ঢাকার দক্ষিণ কেরানীগঞ্জের বাস্তা ইউনিয়নের রাজাবাড়ী এলাকায় জুনায়েদ (১৫) এক কিশোরের গলা কাটা লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ।  

রবিবার (৪ মে) সকাল ৭ টার দিকে বাড়ির পাশের একটি বালি ভরাট জমিতে লাশ পড়ে থাকতে দেখে স্থানীয়রা পরিবারের সদস্যদের খবর দেন। পরে পরিবারের লোকজন এসে দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানায় খবর দেয়। 

নিহতের বাবা মনু মিয়া মৃত।  নিহতের ভাই তুহিন জানান, তার ভাই একই এলাকায় একটি কারখানায় কাজ করতো। একটি অজ্ঞাতনামা মোবাইল ফোন থেকে তার ছোট ভাইয়ের মোবাইল ফোনে বারবার হুমকি দিয়ে ফোন আসছিল। শনিবার গভীর রাতে কাজ শেষে সে বাসায় ফেরার পথে অজ্ঞাত সন্ত্রাসীরা তার ভাইকে রাস্তায় ফেলে গলাকেটে হত্যা করে পালিয়ে যায়। 

তুহিন আরো জানান, বেশ কিছু দিন আগে রাজাবাড়ি গার্ডেন পার্কে তার ভাইয়ের সাথে রোহিতপুর ইউনিয়নের ধর্মসুর এলাকার কয়েকজন যুবকের সাথে কথা কাটাকাটি হয়েছিল। তার ধারণা এই ঘটনার সূত্র ধরেও এই হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটতে পারে।

এ বিষয়ে দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাজহারুল ইসলাম বলেন, “আমরা প্রাথমিকভাবে ধারণা করছি এটি পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড। স্থানীয়দের কাছে থেকে খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে এসে নিহতের লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য স্যার সলিমুল্লাহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে।”

ঢাকা/শিপন/টিপু

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

পরীক্ষায় অংশ নিলেন জুলাই আন্দোলনে হামলার অভিযোগে বহিষ্কৃত শিক্ষার্থী

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে জুলাই আন্দোলনে হামলার অভিযোগে সাময়িক বহিষ্কৃত পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী ও ছাত্রলীগের কর্মী মো. আদনান সাইফ পরীক্ষায় অংশ নিয়েছেন। আজ রোববার তৃতীয় বর্ষের ‘নিউক্লিয়ার ফিজিকস’ কোর্সের পরীক্ষায় ‘রিপিটার’ হিসেবে অংশ নেন তিনি। এ নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন শিক্ষার্থীরা।

বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা যায়, সম্প্রতি জুলাই আন্দোলনে হামলার অভিযোগে ২৫৯ জন শিক্ষার্থীকে সাময়িক বহিষ্কার করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। ওই বহিষ্কারের আওতায় পদার্থবিজ্ঞান বিভাগ থেকে ১৩ জন শিক্ষার্থীকে বহিষ্কার করা হয়েছে। এর মধ্যে ৮ নম্বর তালিকায় মো. আদনান সাইফের নামও আছে।

বহিষ্কারের পরও পরীক্ষায় অংশ নেওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের কয়েকজন শিক্ষার্থী। নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক শিক্ষার্থী বলেন, ‘হল রুমে ঢুকে দেখি এই লোক (সাইফ) পরীক্ষা দিতে এসেছেন। বিষয়টা খুবই বিরক্তিকর। আমাদের ডিপার্টমেন্টের কিছু শিক্ষার্থী আছে, যারা ছাত্রলীগকে প্রশ্রয় দিয়ে আসছে।’

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের বিশ্ববিদ্যালয় শাখার আহ্বায়ক আরিফুজ্জামান বলেন, জুলাই আন্দোলনে শিক্ষার্থীদের ওপর হামলায় জড়িত ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা পার পেয়ে যাওয়া মানে জাতির সঙ্গে প্রতারণা করা। তাঁরা উদ্বেগের সঙ্গে দেখেছেন, প্রশাসন জুলাই আন্দোলনে হামলাকারীদের বিচার নিয়ে টালবাহানা শুরু করেছে। তদন্ত কমিটি কয়েক দফায় সময় বাড়িয়েও একটি অসম্পূর্ণ ও ভুলে ভরা প্রতিবেদন জমা দিয়েছে। এভাবে বিচারের নামে দীর্ঘসূত্রতায় ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা সুযোগ পাচ্ছেন। প্রশাসনের উদাসীনতার কারণে ছাত্রলীগ ক্লাস-পরীক্ষায় অংশ নিচ্ছে, যা জুলাইয়ের শহীদদের রক্তের সঙ্গে বেইমানি।

জানতে চাইলে পরীক্ষা কমিটির সভাপতি অধ্যাপক ওবায়দুর রহমান প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমি তাঁর বহিষ্কারের বিষয়ে জানি না। প্রশাসন থেকে বিভাগের সভাপতি বরাবর চিঠি আসে। বিভাগের সভাপতি ওই শিক্ষার্থীর বহিষ্কারের বিষয়ে আমাকে অবগত করেননি।’

পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক সালাউদ্দিন বলেন, ‘ওই শিক্ষার্থী (সাইফ) পরীক্ষা দিয়েছে কি না বলতে পারব না। তবে আজ সকালে ওই শিক্ষার্থী ও তাঁর সহপাঠীরা মিলে আমার কাছে আসছিল। সে হামলাকারী না বলে জানায় এবং বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে সে অংশগ্রহণ করেছিল, এমন ছবিও আমাকে দেখিয়েছে। সঙ্গে একটি অ্যাপ্লিকেশনও দিয়েছে। আমি সেগুলো উপাচার্যের কাছে পাঠিয়ে দিয়েছি।’

সম্পর্কিত নিবন্ধ