শেখ হাসিনার ব্যক্তিগত কর্মকর্তা এস এম মিজানুর রহমানের তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।

বৃহস্পতিবার (৮ মে) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট পার্থ ভদ্র বাংলাদেশ বিজ্ঞান ও শিল্প গবেষণা পরিষদে নাশকতার মামলায় শুনানি শেষে রিমান্ডের আদেশ দেন।

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা নিউমার্কেট থানার এসআই আশরাফুল ওমর তার ১০দিনের রিমান্ড চেয়ে আবেদন করেন।মিজানুর রহমানের পক্ষে অ্যাডভোকেট ওবাইদুল ইসলাম রিমান্ড বাতিল চেয়ে জামিন আবেদন করেন। শুনানি শেষে আদালত তার তিন দিনের রিমান্ডের আদেশ দেন।

এর আগে বুধবার (৭ মে) রাতে রাজধানীর সায়েন্স ল্যাব এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে নিউমার্কেট থানা পুলিশ।

জানা গেছে, গত বছরের ১৯ জুলাই ‘জুলাই আন্দোলন’ চলাকালে আন্দোলনকে ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করতে ঢাকার নিউমার্কেট থানা এলাকায় বাংলাদেশ বিজ্ঞান ও শিল্প গবেষণা পরিষদে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করে আওয়ামী লীগ ও এর সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা।

এতে প্রতিষ্ঠানটির ৪ কোটি ৩ লাখ ৪০ হাজার টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়।এ ঘটনায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের ছাত্র সোহাগ মিয়া গত ২৫ নভেম্বর নিউমার্কেট থানায় মামলা করেন।

ঢাকা/এম/এসবি

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ত কর ম

এছাড়াও পড়ুন:

বন্দরের রূপালীতে গরুর হাট বসানোর পাঁয়তারা, ক্ষুব্দ স্থানীয়রা

বন্দরের রূপালী আবাসিক এলাকায় গরুর হাট বসানোকে কেন্দ্র করে এলাকাবাসীর মাঝে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। স্থানীয় একটি চক্র রাজনৈতিক প্রভাব বিস্তার করে রূপালী আবাসিক এলাকার নদীর পাড়ে হাট বসানোর পাঁয়তারার প্রেক্ষিতে এ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে বলে এলাকায় গুঞ্জন শোনা যাচ্ছে। 

নাম প্রকাশ না করার শর্তে রূপালী আবাসিক এলাকার জনৈক বাড়ির মালিক জানান, আমরা নিরিবিলি স্থান মনে করে এই এলাকায় বাড়ি করে স্বপরিবারে বসবাস করছি অথচ প্রতিবছরই একটা শ্রেণীর মানুষ কোরবানীর ঈদকে পূঁজি করে নিজেদের পকেট ভারী করার জন্য আমাদের এই আবাসিক এলাকার নদীর পাড়টি বেছে নেয়। 

এখানে কয়েক হাজার পরিবার বসবাস করে। সারাদিনের কাজ শেষে একটু নদীর পাড়ে সময় কাটাবে সেই সুযোগটাও তারা নষ্ট করে দেয়। গরুর হাট সাধারণতঃ আবাসিক এলাকায় বসানোর কোন নিয়ম নেই। এসব হাট বসবে নিরিবিলি বিস্তর জায়গা নিয়ে। লোকালয়ে এসব হাট বসানো হলে মানুষের দুর্ভোগের অন্ত থাকে না।

অপরাপর বাড়ির মালিক একই শর্তে জানান, এতোদিন এক দলের নেতারা আমাদের ঘুম হারাম করেছে এখন আরেক দল সেই পাঁয়তারাই করছে। তাদের এই হাট বসানোর কারণে এলাকায় চোর,ছিনকাইকারীদের অভয়ারন্যে পরিণত হয়ে ওঠে। তার উপরে মাইকের বিকট শব্দে মানুষের জীবন বিষময় হয়ে পড়ে। কে শোনে কার কথা। 

গরুতো আমরাই কিনি নিরিবিলি কোন মাঠে-ময়দানে এই হাট বসালে সবার জন্য মঙ্গল। আমরা চাই এই হাটটি যেন এবার এখানে না বসানো হয় তাহলে আমরা উপকৃত হবো। প্রশাসনের কর্তা ব্যক্তিদের প্রতি আমাদের অনুরোধ তারা যেন বিষয়টি বিবেচনা করে আবাসিক এলাকায় কোন গরুর হাটের অনুমোদন না দেয়।  
 

সম্পর্কিত নিবন্ধ