Samakal:
2025-11-23@17:06:35 GMT

যুদ্ধের দিকে যাত্রা থেমে যাক

Published: 10th, May 2025 GMT

যুদ্ধের দিকে যাত্রা থেমে যাক

সংঘাত বন্ধে ভারত ও পাকিস্তানকে নিজেদের মধ্যে আলাপ-আলোচনা অব্যাহত রাখতে হবে। দুই দেশকেই বিবেক, বুদ্ধিমত্তা কাজে লাগিয়ে জনগণ ও সম্পদের ক্ষতি এড়াতে উত্তেজনা কমাতে হবে। উভয় দেশের জন্য তা হবে মঙ্গলজনক। চলমান সংঘাত পারমাণবিক যুদ্ধে রূপ নিলে সমগ্র বিশ্বেই এর প্রভাব পড়বে। গতকাল শুক্রবার এসব কথা বলা হয় পাকিস্তানের গণমাধ্যম দ্য ডনের সম্পাদকীয়তে।      

এতে বলা হয়, ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে ক্রমবর্ধমান সংঘাতের কারণে দুই দেশের জনগণের মধ্যে বিরাজ করছে ভয় ও উত্তেজনা। হামলা-পাল্টা হামলায় উভয় দেশ প্রতিশোধমূলক নতুন নতুন সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য হচ্ছে। দুই ভূখণ্ডেই এখন বিমানবন্দর বন্ধ; স্কুল, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ে ক্লাস-পরীক্ষা স্থগিত এবং বাজারে ছন্দপতন ঘটেছে। পাকিস্তানের সেনাবাহিনী জানিয়েছে, ভারত থেকে ছোড়া ইসরায়েলের তৈরি ২৫টি ড্রোন ভূপাতিত করেছে। এর বাইরে কিছু কিছু ড্রোন হামলায় সম্পদের ক্ষতি ও মানুষ আহত হয়েছে। 

গত ৭ মে ভারত আজাদ কাশ্মীর ও পাঞ্জাবে ড্রোন এবং ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছিল। বৃহস্পতিবারও ভারতের ড্রোন সিন্ধু প্রদেশের লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানে। এর অর্থ, ভারতের আগ্রাসন আরও এক ধাপ এগিয়েছে। দেশটির সামরিক বাহিনী দাবি করেছে, জম্মু কাশ্মীরের লক্ষ্যবস্তুতে হামলা চালিয়েছে পাকিস্তান। কিন্তু ইসলামাবাদ তা অস্বীকার করেছে।  

গত ২২ এপ্রিল কাশ্মীরের পেহেলগামে সশস্ত্র হামলার জন্য পাকিস্তানকে দায়ী করে ভারত। এটি একটি অপ্রমাণিত অভিযোগ। ইসলামাবাদ মনে করে, মিথ্যা অজুহাতে পাকিস্তানে ‘অপারেশন সিঁদুর’ পরিচালিত করে ভারত। পাকিস্তান পাঁচটি যুদ্ধবিমান ভূপাতিত করে প্রতিশোধ নিয়েছে। এখন সব পক্ষের উচিত যুদ্ধ যুদ্ধ খেলা থেকে সরে আসা, যাতে উভয় দেশের জনগণের জন্য স্বাভাবিক পরিবেশ বিরাজ করে। 

ভারতের প্রতিরক্ষামন্ত্রী বালদেব সিং গতকাল শুক্রবার  জোর দিয়ে বলেছেন, সংলাপের মাধ্যমে সংকটের সমাধান চান তারা। দেশটির সেনাবাহিনী উত্তেজনা না বাড়ানোর প্রতিশ্রুতিও দিয়েছে। কিন্তু বাস্তবতা হলো, ভারত উস্কানিমূলক আচরণ অব্যাহত রেখেছে। এতে সীমান্তের এপারে বেসামরিক নাগরিকের জীবন বিপন্ন করে তুলছে। অতএব সংলাপ ও উত্তেজনা না বাড়ানোর প্রতিশ্রুতি প্রশ্নবিদ্ধ হয়ে পড়েছে। 

বৃহস্পতিবার পাকিস্তানের পক্ষ থেকে একটি গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। তা হলো, দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইসহাক দার উভয় দেশের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা ও ডিজিএমওদের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। কিন্তু দুঃখের বিষয়, আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় সংযমের আহ্বান জানালেও ভারত যুদ্ধ বন্ধে এগিয়ে আসার আগ্রহ দেখায়নি। তাদের মধ্যে স্পষ্ট উদাসীনতা দেখা গেছে। পারমাণবিক শক্তিধর একটি দেশের এই আচরণ বিভ্রান্তিকর। কারণ শত্রুতা কখনও দ্বিপক্ষীয় বিষয় থাকে না, বরং তা সমগ্র দক্ষিণ এশিয়ার পাশাপাশি মধ্যপ্রাচ্যকেও প্রভাবিত করবে।  

সম্পাদকীয়তে বলা হয়, জাতিসংঘ, ইসলামাবাদ ও দিল্লির সঙ্গে ভালো সম্পর্ক রয়েছে– এমন দেশগুলোর উচিত দুই দেশের মধ্যে যুদ্ধের উত্তাপ কমাতে ভূমিকা রাখা। যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প উভয় দেশকে সহিংসতা বন্ধ করার আহ্বান জানিয়েছেন। দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও এ ব্যাপারে কথা বলেছেন। উপসাগরীয় রাষ্ট্র ইরান ও অন্যান্য বিদেশি শক্তির উচিত কূটনৈতিক তৎপরতা বাড়িয়ে দেওয়া, যাতে সংঘাত বন্ধ করা যায়।   

