শেয়ারহোল্ডারদের লভ্যাংশ দেবে না ফারইস্ট ফাইন্যান্স
Published: 12th, May 2025 GMT
পুঁজিবাজারে আর্থিক খাতে তালিকাভুক্ত কোম্পানি ফারইস্ট ফাইন্যান্স অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট লিমিটেডের পরিচালনা পর্ষদ শেয়ারহোল্ডারদের লভ্যাংশ না দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে। ২০২৪ সালের ৩১ ডিসেম্বর সমাপ্ত হিসাব বছরের আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে ব্যাংকটির পরিচালনা পর্ষদ।
সোমবার (১২ মে) ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) ও চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ (সিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
এর আগে অনুষ্ঠিত কোম্পানিটির পরিচালনা পর্ষদের বৈঠকে সর্বশেষ হিসাব বছরের নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা ও অনুমোদনের পর লভ্যাংশ সংক্রান্ত এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
আরো পড়ুন:
প্যারামাউন্ট টেক্সটাইলের ৯ মাসে মুনাফা বেড়েছে ১২.
পুঁজিবাজার পরিস্থিতি উন্নয়নে প্রধান উপদেষ্টার ৫ নির্দেশনা
তথ্যমতে, লভ্যাংশ না দেওয়ার সিদ্ধান্ত শেয়ারহোল্ডারদের সম্মতিতে অনুমোদনের জন্য কোম্পানিটির বার্ষিক সাধারণ সভা (এজিএম) আগামী ২৬ জুন অনুষ্ঠিত হবে। আর এ সংক্রান্ত রেকর্ড ডেট নির্ধারণ করা হয়েছে ১ জুন।
সমাপ্ত হিসাব বছরের আর্থিক প্রতিবেদন অনুযায়ী, কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি লোকসান (ইপিএস) হয়েছে ৫.১৩ টাকা। আগের হিসাব বছরের একই সময়ে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি লোকসান ছিল ৬.৮৫ টাকা।
২০২৪ সালের ৩১ ডিসেম্বর কোম্পানিটির ঋণাত্মক শেয়ারপ্রতি সম্পদ (এনএভিপিএস) দাঁড়িয়েছে ৫০.৪৮ টাকায়।
করপোরেট এই ঘোষণার পরিপ্রেক্ষিতে এদিন কোম্পানিটির শেয়ার লেনদেনে কোনো মূল্যসীমা থাকবে না।
ঢাকা/এনটি/ফিরোজ
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর আর থ ক বছর র
এছাড়াও পড়ুন:
একাত্তরের রাজনৈতিক অবস্থান ব্যাখ্যা করে ঐক্যের আহ্বান এনসিপির
২০২৪ সালে অভ্যুত্থানের পর ছাত্রদের হাত ধরে গড়ে ওঠা জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) বলেছে, যারা ১৯৭১ সালে এই জনপদের মানুষের জনযুদ্ধের বিরুদ্ধে অবস্থান গ্রহণ করেছিল এবং যাদের বিরুদ্ধে গণহত্যায় সহযোগিতার অভিযোগ রয়েছে, আমরা চাই, তারা নিজেদের সুস্পষ্ট রাজনৈতিক অবস্থান জাতির সামনে ব্যাখ্যা করে জাতীয় সমঝোতা ও ঐক্যকে সুদৃঢ় করবে এবং চব্বিশের অভ্যুত্থানের জন-আকাঙ্ক্ষাকে বাস্তবায়নে সহযোগী হবে।
আজ সোমবার এনসিপির যুগ্ম সদস্যসচিব সালেহ উদ্দীন সিফাত স্বাক্ষরিত ‘সাম্প্রতিক রাজনৈতিক বিতর্কে এনসিপির অবস্থান’ শীর্ষক বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা উল্লেখ করা হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করেন, কোনো রাজনৈতিক দল বা পক্ষের পূর্বেকার রাজনৈতিক অবস্থান বা আদর্শের কারণে ইতিপূর্বের বিভাজন ও অনৈক্যের রাজনীতির সূত্রপাত ঘটলে, তাদের দায় রয়েছে বাংলাদেশের মানুষের সামনে নিজেদের সুস্পষ্ট অবস্থান ব্যাখ্যা করে জাতীয় ঐক্যের পথে হাঁটার। বাংলাদেশের জনগণের মধ্যকার বৃহত্তর ঐক্যের মাধ্যমেই কেবল মুজিববাদকে সামগ্রিকভাবে পরাস্ত করা সম্ভব হবে বলে আমরা মনে করি।
