ভারতীয় সিনেমার জনপ্রিয় অভিনেত্রী নুসরাত ভারুচা। প্রায় দুই দশকের অভিনয় ক্যারিয়ারে অনেক দর্শকপ্রিয় সিনেমা উপহার দিয়েছেন। যশ-খ্যাতির পাশাপাশি অর্থ-বিত্তেরও মালিক হয়েছেন। এখন প্রায় ৫০ কোটি রুপির মালিক এই অভিনেত্রী।

তবে কলেজে পড়াকালীন অর্থকষ্টে দিন পার করেছেন নুসরাত ভারুচা। যখন কলেজে ভর্তি হন, তখন তার বাবার ব্যবসা ভালো যাচ্ছিল না। ফলে, বাবার দেওয়া টাকা খুব ভেবেচিন্তে খরচ করতেন। বলিউড বাবলকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে এসব তথ্য জানান ‘লাভ সেক্স অর ধোকা’ তারকা।

নুসরাত ভারুচা বলেন, “আমি বাবার দেওয়া টাকা খরচের ক্ষেত্রে খুব হিসাবি ছিলাম। পাঁচ বছর কলেজে কাটিয়েছি। আমি প্রতিদিন ৮ রুপি (বাংলাদেশি মুদ্রায় ১১ টাকা ৪৬ পয়সা) খরচ করতাম। আর এই টাকা যাতায়াতবাবদ খরচ হতো। প্রথমে ট্রেন, তারপর বাস, এরপর হেঁটে কলেজে যেতাম। ক্লাস শেষ করে আবার একই পথ ধরে বাড়ি ফিরতাম। জয় হিন্দ কলেজে একটি জিনিস বিনামূল্যে পাওয়া যেত, তা হলো পানি। যখন ক্ষুধা লাগত, তখন পানি খেতাম।”

নিজের আর্থিক ব্যবস্থাপনা সম্পর্কে নুসরাত ভারুচা বলেন, “খুব ছোটবেলায় সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম, প্রতি মাসে কত খরচ করব। আমার মৌলিক প্রয়োজন মিটিয়ে যা অবশিষ্ট থাকে, তা স্বয়ংক্রিয়ভাবে বিনিয়োগ এবং সঞ্চয় খাতে পাঠানো হয়। টাকা কখনো আমার অ্যাকাউন্টে আসে না। এ বিষয়ে হিসাবরক্ষকদের নির্দেশ দেওয়া আছে।”

২০০৬ সালে রুপালি পর্দায় পা রাখেন নুসরাত। ‘সোনু কে টিটু কি সুইটি’, ‘ড্রিম গার্ল’, ‘ছালাং’, ‘ছোড়ি’, ‘আজীব দাস্তানস’ প্রভৃতি সিনেমায় অভিনয় করে নিজের দক্ষতার প্রমাণ দিয়েছেন। নুসরাত অভিনীত সর্বশেষ মুক্তিপ্রাপ্ত সিনেমা ‘ছোড়ি টু’। বিশাল ফুরিয়া নির্মিত সিনেমাটি গত ১১ এপ্রিল ওটিটি প্ল্যাটফর্ম অ্যামাজন প্রাইমে মুক্তি পায়।

তথ্যসূত্র: ইন্ডিয়া টিভি

ঢাকা/শান্ত

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

সুষ্ঠু-নিরপেক্ষ নির্বাচনে পিআরের বিকল্প নেই: আব্দুল্লাহ তাহের

সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের জন্য ভোটের সংখ্যানুপাতে (পিআর) সংসদের আসন বণ্টন পদ্ধতির বিকল্প নেই বলে মন্তব্য করেছেন জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির ডা. সৈয়দ আব্দুল্লাহ মুহাম্মদ তাহের। 

মঙ্গলবার রাজধানীর পুরানা পল্টনে জামায়াতে ইসলামী ঢাকা মহানগরী দক্ষিণে কার্যালয়ে জুলাই-আগস্টের শহীদ, আহত ও পঙ্গুত্ববরণকারীদের স্মরণে দোয়া অনুষ্ঠানে তিনি এ মন্তব্য করেন। 

বিএনপির প্রতি ইঙ্গিত করে ডা. তাহের বলেন, যারা ফ্যাসিবাদ প্রতিষ্ঠার পথ বন্ধ করতে সহযোগিতা করছে না, তারাও ফ্যাসিবাদ কায়েম করতে চায়। ভোট ডাকাতির কোনো সুযোগ থাকবে না বলেই কেউ কেউ পিআর পদ্ধতিকে ভয় পায়। যারা নির্বাচনের আগেই সংসদে ২৮০ আসন পাবে বলে দাবি করে, তারাই সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনে বাধা। তারা মূলত হাসিনা মার্কা যেনতেন নির্বাচন চায়। নির্বাচন সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ না হলে, বাংলাদেশ কঠিন পরিস্থিতিতে পড়বে। মানুষ মতপ্রকাশের স্বাধীনতা হারাবে। রাষ্ট্র কর্তৃক জুলুমের শিকার হবে।

তিনি বলেন, ১৯৭১ সালে পাকিস্তানের হাত থেকে স্বাধীনতা লাভ করেছি। কিন্তু  মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বাস্তবায়ন না হওয়ায় জুলুম ও বৈষম্য ছিল। ২০২৪ সালে আওয়ামী ফ্যাসিবাদের জুলুম থেকে জাতি স্বাধীনতা লাভ করেছে। ২৪ এর স্বাধীনতা আর কাউকে ছিনিয়ে নিতে দেওয়া হবে না। ছাত্র-জনতার অর্জিত নতুন বাংলাদেশ মৌলিক পরিবর্তন চায়। বিএনপিসহ তিনটি দল ছাড়া সবাই শর্তহীনভাবে প্রধানমন্ত্রী পদের মেয়াদ ১০ বছরের সীমাবদ্ধ চায়। কারও উদ্দেশ্য যদি খারাপ হয়, তাহলে মহৎ উদ্দেশ্যে তিনি সমর্থন জানান না, জানাতে পারেন না। 

দক্ষিণ জামায়াতের  নায়েবে আমির আব্দুস সবুর ফকিরের সভাপতিত্বে দোয়া অনুষ্ঠানে অংশ নেন মহানগরের নেতা এবং আগামী নির্বাচনের সম্ভাব্য প্রার্থীরা। 
 

সম্পর্কিত নিবন্ধ