বিনিয়োগ ও কর্মসংস্থানের মতো গুরুত্বপূর্ণ ইস্যুগুলোকে দলীয় রাজনীতির বাইরে রেখে জাতীয় স্বার্থের আলোকে এগিয়ে নিতে চায় বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (বিডা)। মঙ্গলবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বিডা সদরদপ্তরে আয়োজিত এক মতবিনিময় সভায় এই বার্তা দেন সংস্থাটির নির্বাহী চেয়ারম্যান চৌধুরী আশিক মাহমুদ বিন হারুন।

অন্যদিকে রাজনৈতিক দলগুলো বিডা উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়ে বলেছে, দেশের স্বার্থ, আঞ্চলিক নিরাপত্তা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষাকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার এবং শ্রমিক স্বার্থকে প্রাধান্য দিয়ে বিনিয়োগের বিষয়টি ভাবতে হবে। এছাড়া দক্ষ জনশক্তি তৈরিতে প্রশিক্ষণ ব্যবস্থা গড়ে তোলা, অবকাঠামো উন্নয়ন, আইনি জটিলতা দূর করার পাশাপাশি পরিবেশবান্ধব বিনিয়োগের বিষয়েও গুরুত্ব দিতে বলেন রাজনৈতিক দলগুলোর নেতারা।

তারা আরও বলেছে, বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকার যদি ২০২৬ সালের জুন পর্যন্তই ক্ষমতায় থাকতে চায়, তবে শেখ হাসিনার সরকার যেসব বড় বড় ভুল বিনিয়োগ করেছিল, সেগুলো সংশোধনে জোর দেওয়া উচিত হবে। 

বিডার সঙ্গে আলোচনায় অংশ নেওয়া রাজনৈতিক দল হলো- বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী, ন্যাশনাল সিটিজেন পার্টি (এনসিপি), লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টি (এনডিএম), বাংলাদেশ জাতীয় পার্টি (এনজেপি), গণসংহতি আন্দোলন, গণঅধিকার পরিষদ, আমার বাংলাদেশ পার্টি, নাগরিক ঐক্য, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জাসদ), বাংলাদেশ কমিউনিস্ট পার্টি, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ, বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্ট, খেলাফত মজলিস, বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলন, বাংলাদেশ সমাজতান্ত্রিক দল (বাসদ) ও ইসলামিক ফ্রন্ট বাংলাদেশ।


বিস্তারিত আসছে.

..

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: র জন ত ইসল ম

এছাড়াও পড়ুন:

সাবেক এমপি স্ত্রীর ওপর ভর করে স্বামীর দুর্নীতি

অবৈধ সম্পদ অর্জন ও ব্যাংকে সন্দেহজনক লেনদেনের অভিযোগে বরিশালের সাবেক এমপি সৈয়দা রুবিনা আক্তার মীরা ও তাঁর স্বামী মোশারফ হোসাইন সরদারের বিরুদ্ধে দুটি মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। দুদকের প্রধান কার্যালয়ের উপপরিচালক রেজাউল করিম মামলা করেন রুবিনার বিরুদ্ধে এবং সহকারী পরিচালক আনোয়ার হোসেন মামলা করেন মোশারফের বিরুদ্ধে। দুদক ঢাকা-১ কার্যালয়ে মামলা দুটি করা হয়।

গতকাল এক ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের এসব তথ্য জানান দুদক মহাপরিচালক ও মুখপাত্র আক্তার হোসেন। তিনি বলেন, দুর্নীতির সুনির্দিষ্ট তথ্য-প্রমাণের ভিত্তিতে মামলা দুটি করা হয়েছে।

দুদক সূত্র জানায়, সাধারণত দেখা যায়, স্বামীর সহায়তায় স্ত্রী দুর্নীতি করেছেন বা স্বামীর দুর্নীতির টাকায় স্ত্রী সম্পদের মালিক হয়েছেন। কিন্তু এ ঘটনায় দেখা গেছে, স্ত্রী রুবিনার সহায়তায় স্বামী মোশারফ দুর্নীতি করেছেন এবং বিপুল পরিমাণ অবৈধ সম্পদের মালিক হয়েছেন।
এজাহারে বলা হয়, রুবিনার নামে ১ কোটি ৫৭ লাখ টাকার জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ পাওয়া গেছে। তাঁর নিজ নামের ১০টি ব্যাংক হিসাবে ১৩৯ কোটি ৩৫ লাখ টাকা জমা ও ১৩৯ কোটি ১৬ লাখ টাকা উত্তোলনসহ মোট ২৭৮ কোটি ৫২ লাখ টাকা সন্দেহজনক লেনদেন হয়েছে। তিনি সংরক্ষিত নারী আসনের এমপি ছিলেন। 

মোশারফের বিরুদ্ধে জ্ঞাত আয়ের উৎসের সঙ্গে অসংগতিপূর্ণ ১ কোটি ২৬ লাখ টাকার সম্পদ অর্জন ও দখলে রাখার অভিযোগ করা হয়েছে। তাঁর নামের তিনটি ব্যাংক হিসাবে ১৮ কোটি ৪৪ লাখ টাকা জমা এবং ১৮ কোটি ২৯ লাখ টাকা উত্তোলনসহ মোট ৩৬ কোটি ৭৪ লাখ টাকার অস্বাভাবিক লেনদেন হয়েছে। দুদকের অনুসন্ধানে কোনো চাকরি বা ব্যবসার তথ্য পাওয়া যায়নি। এমপি স্ত্রীর সহায়তায় মোশারফ দুর্নীতির মাধ্যমে ওই সম্পদের মালিক হন। স্বামীকে দুর্নীতিতে সহায়তা করার অভিযোগে এই মামলায় স্ত্রী রুবিনাকেও আসামি করা হয়েছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