ছাত্র আন্দোলনে হামলা: রুয়েট কর্মকর্তাকে পুলিশে দিলেন শিক্ষার্থীরা
Published: 4th, May 2025 GMT
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে হামলার অভিযোগে রাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (রুয়েট) এক কর্মকর্তাকে ধরে পুলিশে সোপর্দ করেছেন শিক্ষার্থীরা। রবিবার (৪ মে) দুপুরে নিজ কার্যালয়ে ওই কর্মকর্তাকে আটকে রেখে পুলিশে খবর দেন শিক্ষার্থীরা।
গ্রেপ্তার মামুন-অর-রশিদ (৩০) রুয়েটের নিরাপত্তা শাখার কর্মকর্তা। তাকে রাজশাহী মেট্রোপলিটনের মতিহার থানা পুলিশ গ্রেপ্তার করে। পরে তারা গ্রেপ্তারকৃতকে বোয়ালিয়া থানায় হস্তান্তর করে। বোয়ালিয়া থানার একটি মামলার এজাহারভুক্ত আসামি মামুন-অর-রশিদ।
বোয়ালিয়া থানার ওসি মোস্তাক আহাম্মেদ বলেন, “গত বছরের ৫ আগস্ট বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে হামলার একটি মামলার এজাহারভুক্ত আসামি মামুন-অর-রশিদ। তিনি আত্মগোপনে থাকতেন। শিক্ষার্থীরা তাকে ধরে মতিহার থানা পুলিশের কাছে সোপর্দ করে। মামলা বোয়ালিয়ায় বলে মতিহার থানা পুলিশ তাকে আমাদের কাছে হস্তান্তর করেছে।”
আরো পড়ুন:
সাতক্ষীরায় কলেজছাত্রীর গায়ে আগুন লাগিয়ে আত্মহত্যা
নারায়ণগঞ্জে ৩০ স্কুলে চালু হলো ‘মিড ডে মিল’
তিনি আরো বলেন, “গ্রেপ্তারকৃত মামুন-অর-রশিদ থানায় আছেন। আজই তাকে আদালতে পাঠানো হবে।”
মামুন-অর-রশিদ হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০১০-১১ সেশনের শিক্ষার্থী ছিলেন। সে সময় তিনি ছাত্রলীগের সক্রিয় কর্মী ছিলেন। গত বছরের ৫ আগস্ট রাজশাহীর আলুপট্টি মোড়ে ছাত্রদের ওপর হামলার ঘটনায় রুয়েটের কিছু কর্মকর্তা-কর্মচারী ও শিক্ষার্থীর জড়িত থাকার অভিযোগ ওঠে। তাদের একজন মামুন-অর-রশিদ।
ঢাকা/কেয়া/মাসুদ
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
স্রোতে কচুরিপানার চাপে ভেসে গেল সাঁকো
মির্জাপুর উপজেলা সদরের কুমুদিনী হাসপাতাল ঘাটে লৌহজং নদীর ওপর থাকা বাঁশের সাঁকো জোয়ারের পানির স্রোত আর কচুরিপানার চাপে ভেঙে গেছে। এতে উপজেলার দক্ষিণাঞ্চলের অন্তত ৩৫ গ্রামের মানুষের সদরের সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। এজন্য প্রায় তিন কিলোমিটার ঘুরে তাদের হাসপাতালে আসতে হচ্ছে। গত শনিবার সন্ধ্যা থেকে এই ভোগান্তি চলছে।
কয়েকদিন ধরেই লৌহজং নদীতে জোয়ারের কারণে পানি বাড়ছে। কুমুদিনী হাসপাতাল ঘাটে নদীতে প্রচুর কচুরিপানা জন্মেছে। শনিবার সন্ধ্যায় জোয়ারের পানি বাড়ার ফলে কচুরিপানার চাপে ওই ঘাটে থাকা সাঁকোটি ভেসে যায়। এবারই প্রথম নয়, প্রতিবছর এই সময়ে সাঁকোটি ভেঙে যায়। এতে ভোগান্তির শিকার হয় নদীর দুই পারের মানুষ। এর পরও কার্যকর ব্যবস্থা না নেওয়ায় এলাকাবাসীর মধ্যে ক্ষোভ তৈরি হয়েছে।
স্থানীয়রা জানান, এই সাঁকো দিয়ে পৌর এলাকার সাহাপাড়া, সরিষাদাইড়, আন্ধরা ছাড়াও মির্জাপুরের দক্ষিণাঞ্চলের ভাওড়া, বহুরিয়া, উয়ার্শী ইউনিয়নের অন্তত ৩৫ গ্রামের লোকজন নদী পার হয়ে গন্তব্যে পৌঁছায়। কুমুদিনী হাসপাতাল, মেডিকেল কলেজ, নার্সিং স্কুল ও কলেজ, ভারতেশ্বরী হোমসের শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারীদের অনেকেই নদীর দক্ষিণ পারে থাকেন। তারাও এই সাঁকো ব্যবহার করেন। এ ছাড়া সাঁকো দিয়ে অনেকে মোটরসাইকেলে ঢাকার ধামরাই, মানিকগঞ্জের সাটুরিয়াসহ বিভিন্ন গন্তব্যে যাতায়াত করেন। কিন্তু সাঁকোটি হঠাৎ ভেঙে যাওয়ায় তাদের সীমাহীন দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। তাৎক্ষণিকভাবে সেখানে পারাপারের জন্য কোনো নৌকার ব্যবস্থাও করা হয়নি।
এদিকে নদীর ওই ঘাট জেলা পরিষদ থেকে প্রতিবছর ইজারা দেওয়া হয়। অজ্ঞাত কারণে সেখানে স্বাধীনতার ৫৩ বছরে সেতু নির্মাণ করা হয়নি। প্রতিবছর ওই স্থানে নদীর পানি বাড়লে সাঁকো ভেঙে দুই পারের মানুষের দুর্ভোগ পোহাতে হয়।
আন্ধরা গ্রামের শেখ আব্দুল্লাহ আল ফাহাদ বলেন, মির্জাপুরের দক্ষিণাঞ্চলের মানুষের দুঃখ কুমুদিনী খেয়াঘাট। এই দুঃখ দূর করতে কর্তৃপক্ষকে এগিয়ে আসতে হবে।
মির্জাপুর পৌর প্রশাসক ও উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মাসুদুর রহমানের ভাষ্য, সোমবার উপজেলা পরিষদের সভায় বিষয়টি উত্থাপন করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।