আসন্ন পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষে রাজধানীর আফতাবনগরে পশুর হাট বসানোসংক্রান্ত ইজারা বিজ্ঞপ্তির অংশবিশেষের কার্যক্রম তিন মাসের জন্য স্থগিত করেছেন হাইকোর্ট।

এক রিটের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে বিচারপতি কাজী জিনাত হক ও বিচারপতি আইনুন নাহার সিদ্দিকার সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ আজ রোববার রুলসহ অন্তর্বর্তীকালীন এ আদেশ দেন।

গত ২১ এপ্রিল ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের প্রধান সম্পত্তি কর্মকর্তার সই করা এক ইজারা বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে অস্থায়ী পশুর হাটের জন্য দরপত্র আহ্বান করা হয়। বিজ্ঞপ্তির ৫ নম্বর কলামে অস্থায়ীভাবে কোরবানির পশুর হাটের জন্য ‘আফতাবনগর (ইস্টার্ন হাউজিং) ব্লক-ই, এফ, জি, এইচ সেকশন-১ ও ২-এর খালি জায়গা’ ইজারার বিষয়টি উল্লেখ রয়েছে।

পবিত্র ঈদুল আজহার দিনসহ পাঁচ দিন হাট বসার কথা বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়। ইজারা বিজ্ঞপ্তির ৫ নম্বর কলামের বৈধতা নিয়ে আইনজীবী ইউনুছ আলী আকন্দ গত বুধবার রিটটি করেন। আদালতে রিটের পক্ষে তিনি নিজেই শুনানি করেন। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল বদিউজ্জামান তপাদার ও সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল জে আর খান রবিন।

আফতাবনগরে পশুর হাট বসানোসংক্রান্ত ইজারা বিজ্ঞপ্তির অংশবিশেষের (আফতাবনগর (ইস্টার্ন হাউজিং) ব্লক-ই, এফ, জি, এইচ সেকশন-১ ও ২-এর খালি জায়গা) কার্যক্রম তিন মাসের জন্য হাইকোর্ট স্থগিত করেছেন বলে জানিয়েছেন আইনজীবী ইউনুছ আলী আকন্দ।

আইনজীবী ইউনুছ আলী আকন্দ প্রথম আলোকে বলেন, রুলে ২১ এপ্রিল আহ্বান করা ইজারা বিজ্ঞপ্তির ১৪ আর্টিকেলের ৫ নম্বর কলাম কেন আইনগত কর্তৃত্ববহির্ভূত ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চাওয়া হয়েছে। স্থানীয় সরকার সচিব, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের প্রশাসক, প্রধান সম্পত্তি কর্মকর্তাসহ বিবাদীদের চার সপ্তাহের মধ্যে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: আফত বনগর র জন য

এছাড়াও পড়ুন:

নারীবিষয়ক সংস্কার কমিশনের কিছু সুপারিশ নিয়ে হাইকোর্টে রিট

নারীবিষয়ক সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদনের কিছু সুপারিশ নিয়ে হাইকোর্টে একটি রিট দায়ের করা হয়েছে।

সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী রওশন আলী রিটটি দায়ের করেছেন। এই আইনজীবী প্রথম আলোকে বলেন, আগামীকাল সোমবার বিচারপতি ফাতেমা নজিব ও বিচারপতি শিকদার মাহমুদুর রাজীর সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চে রিটটির ওপর শুনানি হতে পারে।

রিট আবেদনে বলা হয়েছে, নারীবিষয়ক সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদনটি সম্প্রতি বিভিন্ন মাধ্যমে প্রকাশিত ও আলোচিত হয়েছে। প্রতিবেদনের বিভিন্ন সুপারিশ ইসলামি শরিয়তের বিধানের পরিপন্থী। দেশের জনগণের ধর্মীয় অনুভূতির পরিপন্থী। বাংলাদেশের সংবিধানের সঙ্গে সাংঘর্ষিক। তাই এই বিষয়ে রিট দায়ের করা হয়েছে। বিষয়টি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ও জাতীয়ভাবে স্পর্শকাতর।

রিটে সংশ্লিষ্ট তিনটি মন্ত্রণালয় ও নারী সংস্কার কমিশনের চেয়ারম্যানকে বিবাদী করা হয়েছে। রিটে রুল জারির আরজি রয়েছে। কমিশনের প্রতিবেদনের ৩, ৪, ৬, ১০, ১১ ও ১২ অধ্যায়ে অন্তর্ভুক্ত সুপারিশগুলো কেন বেআইনিভাবে প্রণীত ও আইনগত কার্যকারিতা–বহির্ভূত ঘোষণা করা হবে না—এই মর্মে রুল রুল চাওয়া হয়েছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • বিয়ের প্রলোভনের মাধ্যমে যৌনকর্মে দণ্ডের বিধান প্রশ্নে হাইকোর্টের রুল
  • মুজিবনগর সীমান্ত দিয়ে নারী-শিশুসহ ১০ বাংলাদেশিকে ঠেলে পাঠাল বিএসএফ
  • ২১ আগস্ট গ্রেনেড মামলা: হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষের আপিল শুনানি ৬ মে
  • ব্যারিস্টার তুরিন আফরোজের ডক্টরেট ডিগ্রি ‘ভুয়া’
  • মুজিবনগর সীমান্ত দিয়ে ১০ ‘বাংলাদেশিকে’ ঠেলে পাঠাল বিএসএফ
  • আজ হচ্ছে না চিন্ময় দাসের জামিন শুনানি
  • নারীবিষয়ক সংস্কার কমিশনের কিছু সুপারিশ নিয়ে হাইকোর্টে রিট
  • আফতাবনগরে পশুর হাট বসানো যাবে না: হাইকোর্ট
  • আবাসিক এলাকায় পশুর হাট না বসানোর দাবিতে আফতাবনগরে বিক্ষোভ