পাবলো পিকাসোর নামে শামুকের নতুন প্রজাতি
Published: 27th, May 2025 GMT
শামুকের নতুন আবিষ্কৃত এক প্রজাতির নামকরণ করা হয়েছে বিখ্যাত চিত্রশিল্পী পাবলো পিকাসোর নামে। সম্প্রতি একদল গবেষক থাইল্যান্ডে নতুন এ প্রজাতির শামুকের সন্ধান পেয়েছেন। শামুকটির খোলসের ওপরে ঘূর্ণির ধরন স্বাভাবিক খোলসের অন্যান্য শামুকের চেয়ে বেশি ঘন। মাত্র তিন মিলিমিটার লম্বা এই প্রজাতির শামুকের খোলসে আয়তাকার কোণযুক্ত ঘূর্ণি রয়েছে, যা পাবলো পিকাসোর কিউবিজম ঘরানার ছবির সঙ্গে বেশ মিল রয়েছে। আর তাই শামুকের নতুন প্রজাতির নাম রাখা হয়েছে ‘অ্যানাউচেন পিকাসো’।
গবেষকদের তথ্যমতে, নতুন আবিষ্কৃত প্রজাতির শামুকে খোলসে থাকা গোলাকার ঘূর্ণি অনেকটা পাবলো পিকাসোর কিউবিজম শিল্প শৈলীর অনুরূপ। শামুকটির বাদামি খোলসে ৪ থেকে ৫টি ঘূর্ণি থাকার পাশাপাশি সর্পিল কাঠামোজুড়ে বেশ কয়েকটি অনিয়মিত সাদা রেখা রয়েছে।
সম্প্রতি নতুন প্রজাতির বেশ কয়েকটি শামুকের খোলসে একটি ছোট ছিদ্র পাওয়া গেছে, যা ওপরের বা নিচের দিকে দেখা যায়, যার অর্থ কিছু শামুকের খোলস উল্টো অবস্থায় থাকে। গবেষকেরা খোলসের শেষের ঘূর্ণমান অংশ ও খোলসের ওপরের দিকের অবস্থানের ওপর ভিত্তি করে বিভিন্ন শামুককে আলাদা করেছেন। শামুকের খোলসের আকৃতি, পৃষ্ঠের গঠন ও বিন্যাসের ওপর ভিত্তি করে শামুক শ্রেণীকরণের নতুন একটি পদ্ধতি প্রচলনেরও প্রস্তাব দিয়েছেন তাঁরা।
সূত্র: ইনডিপেনডেন্ট
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: শ ম ক র খ লস র নত ন খ লস র র ওপর
এছাড়াও পড়ুন:
গভীর রাতে ঢাকায় ভূমিকম্প অনুভূত
ভারতের মণিপুর রাজ্যে ৫ দশমিক ২ মাত্রার ভূমিকম্প হয়েছে। এর প্রভাবে ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় কম্পন অনুভূত হয়েছে। তবে এতে কোনো ক্ষয়ক্ষতির খবর পাওয়া যায়নি।
যুক্তরাষ্ট্রের ভূতাত্ত্বিক জরিপ সংস্থা ইউএসজিএস বলছে, মঙ্গলবার দিবাগত রাত ২টা ২৪মিনিটে এ কম্পন অনুভূত হয়। ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থল ছিল সিলেট থেকে ২১৭ কিলোমিটার দূরে ভারতের মনিপুর রাজ্যে। ভূমিকম্প নিয়ে অনেককে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পোস্ট দিতে দেখা যায়।
ভূমিকম্প ও আগ্নেয়গিরিবিষয়ক ওয়েবসাইট ভলকানো ডিসকভারি জানিয়েছে, ভারতের মণিপুর রাজ্যের ইম্ফলের ৩৯ কিলোমিটার (২৪ মাইল) দূরে ৫ দশমিক ২ মাত্রায় ভূমিকম্প অনুভূত হয়েছে। ভূমিকম্পটির উৎপত্তিস্থল ছিল ৪৭ কিলোমিটার (২৯ মাইল) অগভীর, যার কারণে কম্পন বিস্তৃত এলাকাজুড়ে জোরালোভাবে অনুভূত হয়।
ওয়েবসাইটটি আরও জানিয়েছে, ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থল অগভীর হওয়ায় একই মাত্রার গভীর ভূমিকম্পের চেয়ে ভূপৃষ্ঠের কাছাকাছি এর প্রভাব বেশি ছিল।
এর আগে সোমবার দিবাগত রাত ৩টা ২মিনিটে ৩ দশমিক ৪ মাত্রার একটি ভূকম্পন অনুভূত হয়। এর উৎপত্তিস্থল ছিল সিলেট থেকে ২৬৫ কিলোমিটার দূরে মায়ানমারের চিন হাখা অঞ্চলে।