“প্রেমিকা গোলাপীকে পেতে অর্থের খোঁজে সামাদের যাত্রা বদলে দেয় অনেকের জীবন। বন্ধুদের সহায়তায় ছিনতাইয়ের পরিকল্পনা; কিন্তু ভুলবশত খুনের ঘটনা ঘটে। শুরু হয় দুঃস্বপ্ন, প্রতিশোধের নেশায় তাদের পিছু নেয় নিহত নারীর স্বামী, আর পুলিশেরও নিশানায় পড়ে এই দল।”— ঠিক এমন টানটান উত্তেজনাপূর্ণ গল্প নিয়ে গড়ে উঠেছে ‘ফ্যাঁকড়া’ ওয়েব সিরিজের কাহিনি। বৃহস্পতিবার (৮ মে) বঙ্গতে মুক্তি পা এটি।

গত বছর রাজনৈতিক অস্থিরতায় যখন স্থবির শোবিজ অঙ্গন, তখন ওয়েব সিরিজটির শুটিং শেষ করেন নির্মাতা আসিফ চৌধুরী। এবার সেই গল্প পৌঁছাবে দর্শকদের কাছে। সংবাদ সম্মেলনে এই নির্মাতা বলেন, “ফ্যাঁকড়া শুধু থ্রিলার নয়, এখানে আছে যন্ত্রণা, ভালোবাসা, আত্মত্যাগ আর অপরাধজগতের মানবিক রূপ।”

সিরিজটির কেন্দ্রীয় চরিত্র গোলাপী রূপায়ন করেছেন অভিনেত্রী নিদ্রা দে নেহা। তার ভাষায়, “গল্পটা অসাধারণ। এই ‘গোলাপী’ নামটিই আমাকে কাজটি করতে রাজি করায়। প্রেম, অপরাধ আর ভুলের পরিণতির এই জটিল গল্পে কত মানুষের জীবন জড়িয়ে যায়, সেটাই দর্শক দেখতে পাবেন।”

আরো পড়ুন:

অভিনেতা এজাজ খানের বিরুদ্ধে ধর্ষণ মামলা

নিশোর সঙ্গী নাবিলা!

ভালোবাসা আর অপরাধের এই ফাঁদে কে বাঁচবে আর কে হারবে— সেটাই এখন দেখার অপেক্ষা।  

কারওয়ান বাজারের এক রেস্তোরাঁয় আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন শ্যামল মাওলা, নিশাত প্রিয়ম, সারা আলম, পার্থ শেখ, মীর রাব্বি, আবদুল্লাহ আল সেন্টু, হাশনাত রিপন, এ কে আজাদ সেতু প্রমুখ।

ঢাকা/রাহাত/শান্ত

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর অপর ধ

এছাড়াও পড়ুন:

রথযাত্রার নিরাপত্তা নিশ্চিতে ডিএমপিতে সমন্বয় সভা

আসন্ন রথযাত্রা ও উল্টো রথযাত্রা উপলক্ষে রাজধানীর নিরাপত্তা ও ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা নিয়ে সমন্বয় সভা করেছে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি)। সোমবার বেলা ১১টায় ডিএমপি সদর দপ্তরের সম্মেলন কক্ষে এই সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন ডিএমপি কমিশনার শেখ মো. সাজ্জাত আলী।

সভায় জানানো হয়, ২৭ জুন রথযাত্রা ও ৫ জুলাই উল্টো রথযাত্রা উপলক্ষে ঢাকা শহরে আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় পর্যাপ্ত নিরাপত্তাব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।

নিরাপত্তা পরিকল্পনার অংশ হিসেবে রথযাত্রায় থাকবে টহল দল, সিসিটিভি ক্যামেরা, ফুট পেট্রোল, রুফটপ পার্টি, হোন্ডা মোবাইল টিম, গোয়েন্দা বিভাগ (ডিবি), সাদাপোশাকে গোয়েন্দা, সোয়াট, বোমা নিষ্ক্রিয়কারী দল ও ট্রাফিক পুলিশ।

ডিএমপি জানায়, সভায় সর্বসম্মতভাবে সিদ্ধান্ত হয়েছে রথযাত্রা নির্ধারিত রুট ও সময়ের মধ্যে শেষ করতে হবে। নামাজ ও আজানের সময় মাইক ব্যবহার না করা, ব্যাগ-পোঁটলা নিয়ে রথযাত্রায় অংশ না নেওয়া, নিজস্ব স্বেচ্ছাসেবক নিয়োগ এবং সন্দেহজনক ব্যক্তি বা বস্তু দেখলে সঙ্গে সঙ্গে পুলিশকে জানানোর অনুরোধ জানানো হয়।

সভাপতির বক্তব্যে ডিএমপি কমিশনার বলেন, ঢাকায় রথযাত্রা একটি বড় ধর্মীয় শোভাযাত্রা। শুক্রবার বিকেলে জনসমাগম বেশি হয়, তাই সবাইকে সর্বোচ্চ সতর্ক থাকতে হবে। তিনি আশা প্রকাশ করেন, সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টায় এই উৎসব সুন্দর ও নিরাপদভাবে সম্পন্ন হবে।

সভায় ডিএমপির যুগ্ম কমিশনার (অপারেশনস) মোহাম্মদ শহীদুল্লাহ পাওয়ার পয়েন্ট উপস্থাপনার মাধ্যমে নিরাপত্তা পরিকল্পনার বিস্তারিত তুলে ধরেন। সভায় ডিএমপির বিভিন্ন অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার, যুগ্ম ও উপপুলিশ কমিশনার, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী, ফায়ার সার্ভিস, সিটি করপোরেশন, গোয়েন্দা সংস্থাসহ রথযাত্রা উদ্‌যাপন কমিটির নেতারা উপস্থিত ছিলেন।

সম্পর্কিত নিবন্ধ