নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের ময়মনসিংহের ফুলপুর উপজেলা কমিটির সাবেক সভাপতি দেবাশীষ তালুকদার শুভসহ দুজনকে গণপিটুনি দিয়ে পুলিশে সোপর্দ করেছে ছাত্র- জনতা। অপর ব্যক্তি হলেন— ফুলপুর উপজেলার রূপসী ইউনিয়নের খাসকান্দা গ্রামের আওয়ামী লীগ নেতা আজিজুল ইসলাম।

শুক্রবার (২৩ মে) রাত সাড়ে ৮টার দিকে ফুলপুর পৌরসভার বালিয়া মোড় এলাকায় তাদেরকে আটক করে গণপিটুনি দেওয়া হয়। 

ওই দুজনকে মারধরের একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ছড়িয়ে পড়েছে। ভিডিওতে দেখা গেছে, ছাত্র-জনতা তাদেরকে মারপিট করে টেনে-হিঁচড়ে নিয়ে যায়। এ সময় দেবাশীষ তালুকদার শুভ তাকে ছেড়ে দেওয়ার জন্য কাকুতি-মিনতি করেন।

মারধরের পর তাদেরকে পুলিশে সোপর্দ করা হয়। পুলিশ তাদেরকে প্রথমে ফুলপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায় চিকিৎসার জন্য। অবস্থা গুরুতর দেখে চিকিৎসক তাদেরকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার করেন। 

ফুলপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল হাদি ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেছেন, এ ব্যাপারে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। আমরা দেখছি, ঘটনার সাথে কারা জড়িত। 

দুই নেতাকে মারধরের সময় ছাত্র-জনতার সঙ্গে ছিলেন ময়মনসিংহ উত্তর জেলা যুবদলের সাবেক সহ-সভাপতি এ কে এম আরিফুল হক। 

তিনি বলেছেন, ছাত্রলীগ-আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসীদের মারধরের সময় আমরাও সঙ্গে ছিলাম। তাদের মারধর ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ। 

ঢাকা/মিলন/রফিক

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ম রধর র ত দ রক

এছাড়াও পড়ুন:

পুরুষতান্ত্রিক সমাজ নারীর প্রতিভা বিকশিত হতে দেয় না

সম্প্রতি ব্র্যাক ব্যাংক-সমকাল সাহিত্য পুরস্কার ঘোষণা করা হয়েছে। তরুণ সাহিত্যিক হিসেবে পুরস্কৃত হয়েছেন উম্মে ফারহানা। জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি ভাষা ও সাহিত্য বিভাগের সহকারী অধ্যাপক তিনি। তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় তিনি জানিয়েছেন পুরস্কারপ্রাপ্তির অনুভূতি। সাক্ষাৎকার নিয়েছেন স্বরলিপি

ব্র্যাক ব্যাংক-সমকাল সাহিত্য পুরস্কার পাওয়ায় আপনাকে অভিনন্দন। 

ধন্যবাদ। লেখক হিসেবে এটি আমার প্রথম পুরস্কার। তাই অনুভূতি খুবই নতুন। অবশ্যই আমি অত্যন্ত আনন্দিত। একে নিজের লেখক পরিচয় নিয়ে আরেকটু আত্মবিশ্বাসী হওয়ার ধাপ বলে মনে করছি। 

আপনি প্রথম এই পুরস্কার প্রাপ্তির সংবাদ কীভাবে জানলেন?

‘সমকাল’ থেকে আমাকে ফোন করা হয়েছিল। ৪ জুলাই সন্ধ্যায় ঘোষণা দেওয়ার আগে কাউকে বলার কথা নয়। শুধু পরিবারের লোকজন, মানে আমার বাচ্চারা আর ভাইবোনকে জানিয়েছিলাম।

এই পুরস্কার পাওয়ার বিষয়টি কেমন অর্থ বহন করে?

পুরস্কার মানে এক ধরনের স্বীকৃতি, সম্মান আর অর্থমূল্যটিও নগন্য নয়। আমি পেশায় শিক্ষক, ১৪ বছর চাকরি করার পরেও আমার বেতন এক লক্ষে পৌঁছেনি। কাজেই হঠাৎ এক লাখ টাকা পেয়ে যাওয়া অপ্রত্যাশিত আনন্দ দিয়েছে। এটা অস্বীকার করার উপায় নেই।

আপনি কী লক্ষ্য করেছেন এই পুরস্কারের তরুণ ক্যাটাগরীতে বেশ কয়েকবছর ধরে নারীরা বেশি পুরস্কৃত হচ্ছেন, বিষয়টা কীভাবে দেখছেন?

