নারায়ণগঞ্জকে রক্ষা করতে হলে নদীকে রক্ষা করতে হবে : ঢাকা বিভাগীয় কমিশনার
Published: 10th, May 2025 GMT
ঢাকা বিভাগীয় কমিশনার শরফ উদ্দিন আহমদ চৌধুরী বলেছেন, গরমে হাঁসফাঁস অবস্থা, আমাদের এই পরিস্থিতি বলে দিচ্ছে গাছ লাগানো আমাদের জন্য কতটা জরুরী। গাছ যদি না থাকে আমরা কিন্তু অক্সিজেন পাবো না। অক্সিজেন না পেলে ২ মিনিটের বেশি আমরা পৃথিবীতে বেঁচে থাকতে পারবো না। কাজেই আমি মনে করি যে, গাছ লাগানো একটা ইবাদতের মতো।
নিজের প্রয়োজনে সমাজের প্রয়োজনে, ভবিষ্যৎ প্রজন্মের প্রয়োজনে আমাদের গাছ লাগাতে হবে। নারায়ণগঞ্জে অনেক নদী ছিল, খাল ছিল। খালগুলো উদ্ধার করতে হবে যাতে করে নারায়ণগঞ্জের মানুষ জলাবদ্ধতা না পায়।
নারায়ণগঞ্জকে রক্ষা করতে হলে নদীকে রক্ষা করতে হবে। বর্তমানে শীতলক্ষ্যা নদীর মাছ বিলুপ্ত হয়ে গেছে। আশা করছি, নারায়ণগঞ্জবাসী জেলা প্রশাসককে সহযোগিতা করবে। নারায়ণগঞ্জের মানুষ সংগ্রামী। বিভিন্ন আন্দোলন সংগ্রামে নারায়ণগঞ্জ অগ্রণী ভূমিকা পালন করেছে।
শনিবার (১০ মে) দুপুরে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে নেয়া ‘গ্রিন অ্যান্ড ক্লিন’ কর্মসূচির উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। এদিন ‘নারায়ণগঞ্জ হবে সবুজে ঘেরা, প্রাচ্যের ড্যান্ডি হবে বিশ্ব সেরা’ স্লোগানকে সামনে রেখে এই কর্মসূচির উদ্বোধন করা হয়।
এদিন সকালে এই কর্মসূচি উপলক্ষ্যে এক বর্ণাঢ্য র্যালীর আয়োজন করা হয়। সেই সাথে নারায়ণগঞ্জের ১৪ টি জায়গায় ১০ হাজার বৃক্ষরোপণ করা হয়।
মাদক প্রসঙ্গে অভিভাবকদের সচেতন হওয়ান আহ্বান জানিয়ে শরফ উদ্দিন আহমদ চৌধুরী বলেন, যারা মাদকসেবী তাদের রেকর্ড যদি আপনারা পর্যালোচনা করেন, তাহলে দেখবেন প্রত্যেকের শুরুটা হয়েছে সিগারেট দিয়ে।
আমাদের শিশুদের যদি আমরা তামাক থেকে দূরে রাখতে পারি। তাহলে আমরা আশা করতে পারি, ভবিষ্যতে আমরা তাদের মাদক থেকে দূরে রাখতে পারবো। সেই বিষয়ে অভিভাবকদের একটু সচেতন হওয়ার জন্য আহ্বান জানাবো।
নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ জাহিদুল ইসলাম মিঞার সভাপতিত্বে এসময় উপস্থিত ছিলেন, নারায়ণগঞ্জ জেলা পুলিশ সুপার প্রত্যুষ কুমার মজুমদার, সিটি কর্পোরেশনের সচিব মো.
উৎস: Narayanganj Times
কীওয়ার্ড: ন র য়ণগঞ জ ন র য়ণগঞ জ আম দ র
এছাড়াও পড়ুন:
রাজ্জাক-ছফার এক জীবন
মহাকবি আলাওল লিখেছেন, ‘গুরু মুহম্মদে করি ভক্তি, স্থানে স্থানে প্রকাশিত নিজ মনোউক্তি’। ‘যদ্যপি আমার গুরু’ বইটির বৈশিষ্ট্য আহমদ ছফা নিজেই শনাক্ত করেছেন আলাওলের লেখা এই পঙ্ক্তি দিয়ে। ১৯৯৮ সালের ফেব্রুয়ারিতে বইটি প্রকাশের আগে দৈনিক বাংলা বাজার পত্রিকার সাহিত্য সাময়িকীতে দীর্ঘ চার মাস ধরে ধারাবাহিকভাবে প্রকাশিত হয়েছিল এই লেখা। অনেকেই সেই সময়ে লেখাটির প্রশংসা করেছিলেন। অনেকেই বলেছিলেন, অধ্যাপক আব্দুর রাজ্জাকের জবানিতে লেখা কথাগুলো আহমদ ছফা নিজে বানিয়ে বানিয়ে লিখেছেন। অবশ্য মুখবন্ধে লেখক দাবি করেছেন, ‘আমার শিক্ষক অধ্যাপক রাজ্জাকের অনন্য ব্যক্তিত্বের মহিমা আমি যেভাবে অনুভব করেছি, অন্তত তার কিছুটা উত্তাপ দশজনের কাছে প্রকাশ করি।’
‘যদ্যপি আমার গুরু’ বই হিসেবে প্রকাশের সময় অধ্যাপক রাজ্জাক বেঁচে ছিলেন। ১৯৯৯ সালের ২৮ নভেম্বর তিনি মৃত্যুবরণ করেন। ১৯৭০ সাল থেকে নিয়মিত অধ্যাপক রাজ্জাকের কাছে যাওয়া-আসা করতেন আহমদ ছফা। তাঁর ভাষায়, তাঁর কাছে অধ্যাপক রাজ্জাক ‘একদিনের জন্যও পুরানো হয়ে যাননি’। অধ্যাপক রাজ্জাকের বহুমাত্রিক দিক পাঠকের কাছে উন্মোচন করেছেন লেখক। সমালোচক-পণ্ডিতেরা এমনটাই মনে করেন।
অধ্যাপক রাজ্জাকের সংস্পর্শে এসে মানুষ হিসেবে চিন্তার কাঠামো-দেখার ভঙ্গি বদলে গিয়েছে—এ কথা নিঃসংকোচেই বলেছেন লেখক। অধ্যাপক রাজ্জাককে পিএইচডির সুপারভাইজার হিসেবে চেয়েছিলেন ছফা। এই অনুরোধ থেকেই শিক্ষক-শিক্ষার্থীর সম্পর্কের ইতি টেনে শুরু হয় গুরু-শিষ্যের জ্ঞানজগতের সম্বন্ধ। যদিও বইটিতে ছফা উল্লেখ করেছেন, প্রচলিত নিয়ম ভেঙে সুযোগ দেওয়ার পরও তাঁর পক্ষে পিএইচডি করা সম্ভব হয়নি। পিএইডি শেষ করতে না পারার কারণ হিসেবে তিনি অধ্যাপক রাজ্জাকেই দায়ী করেছেন।
যদ্যপি আমার গুরু, আহমদ ছফা, প্রচ্ছদ: কাইয়ুম চৌধুরী, প্রকাশকাল: ফেব্রুয়ারি ১৯৯৮