পিএসএল যাত্রার আগে টি-টোয়েন্টি দল নিয়ে ‘প্রশ্ন রেখে গেলেন’ মিরাজ
Published: 20th, May 2025 GMT
বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) গত আসরের সেরা ক্রিকেটার তিনি। তবুও মেহেদী হাসান মিরাজের জায়গা হয়নি জাতীয় টি-টোয়েন্টি দলে।
অবশ্য জাতীয় দলে সুযোগ না পাওয়াকে এখন ভালো হিসেবেই দেখছেন এই অলরাউন্ডার। কারণ, এ জন্যই যে সুযোগ এলো পাকিস্তান সুপার লিগে (পিএসএল)।
প্রথমবারের মতো ফ্র্যাঞ্চাইজি টুর্নামেন্টে যাচ্ছেন মিরাজ। খেলবেন লাহোর কালান্দার্সের হয়ে। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় বিমানে ওঠার আগে মুখোমুখি হন সংবাদমাধ্যমের।
আরো পড়ুন:
শিবলির সেঞ্চুরিতে বড় পুঁজি গড়ার পথে ইমার্জিং দল
আইপিএলে নতুন ইতিহাসের পাতায় হার্শাল
ঘুরেফিরে আসে টি-টোয়েন্টি দলে না থাকা নিয়ে প্রশ্ন। মিরাজের স্পষ্ট উত্তর, “আমি যদি টি-টোয়েন্টি স্কোয়াডে থাকতাম, তাহলে পিএসএলে খেলা হতো না। আমার কাছে মনে হয়, যেটা হয় ভালোর জন্যই হয়। টি-টোয়েন্টি স্কোয়াডে থাকলে পিএসএল খেলতে যাওয়া সম্ভব হতো না। আমার জন্য একটা সুযোগ তৈরি হয়েছে।”
ব্যাট হাতে ৩৩৫ রানের পাশাপাশি বল হাতে ১৩ উইকেট নিয়ে মিরাজ বিপিএলের সেরা খেলোয়াড় হয়েছিলেন। বিপিএলের সেরা খেলোয়াড়ের জায়গা নেই দলে? এমন প্রশ্নে মিরাজ বল ঠেলে দিলেন নির্বাচকদের দিকে।
“আমি এটা পজিটিভলি নিয়েছি। যারা নির্বাচন করেছেন, তাদের অনেক চিন্তাভাবনা থাকে, অনেক পরিকল্পনা থাকে। আমি এটা পজিটিভলি নিয়েছি।”
“আমার চেয়ে তারা এটা ভালো বলতে পারবেন— তাদের পরিকল্পনা কী। আমার কাছে মনে হয়, তারা যেভাবে চিন্তা করেন, ভালোর জন্যই করেন। দিন শেষে খেলোয়াড়েরও খারাপ লাগে। বিপিএলে ম্যান অব দ্য টুর্নামেন্ট হয়েছিলাম, বেশ কিছু টি-টোয়েন্টিতে ভালোও করেছিলাম। ঠিক আছে, মেনে নিতে হয়— ক্রিকেটে অনেক সময় অনেক কিছুই হয়। আমি পজিটিভলি নিয়েছি বিষয়টা।”
পিএসএলে মিরাজের দলে আছেন সাকিব আল হাসানও। সবশেষ ভারতের মাটিতে একসঙ্গে খেলেছিলেন দুজন। এর মধ্যে পিএসএল নিয়ে মিরাজকে অভিনন্দনও জানিয়েছেন সাকিব।
“অবশ্যই ভালো লাগছে। সাকিব ভাইয়ের সঙ্গে ভারতে খেলেছিলাম। তারপর আর খেলা হয়নি, দেখাও হয়নি। এক দলে খেলব— এটা খুবই ভালো লাগছে।”
মিরাজের দল লাহোর এখন নকআউটে। তার চাওয়া পারফর্ম করে দলকে সেরাটা দেওয়া। “সত্যি কথা বলতে, পিএসএলের মতো এমন একটি টুর্নামেন্টে খেলতে যাচ্ছি, যেখানে কোয়ার্টার ফাইনাল খেলা— যদি পারফর্ম করতে পারি, ম্যাচ জেতাতে পারি, অবশ্যই ভালো লাগবে।”
ঢাকা/রিয়াদ/আমিনুল
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর প এসএল ব প এল
এছাড়াও পড়ুন:
