মোস্তাফিজের দিল্লিকে বিদায় করে প্লে-অফে মুম্বাই
Published: 21st, May 2025 GMT
পারল না দিল্লি ক্যাপিটালস। মোস্তাফিজুর রহমানের দিল্লি পারল না বাঁচামরার ম্যাচে মুম্বাই ইন্ডিয়ানসকে হারিয়ে প্লে-অফ খেলার স্বপ্ন বাঁচাতে। মুম্বাইয়ের ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামে আজ স্বাগতিক মুম্বাইয়ের কাছে ৫৯ রানে হেরে প্রথম পর্ব খেলেই বিদায় নিশ্চিত করেছে দিল্লি। আর এই জয়ে চতুর্থ দল হিসেবে প্লে-অফ খেলা নিশ্চিত করল পাঁচবারের চ্যাম্পিয়ন মুম্বাই।
টসে হেরে ব্যাটিং করে ৫ উইকেটে ১৮০ রান তোলে মুম্বাই। রান তাড়ায় দিল্লি অলআউট হয় ১৮.
প্রথম ওভারে ৭, দ্বিতীয় ওভারে ১৫—মুম্বাই বিনা উইকেটে ২২ রান তুলে ফেলার পর মোস্তাফিজের হাতে বল তুলে দিয়েছিলেন দিল্লি অধিনায়ক ফাফ ডু প্লেসি। দ্বিতীয় বলেই রোহিত শর্মাকে ফিরিয়ে আইপিএল ক্যারিয়ারের নিজের ৬২তম উইকেট পেয়ে যান মোস্তাফিজ। ওই ওভারে মাত্র ৩ রান বাংলাদেশের বাঁহাতি পেসার পরের ওভারে দেন ১২ রান। এরপর ১৪তম ওভারে ফিরে ৯ রান দেওয়ার পর ১৮তম ওভারে দেন ৬ রান। সব মিলিয়ে ৪ ওভারে ৩০ রান দিয়ে ১ উইকেট নিয়েছেন মোস্তাফিজ।
মোস্তাফিজ বোলিং কোটা পূর্ণ হওয়ার পর মুম্বাইয়ের স্কোর ছিল ১৩২/৫। সেই দল শেষ ২ ওভারে তোলে ৪৮ রান। নমন ধর ৮ বলে ২৪ রানে ও সূর্যকুমার যাদব ৪৩ বলে ৭৩ রান করে অপরাজিত ছিলেন। মুকেশ কুমার ১৯তম ওভারে দেন ২৭ রান, শেষ ওভারে দুষ্মন্ত চামিরা দিয়েছেন ২১ রান।
রান তাড়ায় শুরু থেকেই নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারাতে থাকে দিল্লি। তৃতীয় ওভারে স্কোর ২০ হতেই ফিরে যান ডু প্লেসি (৬) ও লোকেশ রাহুল (১১)। একপর্যায়ে ৬৫ রানে ৫ উইকেট খোয়ানো দলটির হয়ে সর্বোচ্চ ৩৯ রান করেছেন চারে নামা সামির রিজভি। এ ছাড়া বলার মতো রান করেছেন বিপ্রজ নিগম (২০) ও আশুতোষ শর্মা (১৮)। ১১ নম্বরে ব্যাট করতে নেমে মোস্তাফিজ প্রথম বলেই বোল্ড হয়েছেন যশপ্রীত বুমরার বলে।
মুম্বাইয়ের বাঁহাতি স্পিনার মিচেল স্যান্টনার ৪ ওভারে ১১ রান দিয়ে ও পেসার যশপ্রীত বুমরা ৩.২ ওভারে ১২ রান দিয়ে পেয়েছেন ৩টি করে উইকেট।
উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: উইক ট
এছাড়াও পড়ুন:
যারা সন্ত্রাসে মদদ দেয়, তাদেরও প্রতিরোধ করা হবে
রাজধানীর পুরান ঢাকায় নৃশংসভাবে ব্যবসায়ীকে হত্যা দেশের রাজনৈতিক সংস্কৃতির পশ্চাদ্গামী ধারারই অংশ। এ হত্যাকাণ্ড বিচ্ছিন্ন কোনো ঘটনা নয়। যারা এ ধরনের সন্ত্রাসে মদদ দেয়, তাদেরও প্রতিরোধ করা হবে।
