বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) গত আসরের সেরা ক্রিকেটার তিনি। তবুও মেহেদী হাসান মিরাজের জায়গা হয়নি জাতীয় টি-টোয়েন্টি দলে।

অবশ্য জাতীয় দলে সুযোগ না পাওয়াকে এখন ভালো হিসেবেই দেখছেন এই অলরাউন্ডার। কারণ, এ জন্যই যে সুযোগ এলো পাকিস্তান সুপার লিগে (পিএসএল)।

প্রথমবারের মতো ফ্র্যাঞ্চাইজি টুর্নামেন্টে যাচ্ছেন মিরাজ। খেলবেন লাহোর কালান্দার্সের হয়ে। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় বিমানে ওঠার আগে মুখোমুখি হন সংবাদমাধ্যমের।

আরো পড়ুন:

শিবলির সেঞ্চুরিতে বড় পুঁজি গড়ার পথে ইমার্জিং দল

আইপিএলে নতুন ইতিহাসের পাতায় হার্শাল

ঘুরেফিরে আসে টি-টোয়েন্টি দলে না থাকা নিয়ে প্রশ্ন। মিরাজের স্পষ্ট উত্তর, “আমি যদি টি-টোয়েন্টি স্কোয়াডে থাকতাম, তাহলে পিএসএলে খেলা হতো না। আমার কাছে মনে হয়, যেটা হয় ভালোর জন্যই হয়। টি-টোয়েন্টি স্কোয়াডে থাকলে পিএসএল খেলতে যাওয়া সম্ভব হতো না। আমার জন্য একটা সুযোগ তৈরি হয়েছে।”

ব্যাট হাতে ৩৩৫ রানের পাশাপাশি বল হাতে ১৩ উইকেট নিয়ে মিরাজ বিপিএলের সেরা খেলোয়াড় হয়েছিলেন। বিপিএলের সেরা খেলোয়াড়ের জায়গা নেই দলে? এমন প্রশ্নে মিরাজ বল ঠেলে দিলেন নির্বাচকদের দিকে।

“আমি এটা পজিটিভলি নিয়েছি। যারা নির্বাচন করেছেন, তাদের অনেক চিন্তাভাবনা থাকে, অনেক পরিকল্পনা থাকে। আমি এটা পজিটিভলি নিয়েছি।”

“আমার চেয়ে তারা এটা ভালো বলতে পারবেন— তাদের পরিকল্পনা কী। আমার কাছে মনে হয়, তারা যেভাবে চিন্তা করেন, ভালোর জন্যই করেন। দিন শেষে খেলোয়াড়েরও খারাপ লাগে। বিপিএলে ম্যান অব দ্য টুর্নামেন্ট হয়েছিলাম, বেশ কিছু টি-টোয়েন্টিতে ভালোও করেছিলাম। ঠিক আছে, মেনে নিতে হয়— ক্রিকেটে অনেক সময় অনেক কিছুই হয়। আমি পজিটিভলি নিয়েছি বিষয়টা।”

পিএসএলে মিরাজের দলে আছেন সাকিব আল হাসানও। সবশেষ ভারতের মাটিতে একসঙ্গে খেলেছিলেন দুজন। এর মধ্যে পিএসএল নিয়ে মিরাজকে অভিনন্দনও জানিয়েছেন সাকিব।

“অবশ্যই ভালো লাগছে। সাকিব ভাইয়ের সঙ্গে ভারতে খেলেছিলাম। তারপর আর খেলা হয়নি, দেখাও হয়নি। এক দলে খেলব— এটা খুবই ভালো লাগছে।”

মিরাজের দল লাহোর এখন নকআউটে। তার চাওয়া পারফর্ম করে দলকে সেরাটা দেওয়া। “সত্যি কথা বলতে, পিএসএলের মতো এমন একটি টুর্নামেন্টে খেলতে যাচ্ছি, যেখানে কোয়ার্টার ফাইনাল খেলা— যদি পারফর্ম করতে পারি, ম্যাচ জেতাতে পারি, অবশ্যই ভালো লাগবে।”

ঢাকা/রিয়াদ/আমিনুল

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর প এসএল ব প এল

এছাড়াও পড়ুন:

