Samakal:
2025-07-01@21:06:37 GMT

আঙুর চাষে ফারুকের স্বপ্ন

Published: 16th, May 2025 GMT

আঙুর চাষে ফারুকের স্বপ্ন

শ্রীমঙ্গলে ভিনদেশি ফল আঙুর চাষে প্রথমবারেই সফল হয়েছেন কৃষি উদ্যোক্তা সৈয়দুর রহমান ফারুক তরফদার। তিনি শ্রীমঙ্গল উপজেলার সিন্দুরখান ইউনিয়নের দীঘিরপাড় গ্রামের বাসিন্দা। 
ফারুকের সেই ছাদবাগানে গিয়ে দেখা যায়, দীঘিরপাড় জামে মসজিদের ছাদের টবে থোকায় থোকায় ঝুলছে আঙুর। আঙুরের বাম্পার ফলনে লাভের স্বপ্ন বুনছেন এই উদ্যোক্তা। তিনি জানান, এবার প্রথম বাণিজ্যিকভাবে আঙুর চাষ করে সফল হয়েছেন। এর আগে ২০২৪ সালে যশোর থেকে ১২ হাজার টাকা দিয়ে চয়ন জাতের ৪০টি আঙুরের চারা কিনে এনে দীঘিরপাড় মসজিদের ছাদের টবে পরীক্ষামূলকভাবে রোপণ করেছিলেন। চাষে সফল হওয়ায় এবার বাণিজ্যিক চাষ করেন।
চলতি বছর মসজিদের ছাদের টবে সাড়ে ৩ শতাংশ ও তার বাড়ির আঙিনায় আরও ৩ শতাংশ জমিতে বাণিজ্যিকভাবে আঙুর চাষ করে নিয়মিত গাছের পরিচর্যা করছেন তিনি। 
তাঁর সংগ্রহে চয়ন জাতসহ বিভিন্ন জাতের প্রায় অর্ধশত আঙুর গাছ রয়েছে। এই কৃষি উদ্যোক্তা বলেন, আঙুর গাছ বড় হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে তিনি বাঁশের খুঁটি, তার ও বাঁশ দিয়ে মাচা তৈরি করে দেন। মার্চ মাসে আঙুর গাছে ফুল এসেছে গাছে। এপ্রিল মাসে ফল ধরা শুরু করে। বর্তমানে গাছগুলোতে বিপুল পরিমাণ আঙুর ফলে ভরে গেছে আঙুরের মাচাগুলো। 
এ বছর এখন পর্যন্ত ৩০ হাজার টাকার চারা ও আঙুর বিক্রি করেছেন ফারুক তরফদার। আরও দুই লক্ষাধিক টাকার ফল ও চারা বিক্রির আশা করছেন তিনি। সব খরচ বাদ দিয়েও লাভের অঙ্ক বেশ বড় হবে বলেই ধারণা করছেন। এবার চারা ও ফল বিক্রির আয় থেকে মসজিদের উন্নয়নে দান করবেন বলেও জানান।
মসজিদের ছাদবাগান ও বাড়ির আঙিনায় আঙুর ছাড়াও মালটা, কমলা, কাঁচামরিচ, নাগা মরচি, বেগুনসহ অনেক ধরনের সবজিও চাষ করছেন তিনি। ফারুকের আঙুর চাষ দেখে অভিভূত এলাকাবাসী। দেশের মাটিতে বিদেশি ফল উৎপাদন করায় ফারুককে সাধুবাদ জানাচ্ছেন তারা। 
কৃষি উদ্যোক্তা সৈয়দুর রহমান ফারুক তরফদার বলেন, আঙুর গাছ থেকে বিপুল পরিমাণের চারা গাছ তৈরি করে বাণিজ্যিকভাবে উৎপাদন ও সরবরাহের পরিকল্পনা করছেন তিনি। আঙুর চাষে বাড়তি কোনো খরচ  নেই। 

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: মসজ দ র ছ দ করছ ন ত ন চ ষ কর

এছাড়াও পড়ুন:

৯ কোটি টাকা সরকারি অনুদান পাচ্ছে ৩২ চলচ্চিত্র

৩২টি চলচ্চিত্র নির্মাণের জন্য ৯ কোটি টাকা অনুদান দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়। ২০২৪–২৫ অর্থবছরে চলচ্চিত্র নির্মাণের জন্য এই অনুদান দেওয়া হবে। এর মধ্যে পূর্ণদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র রয়েছে ১২টি এবং স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র ২০টি।

মঙ্গলবার তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, প্রতিটি পূর্ণদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র নির্মাণের জন্য অনুদান দেওয়া হবে ৭৫ লাখ টাকা। আর স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র নির্মাণের জন্য অনুদান দেওয়া হবে ২০ লাখ টাকা করে।

অনুদানের জন্য মনোনীত পূর্ণদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্রগুলো হলো—রবিনহুডের আশ্চর্য অভিযান, মায়ের ডাক, জুলাই, রূহের কাফেলা, পরোটার স্বাদ, খোঁয়ারি, জীবন অপেরা, জলযুদ্ধ, কবির মুখ দ্য টাইম কিপার, কফিনের ডানা, নওয়াব ফুজুন্নেসা ও জুঁই।

অনুদানের জন্য মনোনীত স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্রগুলো হলো—মন্দ-ভালো, ফেলানী, ঝুঁকির মাত্রা, জীবনের গান, হু হ্যাজ মেইড আস ফ্লাই, ভরা বাদর, ১২৩০, বৃন্দারাণীর আঙুল, একটি সিনেমার জন্য, দাফন, সাঁতার, মাংস কম, গগন, অতিথি, বোবা, অদ্বৈত, আশার আলো, গর্জনপুরের বাঘা, হোয়ার দ্য ওয়াটার স্লিপস এবং অপসময়।

সম্পর্কিত নিবন্ধ