দেশের পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) ও চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ইস্যু করা নতুন ১০ বছর মেয়াদের ট্রেজারি বন্ডের লেনদেন শুরু হয়েছে। রবিবার (২৫ মে) থেকে উভয় পুঁজিবাজারে ট্রেজারি বন্ডটির লেনদেন শুরু হয়েছে।

ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) ও চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) ওয়েবসাইটে এ তথ্য প্রকাশ করা হয়েছে।

তথ্য মতে, নতুন বন্ডটির নাম হলো- ‘‘10Y BGTB 21/05/2035’’। ডিএসইতে বন্ডটির লেনদেন কোড- ''TB10Y0535'' এবং ডিএসইতে স্ক্রিপ্ট কোড- "88535"। একইভাবে সিএসইতে বন্ডটির লেনদেন কোড- 'TB10Y0535'' এবং সিএসইতে ট্রেডিং আইডি- "50302"।

তথ্য মতে, ‘এ’ ক্যাটাগরিতে ডিএসই ও সিএসই’র ডেবট বোর্ডের অনুমতি সাপেক্ষে বন্ডটির মেয়াদ আগামী ২০৩৫ সালের ২১ মে শেষ হবে। বন্ডটির প্রতি ইউনিটের মূল্য ১০০.

১৯৭৬ টাকা এবং অভিহিত মূল্য ১০০ টাকা। বন্ডের মার্কেট লট ১০০০টি করে। এই বন্ড ১১.৮৮ শতাংশ হারে বছরে ২ বার কুপন প্রদান করবে।

ঢাকা/এনটি/ইভা

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর র ল নদ ন ড এসই স এসই

এছাড়াও পড়ুন:

পুঁজিবাজারে মূলধন কমেছে ৫ হাজার ১৭৮ কোটি টাকা

বিদায়ী সপ্তাহে (১৭ থেকে ২২ মে) দেশের ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) সূচক বাড়লেও চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) পতনে লেনদেন শেষ হয়েছে। এ সময়ে ডিএসই ও সিএসইতে টাকার পরিমাণে লেনদেন বেড়েছে। তবে উভয় পুঁজিবাজারে বিদায়ী সপ্তাহে বাজার মূলধন কমেছে ৫ হাজার ১৭৯ কোটি ৭ লাখ টাকা।

শনিবার (২৪ মে) ডিএসইর সাপ্তাহিক বাজার পর্যালোচনা সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

তথ্য মতে, সপ্তাহের ব্যবধানে ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ৪.১০ পয়েন্ট বা ০.০৯ শতাংশ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪ হাজার ৭৮৫ পয়েন্টে। অপর সূচকগুলোর মধ্যে ডিএসই-৩০ সূচক ৬.৮৮ পয়েন্ট বা ০.৩৯ শতাংশ বেড়ে ১ হাজার ৭৭৭ পয়েন্টে, ডিএসই শরিয়াহ সূচক ৮.০২ পয়েন্ট বা ০.৭৭ শতাংশ বেড়ে ১ হাজার ৪৬ পয়েন্টে এবং ডিএসএমইএক্স সূচক (এসএমই ইনডেক্স) ৩২.৩৬ পয়েন্ট বা ৩.৫৩ শতাংশ কমে দাঁড়িয়েছে ৯১৫ পয়েন্টে।

বিদায়ী সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে বাজার মূলধন দাঁড়িয়েছে ৬ লাখ ৪৯ হাজার ৮৯ কোটি ৯৯ লাখ টাকা। আর বিদায়ী সপ্তাহের আগের সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে ডিএসইর বাজার মূলধন ছিল ৬ লাখ ৪৯ হাজার ৪৮৪ কোটি ৯১ লাখ টাকা। অর্থাৎ সপ্তাহের ব্যবধানে বাজার মূলধন কমেছে ৩৯৪ কোটি ৯২ লাখ টাকা।

