ফিলিস্তিনিপন্থী বিক্ষোভের সময় কলম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থী গ্রেপ্তার
Published: 8th, May 2025 GMT
যুক্তরাষ্ট্রের কলম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে ফিলিস্তিনিপন্থী বিক্ষোভের সময় বুধবার কয়েক ডজন ছাত্রকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান লাইব্রেরির অংশ দখল করার সময় তাদের গ্রেপ্তার করা হয় বলে বৃহস্পতিবার জানিয়েছে রয়টার্স।
নিউ ইয়র্ক পুলিশকে কমপক্ষে ৪০ থেকে ৫০ জন ছাত্রকে বাটলার লাইব্রেরির বাইরে পুলিশের গাড়িতে তুলতে দেখা গেছে।
বিশ্ববিদ্যালয় কর্মকর্তাদের অনুরোধে পুলিশ ক্যাম্পাসে পৌঁছেছিল। কর্মকর্তারা জানিয়েছিলেন, লাইব্রেরির দ্বিতীয় তলার প্রধান পাঠ কক্ষ দখলকারী বিক্ষোভকারীরা অনুপ্রবেশের সাথে জড়িত ছিল।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রকাশিত ভিডিও এবং ছবিতে দেখা গেছে, বিক্ষোভকারীরা টেবিলের উপর দাঁড়িয়ে ড্রাম বাজাচ্ছে এবং লরেন্স এ.
গত বছর ক্যাম্পাসে ফিলিস্তিনিপন্থী বিক্ষোভের জন্য কলম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের সমালোচনা করেছিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তিনি বলেছিলেন, কর্তৃপক্ষ ইহুদিবিদ্বেষী এবং ইহুদি ছাত্রদের সুরক্ষা দিতে ব্যর্থ হয়েছে।
বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, তারা ক্যাম্পাসে ইহুদিবিদ্বেষ এবং অন্যান্য কুসংস্কার মোকাবিলায় কাজ করেছে।
বুধবার রাতে কলম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয় জানিয়েছে, তারা ‘ভবনটি সুরক্ষিত করার জন্য, নিউ ইয়র্ক পুলিশের সহায়তা চেয়েছে।
ঢাকা/শাহেদ
উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
ভূপাতিত করা ২৫ ড্রোন ইসরায়েলের তৈরি: পাকিস্তান আইএসপিআর
পাকিস্তানের সশস্ত্র বাহিনী বুধবার রাত থেকে আজ বৃহস্পতিবার পর্যন্ত ২৫টি হরপ ড্রোন ভূপাতিত করেছে। পাকিস্তানের আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তরের (আইএসপিআর) দাবি, এসব ড্রোন ইসরায়েলের তৈরি। খবর ডন, বিবিসির
সেনাবাহিনী বলেছে, পাকিস্তানের সশস্ত্র বাহিনী তাদের ‘সফট-কিল’ (প্রযুক্তিগত) ও ‘হার্ড-কিল’ (অস্ত্রশস্ত্রের ব্যবহার) দক্ষতা পুরোপুরি কাজে লাগিয়ে ভারত থেকে পাঠানো ২৫টি ইসরায়েলি হরপ ড্রোন গুলি করে নামিয়েছে।
কাশ্মীরের নিয়ন্ত্রণরেখায় ভারত বড় ক্ষয়ক্ষতির শিকার হয়েছে উল্লেখ করে পাকিস্তানের সেনাবাহিনী বলেছে, ‘পাকিস্তানের বিভিন্ন স্থানে ভূপাতিত করা এসব ইসরায়েলি হরপ ড্রোনের ধ্বংসাবশেষ জড়ো করা হচ্ছে।’
গত মঙ্গলবার দিবাগত রাত ১টার পর ‘অপারেশন সিঁদুর’ নাম দিয়ে পাকিস্তানের পাঞ্জাব ও আজাদ কাশ্মীরের বিভিন্ন স্থাপনায় এই হামলা চালায় ভারত। ক্ষেপণাস্ত্র হামলা ও গুলিবর্ষণে নিহত হন ৩১ জন। এতে আহত হয়েছেন আরও ৫৭ জন।
অন্যদিকে ভারতীয় সেনাবাহিনী জানিয়েছে, মঙ্গলবার রাতেই নিয়ন্ত্রণ রেখার কাছে (এলওসি) পাকিস্তানি সেনারা গোলাবর্ষণ করেছে। এতে ১৫ ভারতীয় নাগরিক নিহত হয়েছেন।
পাকিস্তানের সেনাবাহিনীর গণসংযোগ শাখার মহাপরিচালক (ডিজি আইএসপিআর) লেফটেন্যান্ট জেনারেল আহমেদ শরীফ চৌধুরী জানিয়েছেন, গত রাতে ভারত আবারও পাকিস্তানের সীমান্ত লঙ্ঘন করেছে এবং বিভিন্ন স্থানে ড্রোন পাঠিয়েছে। ৭ থেকে ৮ মে পর্যন্ত ভারত থেকে আসা ২৫টি ড্রোন ধ্বংস করেছে তারা।
এদিকে ভারতের হামলার পর পাকিস্তানের পক্ষ থেকে পাঁচটি ভারতীয় যুদ্ধবিমান ভূপাতিত করার দাবি করা হয়েছে। পাকিস্তানি সামরিক বাহিনীর মুখপাত্র জানান, এর মধ্যে তিনটি ফ্রান্সের তৈরি রাফাল, একটি রাশিয়ার তৈরি সু-৩০ ও অন্যটি মিগ-২৯ যুদ্ধবিমান। সু-৩০ ও মিগ-২৯ যুদ্ধবিমান সোভিয়েত আমলে তৈরি।
প্রতিবেদনে বলা হয়, পাকিস্তানের সশস্ত্র বাহিনী এখন পর্যন্ত ২৫টি ড্রোন ধ্বংস করেছে এবং বিভিন্ন স্থান থেকে তাদের ধ্বংসাবশেষ সংগ্রহ করা হচ্ছে।
আইএসপিআর মুখপাত্র বলেন, ভারতীয় ড্রোনগুলো পাকিস্তানের লাহোর, গুজরানওয়ালা, চকওয়াল, অ্যাটক, রাওয়ালপিন্ডি, বাহাওয়ালপুর, মিয়ানওয়ালি, ছোড় এবং করাচির দিকে পাঠানো হয়েছিল।
ক্ষয়ক্ষতি সম্পর্কে বলতে গিয়ে, পাকিস্তান সেনাবাহিনীর একজন মুখপাত্র বলেছেন যে লাহোরে একটি সামরিক লক্ষ্যবস্তুতে ড্রোন হামলা চালানো হয়েছে, যাতে চারজন পাকিস্তানি সেনা আহত হয়েছেন এবং সামরিক স্থাপনাও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
লেফটেন্যান্ট জেনারেল আহমেদ শরীফ বলেন, আমরা এই আগ্রাসনের মোকাবিলা খুব ভালোভাবে করতে জানি, আমরা এর মোকাবিলা করছি। আমরা কেবল দৃঢ় প্রতিজ্ঞই নই, এই আক্রমণকারীদের প্রতিহত করার ক্ষমতাও আমাদের রয়েছে।
গত ২২ এপ্রিল ভারত-নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরের পেহেলগামে পর্যটকদের ওপর বন্দুকধারীদের হামলায় ২৬ জনের প্রাণহানির পর ভারত-পাকিস্তানের মধ্যে উত্তেজনা চলছিল। এখন তা পাল্টাপাল্টি হামলায় রূপ নিয়েছে।