দিল্লির হারের ম্যাচে মোস্তাফিজ খরুচে
Published: 19th, May 2025 GMT
আগের রাতে শারজাহ ক্রিকেট স্টেডিয়ামে জাতীয় দলের জার্সিতে ৪ ওভারে ১৭ রান দিয়ে ২ উইকেট পেয়েছিলেন মোস্তাফিজুর রহমান। সংযুক্ত আরব আমিরাতের বিপক্ষে ম্যাচ খেলেই মোস্তাফিজ ছুটে যান দিল্লিতে ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগে অংশ নিতে।
বিরতির পর বিদেশী ক্রিকেটার না আসায় দিল্লি ক্যাপিটালস মোস্তাফিজকে দলে নেয়। নিলাম এবং রিটেইন কোথাও না থাকায় আইপিএলের শুরুতে বাংলাদেশের কেউ ছিলেন না। মোস্তাফিজ নিজের পুরোনো দল দিল্লিতে সুযোগ পেলেও প্রথম ম্যাচে ছিলেন বিবর্ণ।
রোববার দিল্লির হারের ম্যাচে বেশ খরুচে বোলিং করেছেন মোস্তাফিজ। রান উৎসবের ম্যাচে ৩ ওভারে ৮ গড়ে ২৪ রান দিয়ে মোস্তাফিজ ছিলেন উইকেটশূণ্য। দিল্লি আগে ব্যাটিং করতে নেমে ৩ উইকেটে ১৯৯ রান করে। জবাবে সাই সুদর্শনের ৬১ বলে ১০৮ ও শুভমান গিলের ৫৩ বলে ৯৩ রানের ইনিংসে ১০ উইকেটে ম্যাচ জিতে নেয় গুজরাট টাইটান্স।
লক্ষ্য তাড়ায় গুজরাটের রান যখন ছুটছিল পাওয়ার প্লে’তে মোস্তাফিজ বোলিংয়ে আসেন। নিজের প্রথম ওভারে ৬ রান দিয়ে সাই ও গিলকে চাপে রেখেছিলেন বাঁহাতি পেসার। পাওয়ার প্লে’র শেষ ওভারেও তার বোলিং খারাপ ছিল না। ১ চার হজমের পরও ৭ রানের বেশি দেননি। নিজের তৃতীয় ওভার করতে এসে মোস্তাফিজ হজম করেন দুই বাউন্ডারি। তাতেই বিবর্ণ হয়ে যায় তার বোলিং ফিগার। ৩ ওভারে ৫ ডট বল ছিল তার বোলিংয়ে।
সেঞ্চুরি পাওয়া সাই ৬১ বলে ১০৮ রান করেন ১২ চার ও ৪ ছক্কায়। গিল সমানতালেই এগিয়েছেন। ৫৩ বলে ৯৩ রান করেছেন ৩ চার ও ৭ ছক্কায়। দুজন ১৯ ওভারেই ম্যাচ শেষ করে জয় ছিনিয়ে নেয়।
১২ ম্যাচে ৯ জয়ে পয়েন্ট তালিকার শীর্ষে গুজরাট। আগেই তাদের প্লে অফ নিশ্চিত হয়ে ছিল। তাদের সঙ্গে ফ্লে অফে গেছে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু ও পাঞ্জাব কিংস।
ঢাকা/ইয়াসিন
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
যারা সন্ত্রাসে মদদ দেয়, তাদেরও প্রতিরোধ করা হবে
রাজধানীর পুরান ঢাকায় নৃশংসভাবে ব্যবসায়ীকে হত্যা দেশের রাজনৈতিক সংস্কৃতির পশ্চাদ্গামী ধারারই অংশ। এ হত্যাকাণ্ড বিচ্ছিন্ন কোনো ঘটনা নয়। যারা এ ধরনের সন্ত্রাসে মদদ দেয়, তাদেরও প্রতিরোধ করা হবে।
আজ শনিবার বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মশালমিছিল ও সমাবেশ থেকে এ হুঁশিয়ারি দিয়েছেন সংগঠনটির সভাপতি রিফাত রশিদ। মশালমিছিলটি শাহবাগ থেকে রাজু ভাস্কর্য হয়ে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে মিলিত হয়।
এ সময় মিছিল থেকে ‘চাঁদাবাজদের ঠিকানা, এই বাংলায় হবে না’; ‘চাঁদাবাজদের কালো হাত, ভেঙে দাও গুঁড়িয়ে দাও’; ‘দালালি না রাজপথ, রাজপথ রাজপথ’; ‘যেই হাত মানুষ মারে, সেই হাত ভেঙে দাও’ এবং ‘আবু সাঈদ মুগ্ধ, শেষ হয়নি যুদ্ধ’সহ নানা স্লোগান দেওয়া হয়।
সমাবেশে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সভাপতি রিফাত রশিদ বলেন, ‘মিটফোর্ডের হত্যাকাণ্ড বিচ্ছিন্ন কোনো ঘটনা নয়। এটি দেশের রাজনৈতিক সংস্কৃতির পশ্চাদ্গামী ধারারই অংশ, যেখানে ছাত্ররাজনীতিকে চাঁদাবাজি ও খুনের পৃষ্ঠপোষক বানানো হয়েছে। আমরা বিএনপিকে স্পষ্ট করে বলে দিতে চাই, ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের নাম করে যারা সন্ত্রাসে মদদ দেয়, তাদেরও প্রতিরোধ করা হবে।’
রিফাত রশিদ বলেন, ‘অন্তর্বর্তী সরকারের আমলে পুলিশি ব্যবস্থা ও জননিরাপত্তা দেখে মনে হয়, এটি শেখ হাসিনার আমলের পুলিশ। (স্থানীয় সরকার) উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ ফেসবুকে পোস্ট দেন—দেশকে প্রস্তর যুগে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। তিনি সরকারে বসে থেকে কীভাবে এমন কথা বলেন। (ব্যবস্থা নিতে) আপনাদের বাধা কোথায়, আমাদের বলুন। জুলাইয়ের ছাত্র-জনতা এখনো ঘরে ফিরে যায়নি।’
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সাধারণ সম্পাদক হাসান ইনাম বলেন, ‘জুলাইর গণ-অভ্যুত্থান দেখিয়েছে, এ দেশের মানুষ দখলবাজদের বিরুদ্ধে কতটা সোচ্চার হতে পারে। আজ সেই ঐক্য আবার গড়ে তুলতে হবে দলের মুখোশধারী চাঁদাবাজদের বিরুদ্ধে, নিপীড়নের রাজনীতির বিরুদ্ধে। ছাত্রসমাজকে এই সংগ্রামে এক হতে হবে।’
গত বুধবার সন্ধ্যায় পুরান ঢাকার মিটফোর্ড (স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ) হাসপাতালের সামনের সড়কে প্রকাশ্যে নৃশংসভাবে লাল চাঁদ ওরফে সোহাগ (৩৯) নামের এক ভাঙারি পণ্যের ব্যবসায়ীকে হত্যা করে একদল ব্যক্তি। এ ঘটনায় যুবদল, ছাত্রদল ও স্বেচ্ছাসেবক দল থেকে চারজনকে সংগঠন থেকে আজীবনের জন্য বহিষ্কারের কথা জানানো হয়েছে।