বিদায়ী সপ্তাহে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে লেনদেন হয়েছে ১ হাজার ৭২১ কোটি ৮০ লাখ টাকা। আর বিদায়ী সপ্তাহের আগের সপ্তাহে লেনদেন হয়েছিল ১ হাজার ২৯৯ কোটি ৫ লাখ টাকার। অর্থাৎ সপ্তাহের ব্যবধানে ডিএসইতে লেনদেন কমেছে ৪২২ কোটি ৭৫ লাখ টাকা।

বিদায়ী সপ্তাহে ডিএসইতে মোট ৩৯০টি কোম্পানির শেয়ার ও ইউনিটের লেনদেন হয়েছে। কোম্পানিগুলোর মধ্যে দর বেড়েছে ২৩২টির, দর কমেছে ৩৫টির ও দর অপরিবর্তিত রয়েছে ১২৩টির। তবে লেনদেন হয়নি ২৩টির।

অপর পুঁজিবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) বিদায়ী সপ্তাহে সিএসইর সার্বিক সূচক সিএএসপিআই ৯১.৭২ পয়েন্ট বা ০.৬৮ শতাংশ কমে দাঁড়িয়েছে ১৩ হাজার ৩৮৫ পয়েন্টে। সিএসইর অপর সূচকগুলোর মধ্যে সিএসই-৩০ সূচক ০.৭৪ শতাংশ কমে ১১ হাজার ৪১২ পয়েন্টে, সিএসসিএক্স সূচক ০.৮০ শতাংশ কমে ৮ হাজার ১৭৩ পয়েন্টে, সিএসআই সূচক ০.৮৩ শতাংশ কমে ৮৬১ পয়েন্টে এবং এসইএসএমইএক্স (এসএমই ইনডেক্স) ১.৩৭ শতাংশ কমে ১ হাজার ৯৬৬ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে।

বিদায়ী সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে বাজার মূলধন দাঁড়িয়েছে ৬ লাখ ৭৭ হাজার ২০৫ কোটি ৬১ লাখ টাকা। আর বিদায়ী সপ্তাহের আগের সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে সিএসইর বাজার মূলধন ছিল ৬ লাখ ৮১ হাজার ৯৮৮ কোটি ৭ লাখ টাকা। টাকায়। অর্থাৎ সপ্তাহের ব্যবধানে বাজার মূলধন কমেছে ৪ হাজার ৭৮৩ কোটি ১৫ লাখ টাকা।

বিদায়ী সপ্তাহে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে লেনদেন হয়েছে ৫৭ কোটি ৮১ লাখ টাকা। আর বিদায়ী সপ্তাহের আগের সপ্তাহে লেনদেন হয়েছিল ৩৬ কোটি ৪৮ লাখ  টাকা। অর্থাৎ সপ্তাহের ব্যবধানে সিএসইতে লেনদেন কমেছে ৩৬ কোটি ৪৮ লাখ টাকা।

বিদায়ী সপ্তাহে সিএসইতে মোট ৩১৭টি কোম্পানির শেয়ার ও ইউনিট লেনদেনে অংশ নিয়েছে। কোম্পানিগুলোর মধ্যে দর বেড়েছে ১৪৩টির, দর কমেছে ১৪৯টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ২৫টির শেয়ার ও ইউনিট দর।

ঢাকা/এনটি/টিপু

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • পাঁচ বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন সূচক
  • ডিএসইতে সাপ্তাহিক দাম কমার শীর্ষে ফার্স্ট ফিক্সড ইনকাম ফান্ড
  • ডিএসইতে সাপ্তাহিক দাম বাড়ার শীর্ষে সোনারগাঁও টেক্সটাইলস
  • ডিএসইতে পিই রেশিও কমেছে ০.৩৩ শতাংশ
  • পুঁজিবাজারে মূলধন কমেছে ৫ হাজার ১৭৮ কোটি টাকা