চাঁদা না দেওয়ায় মারধরের পর ‘থুতু চাটালেন’ সাবেক ছাত্রদল নেতা
Published: 21st, May 2025 GMT
চাঁদা দিতে অস্বীকার করায় মানিকগঞ্জে অন্তর মিয়া নামে এক সিএনজিচালিত অটোরিকশার চালককে মারধরসহ অন্যের থুতু চাটাতে বাধ্য করার অভিযোগ উঠেছে ছাত্রদলের সাবেক নেতা মো. নবীনের বিরুদ্ধে। গত সোমবার দুপুরে মানিকগঞ্জ বাসস্ট্যান্ড এলাকায় সাবেক ছাত্রদল নেতার ব্যক্তিগত অফিসে এ ঘটনা ঘটে।
অন্তর মিয়া মানিকগঞ্জ সদর উপজেলা গড়পাড়া ইউনিয়নের বাঙ্গালা গ্রামে বাবু মিয়া ছেলে। তিনি মানিকগঞ্জ বাসস্ট্যান্ড থেকে মানিকগঞ্জ-সিংগাইর-হেমায়েতপুর আঞ্চলিক সড়কে অটোরিকশা চালান।
অন্তর মিয়া অভিযোগ করেন, ‘মাঝে মধ্যেই আমার কাছে নবীনের লোকজন চাঁদা দাবি করে। সবশেষ ১৫ দিন আগে ১০ হাজার টাকা দাবি করে নবীন। টাকা দিতে অস্বীকার করায় মোবাইল ফোনে কল করে গালাগালি করে সে। পরে ১৮ মে কল করে অফিসে দেখা করা কথা বলে। ১৯ মে দুপুরে অটোরিকশার মালিক ওমরকে সঙ্গে নিয়ে নবীনের অফিসে গেলে ১০ হাজার টাকা দাবি করে। টাকা দিতে অস্বীকার করায় নবীন ও তার লোকজন রড দিয়ে পিটিয়ে আমাকে আহত করে। একপর্যায়ে অন্যের থুতু চাটাতে বাধ্য করে। এ সময় ওমর আমার হয়ে ক্ষমা চায় ও চাঁদা দিতে রাজি হয়। আড়াই ঘণ্টা পর সেখান থেকে ছাড়া পেয়ে হাসপাতালে ভর্তি হই।’
ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী ওমর ফারুক বলেন, ‘নবীনের অফিসে অন্তরকে দুই ঘণ্টার বেশি আটকে রেখে মারধর করা হয়েছে। তাদের হাতে-পায়ে ধরে মাপ চেয়েছি। তবু তারা অন্তরকে মারধর করাসহ অন্যের থুতু চাটতে বাধ্য করে। তাদের বিরুদ্ধে পুলিশের কাছে অভিযোগ দেওয়ার সাহস হচ্ছে না।’
অভিযোগের বিষয়টি অস্বীকার করে মো.
এ বিষয়ে মানিকগঞ্জ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এস এম আমান উল্লাহ বলেন, ‘এ বিষয়ে কোনো অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: ম ন কগঞ জ ম ন কগঞ জ
এছাড়াও পড়ুন:
আবুল হায়াত-দিলারা জামানকে নিয়ে মানসিকভাবে বিপর্যস্ত মানুষের দেখার গল্প
অনেক দিন ধরে টিভি নাটকের গল্পে বাঁকবদল চোখে পড়ছে দর্শকের। তরুণ নির্মাতাদের অনেকেই চেষ্টা করছেন সময়ের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বৈচিত্র্যময় আয়োজন তুলে ধরার। সেই ভাবনা থেকেই এবার তরুণ নির্মাতা হাসিব হোসাইন রাখি নাট্য দর্শকদের সামনে তুলে ধরছেন সম্পর্কের ভিন্ন রকম গল্প। যার শিরোনাম ‘চলো হারিয়ে যাই’।
মানসিকভাবে বিপর্যস্ত কিছু মানুষ জীবনকে নতুনভাবে পরখ করে দেখার ঘটনা নিয়ে রচিত হয়েছে এই নাটকের গল্প।
যেখানে দেখা যায়, অফিস বসের সঙ্গে বনিবনা না হওয়ায় চাকরি ছেড়ে ট্রাভেল অ্যারেঞ্জারের কাজ শুরু করে। প্রথম সফরে তার সঙ্গী হয় সন্তানদের অবহেলার শিকার দুই বৃদ্ধ মিস্টার ও মিসেস হয়দার। আরও যোগ দেয় প্রেমে ইতি টানার আগে শেষবারের মতো ট্রুর করতে আসে পায়েল ও রাফসান নামের দুই তরুণ-তরুণী, অনাথ আশ্রমে বেড়ে ওঠা সানি এবং কাজের স্বীকৃতি না পেয়ে মানসিক যন্ত্রণায় কাতর রেডিও জকি তিথি। তারা সবাই ছুটে চলে কক্সবাজারের উদ্দেশে। সেই সফরেই তারা সবাই আবিষ্কার করে কী কারণে এবং কীভাবে তাদের সম্পর্কের সুতা ছিঁড়ে গেছে। জীবনের উদ্দেশ্য কী? কেমন হওয়া উচিত কাছের মানুষদের সম্পর্ক? এসব প্রশ্নের উত্তর খুঁজে পায় তারা একে অপরের সান্নিধ্যে থেকে।
এমনই কাহিনি নির্মিত ‘চলো হারিয়ে যাই’ নাটকের বিভিন্ন চরিত্রে অভিনয় করেছেন তৌসিফ মাহবুব, তানজিম সাইয়ারা তটিনী, আবুল হায়াত, দিলারা জামান, সালমান আরাফাত, রাফসান শান্ত, মায়া রহমান, বাশার বাপ্পী, শারমিন সুলতানা শর্মী, সাজ্জাদ চৌধুরী প্রমুখ।
ক্যাপিটাল ড্রামা ইউটিউব চ্যানেলে প্রকাশিত এ নাটকটি এরই মধ্যে দর্শক মনোযোগ কেড়ে নেওয়া শুরু করেছে। নাটকটি সব শ্রেণির দর্শকমনে ছাপ ফেলবে বলেও আশা প্রকাশ করেছেন এর নির্মাতা ও অভিনয়শিল্পীরা।