বনানীতে গাড়ির ধাক্কায় নারী নিহত, পরিচয় জানা যায়নি
Published: 16th, May 2025 GMT
ঢাকার বনানী এলাকায় গতকাল বৃহস্পতিবার গভীর রাতে গাড়ির ধাক্কায় এক নারী নিহত হয়েছেন। তাঁর পরিচয় জানা যায়নি।
আজ শুক্রবার সকালে বনানী থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মো. সোহেল রানা বিষয়টি জানিয়েছেন।
এসআই সোহেল রানা প্রথম আলোকে বলেন, গতকাল দিবাগত রাত আড়াইটার দিকে বনানী ২৩ নম্বর সড়কের বিপরীত পাশে প্রধান সড়কে অজ্ঞাতনামা কোনো গাড়ির ধাক্কায় ওই নারী রাস্তায় ছিটকে পড়েন। তিনি মাথায় গুরুতর আঘাত পান। খবর পেয়ে সেখান থেকে তাঁকে রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করে প্রথমে স্থানীয় কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে নেওয়া হয়। অবস্থার অবনতি হওয়ায় পর সেখান থেকে আজ ভোর সাড়ে চারটার দিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।
পুলিশ কর্মকর্তা সোহেল রানা বলেন, তাৎক্ষণিক গাড়িটি শনাক্ত করা যায়নি। নিহত নারীর পরিচয় জানা যায়নি। তাঁর বয়স ৩৫ বছর হতে পারে। তাঁর পরনে ছিল সালোয়ার ও কামিজ। ওই নারীর আঙুলের ছাপ নিয়ে পরিচয় শনাক্তের চেষ্টা চলছে। লাশ ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজের মর্গে রাখা হয়েছে।
.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
রিকশাচালক তুহিন হত্যা মামলায় আইভীর রিমান্ড শুনানি পিছিয়ে ৭ জুলাই ধার্য
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনে গুলিতে রিকশাচালক তুহিন নিহতের ঘটনায় করা মামলায় নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র সেলিনা হায়াৎ আইভীর রিমান্ড শুনানি স্থগিত করে আগামী ৭ জুলাই পরবর্তী তারিখ ধার্য করেছেন আদালত।
আজ সোমবার দুপুরে নারায়ণগঞ্জের চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক মঈন উদ্দিন কাদির শুনানি শেষে এ আদেশ দেন।
বিষয়টি নিশ্চিত করে আদালত পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) জয়নাল আবেদীন প্রথম আলোকে জানান, আইভীকে এ মামলায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সাত দিনের রিমান্ডের আবেদন করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও সিদ্ধিরগঞ্জ থানার এসআই ছানোয়ার হোসেন। এ সময় আইনজীবীদের মধ্যে হট্টগোলের সৃষ্টি হলে আদালতের হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি শান্ত হয়। ভার্চ্যুয়ালি কাশিমপুর মহিলা কারাগার থেকে রিমান্ড শুনানিতে অংশ নেন আইভী।
আদালতে আইভীর পক্ষে শুনানিতে অংশ নেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী মাহবুবুর রহমানসহ ১০–১২ জন আইনজীবী। অন্যদিকে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন জেলা ও দায়রা জজ আদালতের ভারপ্রাপ্ত সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) ওমর ফারুক।
আইভীর পক্ষের আইনজীবী আওলাদ হোসেন বলেন, মামলার এজাহারে কোথাও আইভী নিজে উপস্থিত ছিলেন বা তাঁর সম্পৃক্ততা আছে, এমন কিছু বলা হয়নি। এ ছাড়া উচ্চ আদালতে আইভীর জামিন আবেদন করা হয়েছে, উল্লেখ করে রিমান্ড শুনানি স্থগিতের আবেদন জানালে আদালত তা মঞ্জুর করেছেন।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, গত বছরের ২০ জুলাই বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনে সিদ্ধিরগঞ্জে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের ডাচ্–বাংলা ব্যাংকের সামনে তুহিন মাথায় গুলিবিদ্ধ হন। তাঁকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকেরা মৃত ঘোষণা করেন। এ ঘটনায় গত বছরের ১৩ সেপ্টেম্বর তুহিনের স্ত্রী আলেয়া আক্তার বাদী হয়ে একটি হত্যা মামলা করেন। এতে সাবেক সংসদ সদস্য শামীম ওসমান, নজরুল ইসলাম বাবু, কায়সার হাসনাত, গোলাম দস্তগীর গাজী এবং সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র আইভীসহ ৯৯ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতপরিচয় আরও ৩০০ জনকে আসামি করে মামলা করা হয়। ওই মামলার এজাহারে আইভীর ১১ নম্বর আসামি।
৯ মে সকাল পৌনে ছয়টায় নারায়ণগঞ্জ শহরের দেওভোগের বাড়ি থেকে সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র ও জেলা আওয়ামী লীগ নেতা আইভীকে গ্রেপ্তার করে ডিবি কার্যালয়ে নিয়ে যায় পুলিশ। গত বছরের ২০ জুলাই পোশাককর্মী মিনারুল হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে হাজির করা হলে আইভীকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন আদালত। তাঁর বিরুদ্ধে হত্যা ও বিস্ফোরকসহ মোট ছয়টি মামলা আছে।