‘আবার দেখা হবে’, ‘গোলোকধাঁধা’ কিংবা ‘সোডিয়াম’—একের পর এক গানের কথা-সুরে মাদকতা ছড়িয়েছে ‘কাকতাল’। বছর চারেকের পথচলায় বাংলা সংগীতে নিজস্ব ছাপ ফেলেছে ব্যান্ডটি। তরুণ শ্রোতাদের বিভোর করেছে কাকতাল।

গতকাল শনিবার সন্ধ্যায় শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে কনসার্ট শেষে রাতে এক ফেসবুক পোস্টে কাকতাল লিখেছে, ‘অনির্দিষ্টকালের জন্য ব্যান্ডটি আর গাইবে না।’

আরও পড়ুনপ্রচলিত নিয়মে যাওয়ার কোনো মানেই নেই: অন্তু০৪ অক্টোবর ২০২৪

কাকতালের এমন আচমকা ঘোষণায় বিষ্মিত হয়েছেন ভক্তরা। ফেসবুকে রীতিমতো আলোচনার ঝড় ওঠে। অনেকে প্রশ্ন করছেন, ‘কাকতালের কী হলো?’ বিষয়টি নিয়ে আলোচনার মধ্যে আজ রোববার দুপুরে ব্যান্ডের প্রতিষ্ঠাতা ও ভোকালিস্ট আসিফ ইকবালের সঙ্গে কথা বলেছে প্রথম আলো। শ্রোতাদের কাছে অন্তু নামে পরিচিত এই সংগীতশিল্পী জানান, গতকালই সিদ্ধান্তটি নিয়েছেন তাঁরা।

কেন এই সিদ্ধান্ত, এমন প্রশ্নের উত্তরে আসিফ ইকবাল আজ প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমরা মনের শান্তির জন্য গান করি। তবে এখন মনে হচ্ছে, পুরোপুরি শান্তিটা পাচ্ছি না। নিজেদের থেকে নিজেদের, আবার মানুষের কাছ থেকেও আমাদের প্রত্যাশা তৈরি হয়েছে। বিষয়টি আমাদের জন্য প্রেশার (চাপ) তৈরি করেছে। আমরা মিউজিক (সংগীত) থেকে একটু দূরে চলে যাচ্ছি। মজা না পেলে মিউজিক করার কোনো মানে নেই।’

কাকতাল ব্যান্ডের সদস্যরা.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ক কত ল

এছাড়াও পড়ুন:

জাদুঘরে নির্মোহভাবে ভালো-মন্দ সবকিছু তুলে ধরা উচিত: উপদেষ্টা ফারুকী 

সংস্কৃতি উপদেষ্টা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী বলেছেন, আমাদের জাদুঘরটা নির্মোহ। এখানে কোনো দলমতের পক্ষ নেই। নির্মোহভাবে আমাদের ভালোমন্দ সবকিছু তুলে ধরা উচিত এবং এটা করাটা আমাদের জন্য খুব জরুরি। 

গতকাল রোববার আন্তর্জাতিক জাদুঘর দিবস উপলক্ষে আয়োজিত এক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি। কবি সুফিয়া কামাল মিলনায়তনে এ সেমিনারের আয়োজন করে বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘর। 

এর আগে সকালে জাতীয় জাদুঘরের সামনে থেকে শোভাযাত্রা বের করা হয়। দিবসটি ঘিরে এই আয়োজনে ছিল সাংস্কৃতিক পরিবেশনা এবং নলিনীকান্ত ভট্টশালী গ্যালারিতে ‘ফেয়ার ওয়াটার’ শীর্ষক বিশেষ প্রদর্শনী। 

ফারুকী বলেন, আমি বিশ্বাস করি সবাই যদি কমিটেড হন, তাহলে আমরা যাওয়ার আগে পরিবর্তনের সূচনা করতে পারব। প্রতিটি জাদুঘরের নিজস্ব চরিত্র থাকে। আমাদের জাতীয় জাদুঘরে ‘আমরা কারা’, এ বিষয়টি আমি মনে করি না সঠিকভাবে তুলে ধরা হয়েছে এখন পর্যন্ত। 

তিনি বলেন, জাদুঘরের সঠিকভাবে কিউরেশন করা প্রয়োজন। এখানে শুধু পেশাদার কিউরেশন করলেই হবে না, এখানে সামগ্রিক বিষয় তুলে ধরতে হবে। আমি আশা করব, স্থপতি মেরিনা তাবাসসুমদের নেতৃত্বে বোর্ড যখন একটি সম্পূর্ণ দল পাবে, তখন তারা সঠিক লোকদের নিয়োগ দেবেন, যেন এই কাজগুলো ঠিকঠাক মতো হয়। 

অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বেঙ্গল ফাউন্ডেশনের মহাপরিচালক ও বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘর পর্ষদ সদস্য লুভা নাহিদ চৌধুরী। তিনি বলেন, আজকের এই দ্রুত পরিবর্তনশীল বিশ্বে প্রাসঙ্গিক থাকার জন্য জাদুঘরগুলোকে অবশ্যই বিকশিত হতে হবে। সামাজিক পরিবর্তনের সঙ্গে প্রযুক্তির বিকাশ এবং মানুষের প্রত্যাশা পরিবর্তিত হওয়ার সঙ্গে জাদুঘরকেও আধুনিক সমাজের চাহিদা পূরণের জন্য খাপ খাইয়ে নিতে হবে। এ জন্য জাদুঘরকে সব সম্প্রদায়ের সঙ্গে অন্তর্ভুক্তিমূলক হওয়া অত্যাবশ্যক। জাদুঘরের ভবিষ্যৎ শুধু অতীত সংরক্ষণের মধ্যেই নয়, বরং একটি উন্নত-জ্ঞাত এবং ঐক্যবদ্ধ সমাজ গঠনের মধ্যেও নিহিত। 

জাতীয় জাদুঘরের মহাপরিচালক (অতিরিক্ত সচিব) মো. ফরহাদ সিদ্দিকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন জাতীয় জাদুঘর পর্ষদ সভাপতি মেরিনা তাবাসসুম। আলোচক ছিলেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রত্নতত্ত্ব বিভাগের অধ্যাপক ও বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘর পর্ষদ সদস্য ড. সৈয়দ মোহম্মদ কামরুল আহছান। স্বাগত বক্তব্য দেন জাতীয় জাদুঘরের সচিব মো. সাদেকুল ইসলাম। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন জাতীয় জাদুঘরের জনশিক্ষা বিভাগের কিপার আসমা ফেরদৌসি।

সম্পর্কিত নিবন্ধ