নির্বাচনের দিন অমোচনীয় কালি সরবরাহ না হলে ভোট গ্রহণ বন্ধ থাকবে: ছাত্রদল
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (জকসু) নির্বাচনে অমোচনীয় কালি সরবরাহ না করলে ভোট গ্রহণ বন্ধ থাকবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদলের নেতারা। এ ছাড়া এমফিল কোর্সে অধ্যয়নরত শিক্ষার্থীদের ভোটার ও প্রার্থী হওয়ার যোগ্যতা না দিয়ে ইচ্ছাকৃতভাবে ছাত্রদলকে ভোট প্রক্রিয়া থেকে বাদ দেওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে বলেও অভিযোগ করেছেন তাঁরা।
রোববার উপাচার্যের সভাকক্ষে রাজনৈতিক ও সক্রিয় সংগঠনের নেতাদের সঙ্গে অনুষ্ঠিত জকসু ও হল সংসদ নির্বাচন ২০২৫–এর আচরণবিধিবিষয়ক এক মতবিনিময় সভায় ছাত্রদলের নেতারা এমন মন্তব্য করেন।
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদলের সদস্যসচিব শামসুল আরেফিন বলেন, ‘নির্বাচনে যদি কোনো ধরনের অনিয়মের ঘটনা ঘটে, তাহলে আমরা একচুল ছাড় দেব না। আমি প্রতিজ্ঞা করছি, যদি কোনো ধরনের অনিয়ম হয়— কোনো ছাড় হবে না। নির্বাচনের সময় অমোচনীয় কালি ব্যবহার করতে হবে। যদি নির্বাচন কমিশন অমোচনীয় কালি ব্যবহার করতে ব্যর্থ হয়, তাহলে ভোট গ্রহণ বন্ধ থাকবে।’
ভোটের স্বচ্ছতা নিশ্চিত করতে ‘ম্যানুয়ালি’ ভোট গণনার দাবি জানিয়ে শামসুল আরেফিন বলেন, ‘কত ব্যালট ছাপানো হলো, কত ভোট গণনা হলো, কত ব্যালট নষ্ট হলো—এসব তথ্য স্বচ্ছতার সঙ্গে প্রকাশ করতে হবে। কারণ, আমরা ডাকসুতে ব্যালট কেলেঙ্কারির অভিযোগ সম্পর্কে জানি।’
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদলের আহ্বায়ক মেহেদী হাসান অভিযোগ করেন, কেন্দ্রীয় শিক্ষার্থী সংসদ বিধিমালায় এমফিল শিক্ষার্থীদের ভোটার ও প্রার্থী হওয়ার যোগ্যতা না দিয়ে ছাত্রদলকে ‘মাইনাস’ করার একটি মাস্টারপ্ল্যান করা হয়েছে। তিনি বলেন, ‘জকসু গঠন ও পরিচালনা বিধিমালায় বলা হয়েছে, তফসিল ঘোষণার পর নিয়মিত শিক্ষার্থী ভোটার কিংবা প্রার্থী ছাড়া কেউ বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রবেশ করতে পারবে না। অন্যদিকে এমফিল শিক্ষার্থীদের ভোটার ও প্রার্থীর যোগ্যতা না দিয়ে আমাদের মাইনাস করা ছিল মাস্টারপ্ল্যান—আর সেই মাস্টারপ্ল্যান সফল হয়েছে।’
প্রধান নির্বাচন কমিশনার অধ্যাপক মোস্তফা হাসানের সভাপতিত্বে এ মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে উপস্থিত ছিলেন উপাচার্য রেজাউল করিম, প্রক্টর, সিন্ডিকেটের সদস্য, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় শিক্ষার্থী সংসদ ও হল শিক্ষার্থী সংসদ নির্বাচন ২০২৫-এর নির্বাচন কমিশনার এবং বিশ্ববিদ্যালয়ে সক্রিয় বিভিন্ন সংগঠনের নেতারা।