র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটিলয়ন (র‌্যাব) পুনর্গঠন করা হবে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী । সোমবার সচিবালয়ে আইনশৃঙ্খলা সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির সভা শেষে উপদেষ্টা এ কথা জানান।

তিনি বলেন, র‌্যাব পুনর্গঠনে আলোচনা হয়েছে। এজন্য পাঁচ সদস্যের কমিটিও গঠন করা হয়েছে।

স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা আরও বলেন, ঈদকে সামনে রেখে চাঁদাবাজি ও ছিনতাইরোধে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী তৎপর আছে। এছাড়া সম্প্রতি ভারতীয় সীমান্তরক্ষীদের মাধ্যমে পুশ-ইন হওয়াদের মধ্যে বেশিরভাগই বাংলাদেশি।

গার্মেন্টস শ্রমিকদের বেতন-ভাতা ঈদের আগেই পরিশোধ করার আহ্বান জানান স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা জাহাঙ্গীর আলম।

 

.

উৎস: Samakal

এছাড়াও পড়ুন:

মানি এক্সচেঞ্জ প্রতিষ্ঠানগুলোর নিরাপত্তা নিশ্চিতের দাবি

দেশের মানি এক্সচেঞ্জ প্রতিষ্ঠানগুলোর নিরাপত্তা নিশ্চিতে পুলিশি টহল, নজরদারি বাড়ানোসহ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা জোরদারের দাবি জানিয়েছে মানি চেঞ্জার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (এমসিএবি)।

আজ মঙ্গলবার দুপুরে রাজধানীর সেগুনবাগিচায় বাংলাদেশ ক্রাইম রিপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন (ক্র্যাব) মিলনায়তনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এমসিএবি এই দাবি জানায়।

‘ঢাকাসহ সমগ্র বাংলাদেশের মানি এক্সচেঞ্জ প্রতিষ্ঠানসমূহে ছিনতাই, ডাকাতিসহ হয়রানিমূলক কর্মকাণ্ড বৃদ্ধি এবং সমগ্র দেশব্যাপী অবৈধ মানি এক্সচেঞ্জ ব্যবসা পরিচালনার প্রতিবাদে’ এই সংবাদ সম্মেলন করা হয়।

সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, সারা দেশের মানি এক্সচেঞ্জ প্রতিষ্ঠানগুলোতে ছিনতাই, ডাকাতিসহ হয়রানিমূলক কর্মকাণ্ড বেড়ে গেছে। তাই নিরাপত্তা নিশ্চিতে কর্তৃপক্ষকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে হবে। পাশাপাশি অবৈধ মানি এক্সচেঞ্জের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে। এ জন্য বাংলাদেশ ব্যাংক, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও এমসিএবির মনোনীত প্রতিনিধি সমন্বয়ে টাস্কফোর্স গঠন করতে হবে। এই টাস্কফোর্স অবৈধ মানি এক্সচেঞ্জের বিরুদ্ধে উচ্ছেদ অভিযান চালাবে।

সংবাদ সম্মেলনে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা, বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নরসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ বরাবর কয়েকটি দাবি তুলে ধরা হয়। দাবিগুলোর মধ্যে রয়েছে—বৈধ মানি এক্সচেঞ্জ প্রতিষ্ঠানে ছিনতাই-ডাকাতির ঘটনার দ্রুত তদন্ত করে দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে। ছিনতাই-ডাকাতি হওয়া অর্থ ফেরত দেওয়া বা যথোপযুক্ত ক্ষতিপূরণ প্রদান। বাংলাদেশ ব্যাংক অনুমোদিত মানি এক্সচেঞ্জ প্রতিষ্ঠানগুলোর স্বাভাবিক কার্যক্রম পরিচালনার ক্ষেত্রে হয়রানি বন্ধে ব্যবস্থা নেওয়া।

এমসিএবির মহাসচিব গৌতম দে বলেন, ৫ আগস্টের পর মবের নামে সুযোগসন্ধানীরা দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের বৈধ মানি এক্সচেঞ্জ প্রতিষ্ঠানগুলোয় ছিনতাই, ডাকাতিসহ হয়রানিমূলক কর্মকাণ্ড চালাচ্ছে। অবিলম্বে এসব কর্মকাণ্ড বন্ধ করতে মানি এক্সচেঞ্জ প্রতিষ্ঠানের নিয়ন্ত্রক সংস্থা ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ভূমিকা জরুরি। একই সঙ্গে ছিনতাই ও ডাকাতি হয়ে যাওয়া অর্থ ফিরিয়ে দেওয়ার আহ্বান জানান তিনি।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • এনবিআর ভবন অবরুদ্ধ করে রেখেছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী
  • মাদকের জন্য জনস্বাস্থ্য, আইনশৃঙ্খলা ও অর্থনীতি হুমকির মুখে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
  • নির্যাতন প্রতিরোধে কার্যকর উদ্যোগ নিতে হবে রাষ্ট্রকে
  • মাদক নির্মূলে সবার আগে গডফাদারদের ধরতে হবে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
  • জাতীয় নির্বাচনের সময় আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি ভালো থাকবে
  • সরকারের নিষ্ক্রিয়তায় মানবাধিকার লঙ্ঘন, ৩০ নাগরিকের বিবৃতি
  • ৩০ নাগরিকের বিবৃতি: সরকারের নিষ্ক্রিয়তায় মানবাধিকারের অঙ্গীকার লঙ্ঘিত হচ্ছে
  • ‘মব ভায়োলেন্স’ বন্ধ করা যাচ্ছে না, তবে কমিয়ে আনা হচ্ছে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
  • ‘মব’ করে হেনস্তা ও অপরাধীর বিমানবিকীকরণ ন্যায়বিচারের দৃষ্টান্ত নয়: জোনায়েদ সাকি
  • মানি এক্সচেঞ্জ প্রতিষ্ঠানগুলোর নিরাপত্তা নিশ্চিতের দাবি