয় দাঁড়িয়েছে ৪১.৭৫ কোটি রুপি।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বর্তমানে ছবিটি তেলেগু, তামিল, কন্নড়, হিন্দি ও মালায়ালম ভাষায় প্রেক্ষাগৃহে প্রদর্শিত হচ্ছে। মুক্তির প্রথম শনিবার তেলেগু ভাষায় ছবিটির গড় দর্শক উপস্থিতি ছিল ৫২.

৮৫ শতাংশ।

‘হিট: দ্য থার্ড কেস’-এ মুখ্য ভূমিকায় এসপি অর্জুন সরকার চরিত্রে অভিনয় করেছেন নানি। তার বিপরীতে এএসপি মৃদুলা চরিত্রে দেখা গেছে শ্রীনিধি শেঠিকে, যিনি ছবিতে নানির প্রেমিকার ভূমিকায় আছেন। ছবিতে আরও গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রে অভিনয় করেছেন সূর্য শ্রীনিবাস, আদিল পালা, রাও রমেশ, সমুদ্রকণি, কোমালি প্রসাদ, নেপোলিয়ন ও রবীন্দ্র বিজয়।

‘হিট’ সিরিজের যাত্রা শুরু হয় ২০২০ সালে ‘হিট: দ্য ফার্স্ট কেস’ দিয়ে, যেখানে প্রধান চরিত্রে ছিলেন বিশ্বক সেন ও রুহানি শর্মা। এরপর ২০২২ সালে আসে দ্বিতীয় কিস্তি ‘হিট: দ্য সেকেন্ড কেস’, যেখানে অভিনয় করেন আদিভি শেশ ও মীনাক্ষী চৌধুরী।

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: চর ত র

এছাড়াও পড়ুন:

গাজীপুরে এএ ইয়ার্ন মিলস বন্ধ ঘোষণা

গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলায় বকেয়া বেতন পরিশোধের দাবিতে শ্রমিকদের আন্দোলনের জের ধরে এএ ইয়ার্ন মিলস লিমিটেড নামের পোশাক কারখানা অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। আকস্মিক সিদ্ধান্তে প্রায় তিন হাজার শ্রমিক কর্মহীন হয়ে পড়েছে। কারখানা বন্ধের প্রতিবাদে সোমবার (২৭ অক্টোবর) সকাল থেকে শ্রমিকরা কারখানার মূল ফটকের সামনে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করেছে।

সোমবার (২৭ অক্টোবর) সকাল ১০টার দিকে উপজেলার তেলিহাটি ইউনিয়নের নগরহাওলা এলাকায় অবস্থিত এএ ইয়ার্ন মিলসের শ্রমিকরা বিক্ষোভ শুরু করে। শ্রমিকরা জানান, তাদের গত সেপ্টেম্বর মাসের বেতন পরিশোধ করা হয়নি।

আরো পড়ুন:

‌‘শ্রমজীবী মানুষের রেশন ও পেনশনের নিশ্চয়তা রাষ্ট্রকে দিতে হবে’

গাজীপুরে বকেয়া বেতনের দাবিতে শ্রমিকদের সড়ক অবরোধ

এই পোশাক কারখানার শ্রমিক মিনারা আক্তার বলেন, “গত ২৩ অক্টোবর বেতন পরিশোধের দাবিতে আমরা আন্দোলন করি। তখন পুলিশ ও সেনাবাহিনীর সদস্যরা এসে আশ্বাস দিয়েছিলেন বেতন শিগগিরই দেওয়া হবে এবং সোমবার থেকে কারখানা খুলবে। কিন্তু আজ এসে দেখি গেটে বন্ধের নোটিশ ঝুলছে।”

একইভাবে ক্ষোভ প্রকাশ করেন শ্রমিক শামীম। তিনি বলেন, “অনেক বছর ধরে এই কারখানায় কাজ করছি। কয়েক মাস ধরে বেতন দিতে গড়িমসি চলছে। এখন আন্দোলনের অজুহাতে কারখানা বন্ধ করে দিল, এটা শ্রমিকদের সঙ্গে চরম অন্যায়।”

আরেক শ্রমিক বিলকিস বেগম বলেন, “নয় বছর ধরে এখানে কাজ করছি। এই বয়সে অন্য কোনো কারখানায় কাজ পাওয়া কঠিন। এখন হঠাৎ করে চাকরি হারালাম, বেতনও পাইনি। আমাদের অপরাধটা কী?”

কারখানার মানবসম্পদ কর্মকর্তা মো. মনির হোসেন বলেন, “গত ২৩ অক্টোবর শ্রমিকরা বেতন দাবির সময় কারখানার ভেতরে গুরুত্বপূর্ণ যন্ত্রপাতি ভাঙচুর করেছে। এ কারণে কারখানা চালু রাখা সম্ভব নয়। মালিকপক্ষের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী বাংলাদেশ শ্রম আইন ২০০৬-এর ধারা ১৩(১) অনুযায়ী কারখানা অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।”

এ বিষয়ে শিল্প পুলিশের ইন্সপেক্টর আব্দুল লতিফ বলেন, “খবর পেয়ে সকাল থেকে কারখানায় নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। শ্রমিকরা শান্তিপূর্ণভাবে বিক্ষোভ করছেন। কারখানা কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনায় বসেছি, তারা সমস্যা সমাধানে কিছু সময় চেয়েছেন।”

ঢাকা/রফিক/বকুল

সম্পর্কিত নিবন্ধ