গত শনিবার আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের পর উপদেষ্টা মাহফুজ আলম তার ফেসবুক অ্যাকাউন্টে একাত্তর ও মুজিববাদী বাম ইস্যুতে একটি স্ট্যাটাস দেন। এতে তিনি লেখেন, ‘একাত্তরের প্রশ্ন মীমাংসা করতেই হবে। যুদ্ধাপরাধের সহযোগীদের ক্ষমা চাইতে হবে। পাকিস্তান এদেশে গণহত্যা চালিয়েছে। সহযোগীদের ইনিয়ে বিনিয়ে গণহত্যার পক্ষে বয়ান উৎপাদন বন্ধ করতে হবে। জুলাইয়ের শক্তির মধ্যে ঢুকে স্যাবোটাজ করা বন্ধ করতে হবে। সাফ দিলে আসতে হবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘মুজিববাদী বামদের ক্ষমা নেই। লীগের গুম-খুন আর শাপলায় মোদিবিরোধী আন্দোলনে হত্যাযজ্ঞের মস্তিষ্ক এরা। জুলাইয়ের সময়ে এরা নিকৃষ্ট দালালি করেও এখন বহাল তবিয়তে আছে।’
ফেসবুক পোস্টে একাত্তর ইস্যু টানায় ফেসবুকে মাহফুজ আলমের সমালোচনায় ফেটে পড়ে একটি দল। ফেসবুকে তার বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি কোচিংয়ের সময়ের কিছু ছবি ভাইরাল হয়। এগুলোকে তার শিবির সংশ্লিষ্ট হিসেবে দেখানোর চেষ্টা করা হয়। এ নিয়ে ক্ষুব্ধ হন মাহফুজ আলম। গতকাল রোববার সন্ধ্যায় পাল্টা স্ট্যাটাস দিয়ে মুহূর্তেই আগের স্ট্যাটাসটি সরিয়ে নেন। ততক্ষণে স্ক্রিনশট ভাইরাল হয়ে যায়। সে স্ট্যাটাসে তিনি লেখেন, ‘আমাকে নিয়ে নোংরামি করতেসো, ঝামেলা নাই। ফ্যামিলি টাইনো না, যুদ্ধাপরাধের সহযোগী রাজাকারেরা। এটা লাস্ট ওয়ার্নিং।
এর মধ্যে এনসিপি এই বিজ্ঞপ্তি দিয়েছে। এ ছাড়া আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের আন্দোলন চলাকালে জাতীয় সংগীত পরিবেশনে বাধা, গোলাম আজমের নামে স্লোগান দেওয়ার কয়েকটি ভিডিও সামাজিকযোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। এটি নিয়েও ফেসবুকে বিতর্ক চলছে।
এ বিষয়গুলোকে তুলে ধরে এনসিপি বিজ্ঞপ্তিতে বলেছে, বিগত ফ্যাসিবাদি জমানায় নির্যাতিত-নিপীড়িত হয়ে বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক উত্তরণের পথে বাংলাদেশের নাগরিকদের পক্ষে চব্বিশের অভ্যুত্থানে যারা ভূমিকা পালন করেছেন, নতুন বাংলাদেশ বিনির্মাণে তাদেরকে আবশ্যিকভাবে ‘বাংলাদেশপন্থি’ ভূমিকা পালন করে যেতে হবে।
এতে আরও বলা হয়, আন্দোলনে অংশগ্রহণকারী কোনো এনসিপি সদস্য কখনোই দলীয় স্লোগান কিংবা এই জনপদের ইতিহাসবিরোধী স্লোগান দেয়নি। যেসব স্লোগান নিয়ে জনমনে প্রশ্ন উঠেছে, তার দায় সংশ্লিষ্ট পক্ষেরই বহন করা উচিত।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, এনসিপি সদস্যদের বক্তৃতা ও স্লোগানে ১৯৪৭, ১৯৭১ এবং ২০২৪ সালের ঐতিহাসিক অধ্যায়গুলোর প্রতিফলন ছিল। আন্দোলনকারীরা জাতীয় সংগীত পরিবেশন করলে একটি পক্ষ আপত্তি জানালেও তারা দৃঢ়তার সঙ্গে জাতীয় সংগীত পরিবেশন করে বলেও দাবি করা হয়।
এনসিপি মনে করে, বাংলাদেশে রাজনীতি করার পূর্বশর্ত হলো ১৯৪৭, ১৯৭১ এবং ২০২৪ সালের সংগ্রামের যথাযথ স্বীকৃতি ও মর্যাদা দেওয়া। যারা ১৯৭১ সালের গণযুদ্ধে বিরুদ্ধাচরণ করেছে এবং গণহত্যায় সহযোগিতার অভিযোগ রয়েছে, তাদের সুস্পষ্ট রাজনৈতিক অবস্থান ব্যাখ্যা করে জাতীয় ঐক্য ও সমঝোতা গড়ার আহ্বান জানানো হয়।