আজ শনিবার বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মশালমিছিল ও সমাবেশ থেকে এ হুঁশিয়ারি দিয়েছেন সংগঠনটির সভাপতি রিফাত রশিদ। মশালমিছিলটি শাহবাগ থেকে রাজু ভাস্কর্য হয়ে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে মিলিত হয়।
এ সময় মিছিল থেকে ‘চাঁদাবাজদের ঠিকানা, এই বাংলায় হবে না’; ‘চাঁদাবাজদের কালো হাত, ভেঙে দাও গুঁড়িয়ে দাও’; ‘দালালি না রাজপথ, রাজপথ রাজপথ’; ‘যেই হাত মানুষ মারে, সেই হাত ভেঙে দাও’ এবং ‘আবু সাঈদ মুগ্ধ, শেষ হয়নি যুদ্ধ’সহ নানা স্লোগান দেওয়া হয়।
সমাবেশে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সভাপতি রিফাত রশিদ বলেন, ‘মিটফোর্ডের হত্যাকাণ্ড বিচ্ছিন্ন কোনো ঘটনা নয়। এটি দেশের রাজনৈতিক সংস্কৃতির পশ্চাদ্গামী ধারারই অংশ, যেখানে ছাত্ররাজনীতিকে চাঁদাবাজি ও খুনের পৃষ্ঠপোষক বানানো হয়েছে। আমরা বিএনপিকে স্পষ্ট করে বলে দিতে চাই, ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের নাম করে যারা সন্ত্রাসে মদদ দেয়, তাদেরও প্রতিরোধ করা হবে।’
রিফাত রশিদ বলেন, ‘অন্তর্বর্তী সরকারের আমলে পুলিশি ব্যবস্থা ও জননিরাপত্তা দেখে মনে হয়, এটি শেখ হাসিনার আমলের পুলিশ। (স্থানীয় সরকার) উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ ফেসবুকে পোস্ট দেন—দেশকে প্রস্তর যুগে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। তিনি সরকারে বসে থেকে কীভাবে এমন কথা বলেন। (ব্যবস্থা নিতে) আপনাদের বাধা কোথায়, আমাদের বলুন। জুলাইয়ের ছাত্র-জনতা এখনো ঘরে ফিরে যায়নি।’
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সাধারণ সম্পাদক হাসান ইনাম বলেন, ‘জুলাইর গণ-অভ্যুত্থান দেখিয়েছে, এ দেশের মানুষ দখলবাজদের বিরুদ্ধে কতটা সোচ্চার হতে পারে। আজ সেই ঐক্য আবার গড়ে তুলতে হবে দলের মুখোশধারী চাঁদাবাজদের বিরুদ্ধে, নিপীড়নের রাজনীতির বিরুদ্ধে। ছাত্রসমাজকে এই সংগ্রামে এক হতে হবে।’
গত বুধবার সন্ধ্যায় পুরান ঢাকার মিটফোর্ড (স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ) হাসপাতালের সামনের সড়কে প্রকাশ্যে নৃশংসভাবে লাল চাঁদ ওরফে সোহাগ (৩৯) নামের এক ভাঙারি পণ্যের ব্যবসায়ীকে হত্যা করে একদল ব্যক্তি। এ ঘটনায় যুবদল, ছাত্রদল ও স্বেচ্ছাসেবক দল থেকে চারজনকে সংগঠন থেকে আজীবনের জন্য বহিষ্কারের কথা জানানো হয়েছে।