মাঝেমধ্যেই বিভিন্ন গ্রহাণু পৃথিবীর খুব কাছ দিয়ে চলে যায়। গত বুধবার এমনই এক গ্রহাণু পৃথিবীর খুব কাছ দিয়ে চলে গেছে। অ্যাপোলো শ্রেণির এই গ্রহাণু আকারে বোয়িং ৭৩৭ বিমানের সমান হলেও গতি ছিল অনেক বেশি। বিজ্ঞানীদের তথ্যমতে, পৃথিবীর পাশ দিয়ে চলে যাওয়ার সময় গ্রহাণুটির গতি ছিল ঘণ্টায় প্রায় ৪৮ হাজার ৯০০ কিলোমিটার। প্রায় ৬৮ লাখ কিলোমিটার দূর থেকে পৃথিবীকে পাশ কাটিয়ে গেছে গ্রহাণুটি।

আকারে বড় গ্রহাণুটি সূর্যকে প্রদক্ষিণ করার সময় পৃথিবীর কক্ষপথ অতিক্রম করেছে বলে জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসা। নাসার তথ্যমতে, ১৪০ মিটার ব্যাসের গ্রহাণুটি যদি কোনো কারণে পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলে প্রবেশ করত, তাহলে নিশ্চিত বিপর্যয়কর হতো। ২০১৩ সালে রাশিয়ার ওপর চেলিয়াবিনস্ক উল্কাপিণ্ডের ব্যাস ছিল ১৮ মিটার। সেই আঘাতে দেড় হাজারের বেশি মানুষ আহত হয়েছিল।

গ্রহাণু কতটা ভয়ানক হতে পারে, তা নির্ভর করে তার আকার ও গতির ওপর। ছোট গ্রহাণু বায়ুমণ্ডলে পুড়ে ছাই হয়ে যায়, উল্কাপাতের সৃষ্টি করে। মাঝারি আকারের গ্রহাণু, যা কয়েক মিটার থেকে কয়েক কিলোমিটার পর্যন্ত হতে পারে। এসব ভূপৃষ্ঠে আঘাত হানলে বিশাল গর্ত তৈরি করে ও ব্যাপক ধ্বংসযজ্ঞ ঘটাতে পারে। এদের ভূপৃষ্ঠে আঘাতের ফলে ভূমিকম্প ও সুনামিও হতে পারে।

বিজ্ঞানীদের তথ্যমতে, গ্রহাণুর আকার কয়েক কিলোমিটারের বেশি হলে ভয়ানক হতে পারে। এদের সংঘর্ষ একটি গ্রহস্তরের বিপর্যয় ডেকে আনতে পারে। যার ফলে ব্যাপক অগ্নিকাণ্ড, অ্যাসিডবৃষ্টি, দীর্ঘস্থায়ী ধোঁয়াশা এবং বিশ্বব্যাপী জলবায়ুর পরিবর্তন ঘটতে পারে। বড় গ্রহাণুর আঘাতে জীববৈচিত্র্যের ওপর মারাত্মক প্রভাব পড়তে পারে। অতীতে এমন গ্রহাণুর আঘাতে ডাইনোসর বিলুপ্ত হয়ে গিয়েছিল।

সূত্র: টাইমস অব ইন্ডিয়া

.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

ঢাবি প্রিন্টিং অ্যান্ড পাবলিকেশন স্টাডিজ বিভাগের দশক পূর্তি

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রিন্টিং অ্যান্ড পাবলিকেশন স্টাডিজ বিভাগের এক দশক পূর্তি উৎসব উদযাপন করা হয়েছে।

সোমবার (১২ মে) বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক মুজাফফর আহমেদ চৌধুরী মিলনায়তনে এ উৎসবের আয়োজন করা হয়।

বিভাগীয় চেয়ারপার্সন ড. শিল্পী বেগমের সভাপতিত্বে এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ঢাবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমদ খান। বিশেষ অতিথি ছিলেন, উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. সায়মা হক বিদিশা এবং সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. তৈয়েবুর রহমান।

আরো পড়ুন:

বুদ্ধ পূর্ণিমা উপলক্ষে ঢাবিতে শান্তি শোভাযাত্রা

আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ নিয়ে যা বলছেন ঢাবি শিক্ষার্থীরা

এ উপলক্ষে আয়োজিত লেকচার সিরিজের উদ্বোধনী পর্বে ‘প্রকাশনার হালচাল’ শীর্ষক মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ইংরেজি বিভাগের ইমেরিটাস অধ্যাপক ড. এ এফ সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী। স্বাগত বক্তব্য দেন বিভাগের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. সুধাংশু শেখর রায়।

উপাচার্য অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমদ খান প্রিন্টিং এবং পাবলিকেশনের বিষয়গুলোকে শিক্ষা ও গবেষণার গুরুত্বপূর্ণ অনুষঙ্গ হিসেবে উল্লেখ করে বলেন, “প্রকাশনা কার্যক্রমের উন্নয়নে আমরা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রেসকে আরো কার্যকর করতে চাই। বিশ্বের উন্নত বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর প্রেস বিভিন্ন গবেষণামূলক প্রকাশনার মাধ্যমে সমাজে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।” বিশ্ববিদ্যালয় প্রেসের সঙ্গে সমন্বিতভাবে কাজ করার জন্য তিনি বিভাগের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের আহ্বান জানান।

অনুষ্ঠানে বিভাগের খণ্ডকালীন শিক্ষক ড. বিমল গুহকে সম্মাননা প্রদান করা হয়। দ্বিতীয় পর্বে বিভাগের শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণে এক মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশিত হয়।

ঢাকা/সৌরভ/মেহেদী

সম্পর্কিত নিবন্ধ