শাহরুখ খানের আলোচিত সিনেমা ‘ডন’-এর সর্বশেষ সিকুয়েলে (ডন ৩) প্রধান চরিত্রে এবার দেখা যাবে রণবীর সিংকে। ‘ডন’ চরিত্রে শাহরুখ খানের পর রণবীরকে নিয়ে দর্শকমহলে আগ্রহ এখন বেশ তুঙ্গে। এর আগে নানা কারণে সিনেমার শুটিংয়ের সময় পিছিয়ে যাচ্ছিল।

এবার নির্মাতা জানালেন, বহুল আলোচিত অ্যাকশন থ্রিলার ‘ডন ৩’ সিনেমার শুটিং শুরু হচ্ছে আগামী সেপ্টেম্বর মাসে। এরই মধ্যে নাকি ‘ডন ৩’-এর সব প্রস্তুতি শেষ করেছেন নির্মাতা।

বলিউড বাবলের খবরে বলা হয়েছে, ফারহান আখতার বর্তমানে তার পরিচালিত সিনেমা ‘১২০ বাহাদুর’ প্রায় শেষ করে এনেছেন। অন্যদিকে রণবীর সিংয়েরও চলমান প্রজেক্ট ‘ধুরন্ধর’-এর শুটিং প্রায় শেষের পথে। ফলে দুই তারকাই এখন প্রস্তুত নতুন মিশনের জন্য।

একটি ঘনিষ্ঠ সূত্রে বরাত দিয়ে বলিউড বাবলের খবরে বলা হয়েছে, ‘প্রথম শিডিউল সেপ্টেম্বরের জন্য নির্ধারিত হয়েছে। রণবীর সিং ও বিক্রান্ত ম্যাসি-দুজনেই এতে অংশ নেবেন। বিক্রান্ত এখানে ভিলেন চরিত্রে থাকছেন এবং তাকে একেবারে নতুন এক রূপে দেখা যাবে, যা তার ভক্তদের চমকে দেবে।”

তবে এখনো নিশ্চিত নয়, নারী মুখ্য চরিত্র এই শিডিউলে যুক্ত হবেন কিনা। নায়িকা চরিত্রে শারভারি ওয়াঘ বা কৃতি স্যাননের নাম শোনা যাচ্ছে। তবে চূড়ান্ত ঘোষণা এখনও আসেনি।

সিনেমাটির ঘোণার পরপরই দর্শকরা ধরেই নিয়েছেন থ্রিলার এবং ভারপুর অ্যাকশনে জমজমাট হয়ে উঠবে ‘ডন ৩’।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: রণব র স চর ত র রণব র

এছাড়াও পড়ুন:

লেখকের স্বাধীনতা হরণের ইতিহাস লিখছি

lশৈশবের প্রিয় মুহূর্ত
ll স্কুলে ছুটির ঘণ্টা বাজার মুহূর্তটাই আমার বেশি ভালো লাগত। বৃষ্টির দিনগুলিতে ছাতা নিয়ে বের হয়ে যেতাম চুপি চুপি, বসে থাকতাম পুকুরপাড়ে; কখনও কখনও উদ্দেশ্যহীন হাঁটতাম, রেললাইন পার হয়ে চলে যেতাম পরশুরাম কলেজগামী সেই রাস্তায়, দেখতাম, প্রবল বৃষ্টির ঢলে সেটি ভেঙে কলকল করে পানি বইছে। বর্ষায়, ছাতার নিচে একা-একা ঘুরে বেড়ানো বা বসে থাকার মুহূর্তগুলি আমার ভালো লাগত। নতুন ক্লাসে উঠলে নতুন বই হাতে নেওয়ার মুহূর্তটাও ভালো লাগত। মনে পড়ে, আমার ছোট ভাই তৃতীয় শ্রেণির নতুন বই পাওয়ার পর মলাটের ভেতরের পাতায় নিজের নাম লিখে ওপরে লিখেছিল ‘এই বইয়ের মালিক’। 
প্রথম প্রকাশিত লেখা
সপ্তম শ্রেণিতে পড়ার সময়, ১৯৮০ সালে স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে পরশুরামের কোলাপাড়া সমাজকল্যাণ যুব সংঘ থেকে প্রকাশিত ‘রক্তিম সূর্য’ নামের ম্যাগাজিনে আমার প্রথম ‘কবিতা’ ছাপা হয়েছিল, পরিবারপ্রদত্ত আশরাফুল হক নামেই। এখনকার নামে প্রথম কবিতা প্রকাশিত হয় ১৯৮৮ সালে, ‘অরুণিমা’ নামের একটি দেয়ালিকায়। কবিতাটি হলো ‘ইনসমনিয়া’। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থীরা এটি প্রকাশ করেছিলেন। 
প্রথম প্রকাশিত বই নিয়ে স্মৃতি
জেনিস মাহমুন এবং আমার প্রথম বই প্রকাশিত হয় একই প্রকাশনী থেকে, ৯ ফেব্রুয়ারি, ১৯৯৩ সালে। জেনিস আর আমি তখন দিনের বেশির ভাগ সময় একসঙ্গে কাটাতাম। বইমেলা থেকে বের হয়ে এদিক-ওদিক ঘোরাঘুরি করে ফিরতে সেদিন আমাদের অনেক রাত হয়ে যায়। শাহবাগে একটা মিশুক [এমন ত্রিচক্রযান, পেছন থেকে চলন্ত অবস্থায় দেখলে মনে হতো লুঙ্গির কোঁচা-মারা কোনো লোক দৌড়াচ্ছে] পাওয়া গেল, তাতে চড়ে আমরা যখন ইব্রাহিমপুরে পৌঁছাই. তখন রাত প্রায় দেড়টা। মূল গেট বন্ধ। শীতরাত্রির নীরবতার মধ্যে জেনিস আমাকে ঠেলে তুলে দেয়াল টপকাতে সাহায্য করেছিলেন, মনে পড়ে। কিন্তু দেয়াল থেকে লাফ দিলে গ্রাউন্ডেড হওয়ার ঝপাৎ শব্দে খালুর, মানে কবিপিতার জাগরণ ঘটে। উচ্চ স্বরে তিনি ‘কে কে’ বলে বের হয়ে আসেন। ততক্ষণে জেনিসও দেয়াল থেকে আঙিনায় অবতরণ করেছেন। কবিপিতা, আমাদের উদ্দেশ করে বললেন, ‘তোমরা আন্ডারগ্রাউন্ড পার্টি করো নাকি!’ … খুব ক্ষুধার্ত ছিলাম। শীতের গভীর রাতে খালাম্মা, মানে কবির জননী আমাদের খাওয়ালেন।
এখন যা লিখছি, পড়ছি
লেখকের স্বাধীনতা হরণের ইতিহাস লিখছি এখন। এর সঙ্গে সম্পর্কিত যা কিছু, সবই পড়ছি। ফাঁক পেলেই মোহাম্মদ বশির আহাম্মদের ‘পূর্ব বাংলার রাজনীতি ও মুসলিম সমাজ’ বইটির পৃষ্ঠাগুলোর ছবি তুলছি আর পড়ছি। 
প্রিয় উদ্ধৃতি
আনন্দকে ভাগ করলে দুটি জিনিস পাওয়া যায়। একটা হলো জ্ঞান, অন্যটি প্রেম।
–রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর v
lগ্রন্থনা- ফরিদুল ইসলাম নির্জন
 

সম্পর্কিত নিবন্ধ