মেসির জোড়া গোলে জিতলো মায়ামি

প্রথমার্ধে ভুলে ভরা এক শুরু। তারপর ধীরে ধীরে নিজের চেনা রূপে ফিরে এলেন লিওনেল মেসি। আর মেসি ফিরতেই যেন ইন্টার মায়ামিও ফিরে পেল তার হারিয়ে যাওয়া ছন্দ। মন্ট্রিয়েলের মাঠে গোল খেয়ে পিছিয়ে পড়া দলটি পরে রীতিমতো ঝড় তুলে প্রতিপক্ষের জালে এক হালি বল পাঠাল। স্থানীয় সময় রোববার রাতে সাপুতো স্টেডিয়ামে তারা ম্যাচ জিতেছে ৪-১ ব্যবধানে।

প্রথমে ভুল, পরে ভুলভাঙা; মেসির এই দ্বৈত অধ্যায়েই লেখা হলো ইন্টার মায়ামির দারুণ প্রত্যাবর্তনের কাহিনি। ম্যাচের ১৩ মিনিটে এক অপ্রত্যাশিত ব্যাকপাস থেকে গোল খেয়ে বসে মায়ামি। সেই সুযোগ কাজে লাগান মন্ট্রিয়েলের ঘানার ফরোয়ার্ড প্রিন্স ওইউসু। গোটা ডাগআউট তখন হতাশায় ডুবলেও মেসির চোখে তখন শুধুই প্রতিশোধের ঝিলিক।

৩৩ মিনিটে মেসির নিখুঁত পাস থেকে গোল করে সমতা ফেরান তাদেও আলেন্দে। এর ঠিক সাত মিনিট পর ডি-বক্সে বল পেয়ে বাঁ পায়ের বাকানো শটে মেসি নিজেই দলকে এগিয়ে দেন। পেছনে ছিলেন পুরনো সতীর্থ লুইস সুয়ারেজ। যার পাস থেকে গোলের পথ রচনা হয়।

আরো পড়ুন:

চার বছরের অপেক্ষার অবসান: বার্সার কাছ থেকে বকেয়া পাচ্ছেন মেসি

মেসি যাদুতে মায়ামির দারুণ জয়

বিরতির পর যেন আরও আক্রমণাত্মক হয়ে ওঠে মায়ামি। ম্যাচের ৬০ মিনিটে আলেন্দের পাস থেকে সেগোভিয়া গোল করে ব্যবধান ৩-১ করেন। এর এক মিনিট পর মঞ্চায়িত হয় পুরো ম্যাচের সবচেয়ে আলোড়ন তোলা মুহূর্তটি। একক নৈপুণ্যে প্রতিপক্ষের পাঁচ ডিফেন্ডারকে কাটিয়ে অসাধারণ ফিনিশিংয়ে নিজের দ্বিতীয় এবং দলের চতুর্থ গোলটি করেন আর্জেন্টাইন মহাতারকা। গোলটি ছিল কেবল একটি স্কোর নয়, বরং তা ছিল একটা বার্তা; মেসি এখনো থেমে যাননি, ফুরিয়ে যাননি, থামার মতোও কিছু ভাবছেন না।

ম্যাচজুড়ে মায়ামি বল দখলে এগিয়ে ছিল (৫৮%) এবং তাদের নেয়া ১৫ শটের ১০টিই ছিল লক্ষ্যে। অন্যদিকে মন্ট্রিয়েলও কম লড়েনি। তারা নেয় ১৩টি শট, যার মধ্যে ৮টি ছিল অন টার্গেট। কিন্তু শেষ হাসি হেসেছে সেই দলই, যাদের দলে খেলেন মেসি।

এই জয়ে মায়ামির সংগ্রহ দাঁড়াল ১৭ ম্যাচে ৩২ পয়েন্ট। এমএলএস ইস্টার্ন কনফারেন্সে তারা উঠে এসেছে ষষ্ঠ স্থানে। শীর্ষে আছে ২১ ম্যাচে ৪২ পয়েন্ট পাওয়া সিনসিনাটি।

ঢাকা/আমিনুল

সম্পর্কিত নিবন্ধ