লক্ষ্য করলে দেখবেন ফিকশনে নারীদের সাফল্য গত কয়েক দশক ধরে ধারাবাহিক হয়ে গেছে সারা বিশ্বেই। নোবেল পেলেন হান কাং, বুকার পেলেন গীতাঞ্জলি শ্রীর পর বানু মুশতাক। এলিফ শাফাক, চিমামান্দা আদিচি ছাড়াও অনেক নারী লেখকদের নাম বলা যাবে যারা খুব ভালো আখ্যান লিখছেন। এখন আর সেই পুরুষ প্রাধান্য জগতের কোথাও নেই। হ্যাঁ, লৈঙ্গিক বৈষম্য রয়েছে, চিরকালই ছিল। কিন্তু সেজন্য সৃজনশীলতাকে তো দমিয়ে রাখা যায় না। পৃথিবীর প্রাচীনতম কবিদের একজন হলেন শ্যাফো, কেমিস্ট্রিতে দুইবার নোবেল পেয়েছেন মেরি কুরি। কোন ক্ষেত্রে আপনি নারীদের অবদান কিংবা প্রতিভার প্রকাশকে অস্বীকার করবেন? এতো দিন আমরা নারীদের দেখিনি কারণ পুরুষতান্ত্রিক সমাজ নারীর প্রতিভা বিকশিত হতে দেয় না।

বেড়ে ওঠার সময় সাহিত্যের অনুকূল পরিবেশ কতটা পেয়েছেন? 

‘সাহিত্যচর্চা’র মতো ভারী কথা আমি ব্যবহার করতে চাই না। আমি লেখালেখি করি স্কুল পাস করার পর থেকেই। মা-বোন-ভাইয়ের কাছ থেকে সবসময় উৎসাহ পেয়েছি। বন্ধু আর সহকর্মীরাও সবসময় লেখালেখির ব্যাপারে সাহস আর অনুপ্রেরণা দিয়েছেন। আমার প্রয়াত স্বামীও আমার প্রথম বইয়ের প্রচ্ছদ এঁকেছিলেন। ৫টি বইয়ের চারটির অথর ফটো তাঁর তোলা। আমি খুবই প্রভাবিত আর অনুপ্রাণিত আমার প্রিয় লেখকদের দিয়ে। অনেকেই আছেন এই তালিকায়। অরুন্ধতী রয়, টনি মরিসন, অমিতাভ ঘোষ, রোহিন্তন মিস্ত্রি, এলিফ শাফাকসহ আরও অনেকের কাজ আমাকে অনুপ্রাণিত করে। 

সাহিত্যের ভাষা বিনির্মাণে কোন বিষয়কে বেশি গরুত্ব দেন?

ভাষা হচ্ছে নদীর মতো, নিজের গতিতে চলে। ভাষার ব্যাপারে প্রুডারি আমার অপছন্দ। কলকাতার চাপিয়ে দেওয়া তথাকথিত শুদ্ধ ভাষায় আমি বিশ্বাসী নই। ভাষাকে হতে হবে লেখকের নিজস্ব। মনে করুন শাহীন আখতারের ‘সখী রঙ্গমালা’, নোয়াখালীর ভাষাই এই উপন্যাসের সৌন্দর্য। আমি ময়মনসিংহের কলোক্যাল প্রায়ই ব্যবহার করি যেখানে দরকার বলে মনে হয়। তাই বলে ঢাকার সেটিঙে লেখা গল্পে ময়মনসিংহের ডায়লগ জোর করে জুড়ে দিই না। এতো গেল প্রমিত আর অপ্রমিতের আলাপ। এ ছাড়াও গদ্যের ভাষায় যা জরুরি বলে মনে করি তা হলো সাবলীলতা। গদ্যের ভাষা অর্গ্যানিক না হলে পড়া মুশকিল।

তারা//

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে ভর্তি পরীক্ষা বর্জনের ডাক ময়মনসিংহ ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজশিক্ষার্থীদের
  • অতিরিক্ত কারা মহাপরিদর্শক হলেন জাহাঙ্গীর কবির
  • ময়মনসিংহে ট্রাকের ধাক্কায় অটোরিকশার ২ যাত্রী নিহত
  • বাস চাপায় শিশুর মৃত্যু, মা-বাবা গুরুতর আহত
  • শ্বাসরোধে হত্যার পর সুফিয়ার লাশ সেপটিক ট্যাংকে ফেলে দেয় রোহান: পুলিশ
  • ময়মনসিংহে ছুরিকাঘাতে যুবক নিহত
  • পুরুষতান্ত্রিক সমাজ নারীর প্রতিভা বিকশিত হতে দেয় না
  • তিন বিভাগে ৪ ঘণ্টায় ৪৪ থেকে ৮৮ মিলিমিটার বৃষ্টি হতে পারে