উভয় দেশেই জঙ্গিবাদের সমস্যা রয়েছে। কিন্তু ভারত এই সমস্যাটি পাকিস্তানের ওপর চাপিয়ে দিতে চাচ্ছে। সম্ভবত তারা বলিউডের অ্যাকশনধর্মী সিনেমার প্রেক্ষাপটে যুদ্ধের কথা চিন্তা করছে। সংঘাতের আসল বাস্তবতা ও ক্ষতিকর পরিণাম সম্পর্কে তারা উদাসীন। পারমাণবিক যুদ্ধ হলে কী ঘটবে, তা কল্পনা করাও ভয়াবহ। অতএব, দুই দেশকেই বিবেক ও বুদ্ধিমত্তা কাজে লাগিয়ে নিজেদের যুদ্ধের দিকে অগ্রসর হওয়া থামিয়ে দিতে হবে। উত্তেজনাময় পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে নিজেদের মধ্যে যোগাযোগ বৃদ্ধি ও আলাপ-আলোচনা চালিয়ে যেতে হবে।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: য দ ধ র প রস ত ত উভয় দ শ দ শট র

এছাড়াও পড়ুন:

জামায়াতের এমপি পদপ্রার্থীর ৫ হাজার মোটরসাইকেলের শোডাউন

নওগাঁ-২ আসনে জামায়াত মনোনীত এমপি পদপ্রার্থী ইঞ্জিনিয়ার এনামুল হকের সমর্থনে মোটরসাইকেল শোভাযাত্রা করেছে দলটির নেতাকর্মীরা।

শনিবার (২২ নভেম্বর) সকাল ৯টায় উপজেলার নজিপুর হাইস্কুল মাঠ থেকে শোভাযাত্রাটি বের করা হয়। এতে প্রায় ৫ হাজার মোটরসাইকেল নিয়ে অংশ নেন সমর্থকরা।

শোভাযাত্রাটি ঠুকনিপাড়া, নজিপুর বাসস্ট্যান্ড, শিবপুর বাজার, মধইল, আগ্রাদ্বিগুণ, আমইতাড়া, ধামইরহাট, মঙ্গলবাড়ি, শাহাপুর, ফতেপুর রোডে ঘুরে পুনরায় নজিপুর পাবলিক মাঠে এসে শেষ হয়।
আসনটিতে জামায়াত মনোনীত প্রার্থী ইঞ্জিনিয়ার এনামুল হক দলটির কেন্দ্রীয় শুরা সদস্য ও জেলা নায়েবে আমীরের দায়িত্বে আছেন।

শোভাযাত্রা শেষে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে এনামুল হক বলেন, “অতীতের গুম-খুনের রাজনীতি থেকে বের হয়ে বৈষম্যহীন রাষ্ট্র গঠন করাই আমাদের লক্ষ্য। আগামী দিনে নওগাঁর-২ (পত্নীতলা-ধামইরহাট) নতুনভাবে গড়ে তোলার পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে। আমরা শাসক নয়, জনগণের সেবক হতে চাই।”

তিনি আরো বলেন, “আমরা চাই এমন একটি বাংলাদেশ, যেখানে প্রতিটি নাগরিক সমান অধিকার ভোগ করবে, ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠিত হবে এবং ইসলামী মূল্যবোধের ভিত্তিতে সমাজ পরিচালিত হবে। জনগণের ভোটে যদি আমরা সরকার গঠনের সুযোগ পাই, তবে ন্যায়ের সমতা, সামাজিক নিরাপত্তা, শিক্ষা ও স্বাস্থ্যসেবায় সবার জন্য সমান সুযোগ নিশ্চিত করাই হবে আমাদের প্রথম দায়িত্ব।”

ঢাকা/কেএন/ইভা

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • বিদেশিদের সঙ্গে বন্দর চুক্তি বাতিল না করলে যমুনা ঘেরাওয়ের ঘোষণা বাম জোটের
  • কয়েক দিনের মধ্যেই এনসিপি–এবি পার্টিসহ নতুন জোট: মজিবুর রহমান
  • বিদেশিদের দালালি করা দলকে ক্ষমতায় দেখতে চায় না জনগণ 
  • সিএমএম আদালতে পুলিশ-ম্যাজিস্ট্রেসি কনফারেন্স অনুষ্ঠিত
  • নির্বাচনে জয়ী হলে আমরা জনগণের খাদেম হব, শাসক নয়: জামায়াত নেতা বুলবুল
  • চট্টগ্রাম গণসংযোগ করলেন বিএনপি নেতা ইসরাফিল খসরু
  • জাতীয় পার্টির মাধ্যমে আ. লীগ পুনর্বাসনের চক্রান্ত জনগণ মানবে না: নাহিদ
  • নির্বাচন হতেই হবে, না হলে দেশে সংকট হবে: ডা. শফিকুর
  • নির্বাচনের মাধ্যমে দেশে নতুন ইতিহাস রচিত হবে: ডা. শফিকুর
  • জামায়াতের এমপি পদপ্রার্থীর ৫ হাজার মোটরসাইকেলের শোডাউন