পাগলামি করায় আটকে রাখা হয়েছিল ঘরে, জানালা ভেঙে বেরিয়ে দুজনকে হত্যা
Published: 27th, May 2025 GMT
ময়মনসিংহের ভালুকায় ‘মাদকাসক্ত মানসিক ভারসাম্যহীন’ এক যুবকের বিরুদ্ধে নিজের ভাবি ও প্রতিবেশী এক বীর মুক্তিযোদ্ধাকে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। আজ মঙ্গলবার বিকেল পাঁচটার দিকে উপজেলার ডাকাতিয়া ইউনিয়নের পাঁচগাঁও গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। এ সময় আহত হয়েছেন আরও চারজন।
খবর পেয়ে পুলিশ অভিযুক্তকে আটক করেছে। ওই ব্যক্তির নাম মো.
পুলিশ জানায়, সাইদুল মিয়া পেশায় দিনমজুর। ছোটবেলায় মানসিক ভারসাম্যহীন হলেও চিকিৎসার পর সুস্থ হয়ে ওঠেন। কিন্তু কয়েক বছর ধরে মাদকাসক্ত হয়ে প্রায়ই পাগলামি করতেন। কয়েক দিন ধরে মাত্রাতিরিক্ত পাগলামি শুরু করায় তাঁকে বাড়িতে একটি ঘরে আটকে রাখা হয়েছিল। আজ বেলা সাড়ে তিনটার দিকে ঘরের জানালা ভেঙে বের হয়ে পড়েন সাইদুল মিয়া। কিছুক্ষণ বাইরে ঘোরাঘুরির পর বাড়ির কাছে নিজের বড় ভাই শহীদ মিয়ার স্ত্রী হাফেজা আক্তারকে (৫২) ঘাস কাটার কাঁচি দিয়ে গলা কেটে হত্যা করেন। এরপর বাড়ির উঠানে ধান মাপার কাজ করার সময় একই গ্রামের বীর মুক্তিযোদ্ধা গাজী আশরাফ আলীকে (৭০) কোদাল দিয়ে কোপ দেন। তাঁকে উদ্ধার করে ভালুকা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
এ সময় সাইদুল মিয়ার আক্রমণে একই গ্রামের আবদুস সামাদ (৩৫), সাকিম মিয়া (৩৫), বীর মুক্তিযোদ্ধা আলী শিকদার (৭৫) ও সাইদুলের মামি জেবুন নাহার (৫০) আহত হন। তাঁদের ভালুকা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। খবর পেয়ে ভালুকা মডেল থানার পুলিশ নিহত দুজনের মরদেহ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়। পাশাপাশি এলাকা থেকে অভিযুক্ত সাইদুল মিয়াকে আটক করে থানায় নিয়ে আসে। এ সময় হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত কোদাল জব্দ করা হয়।
ভালুকা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. হুমায়ুন কবীর প্রথম আলোকে বলেন, সাইদুল মিয়া মাদকাসক্ত হয়ে পাগলামি করতেন। দুই–তিন ধরে বেশি পাগলামি করায় তাঁকে ঘরে আটকে রাখা হয়েছিল। কিন্তু আজ ঘরের জানালা ভেঙে বের হয়ে দুটি হত্যাকাণ্ড ঘটান। তাৎক্ষণিকভাবে তাঁকে আটক করা হয়েছে। এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।
উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: উপজ ল
এছাড়াও পড়ুন:
কবি আল মাহমুদের ৯০তম জন্মদিন শুক্রবার
বায়ান্নর ভাষা আন্দোলন থেকে একাত্তর হয়ে রক্তক্ষয়ী জুলাই গণঅভ্যুত্থান, বিপ্লবী এ পথপরিক্রমায় যার কবিতা মুক্তিকামী গণমানুষকে প্রাণীত করেছে, তিনি সবুজের কবি আল মাহমুদ। দ্রোহ, প্রেম, প্রকৃতি ও প্রার্থনার কবি আল মাহমুদের ৯০ তম জন্মদিন শুক্রবার (১১ জুলাই)।
১৯৩৬ সালের এই দিনে ব্রাক্ষ্মণবাড়ীয়ার মৌরাইলে তিনি জন্মগ্রহণ করেন। আর সাহিত্যের ষোলকলা পূর্ণ করে ২০১৯ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি ঢাকায় অমরতার পথে হারিয়ে যান তিনি।
কবি আল মাহমুদের ৯০ তম জন্মদিন উপলক্ষে পৃথক আয়োজনে দিনটি পালন করবেন ভক্ত-অনুরাগীরা।
আরো পড়ুন:
এলিজার নতুন দুই বইয়ের মোড়ক উন্মোচন
তরুণ লেখকদের নিয়ে চন্দ্রিমায় সাহিত্য আড্ডা
এদিন বিকেল ৪টায় রাজধানীর আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটে কবিকে ঘিরে আলোচনা, স্মরণ ও আবৃত্তি অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। কালের কলস ও কালের ধ্বনি আয়োজিত এই অনুষ্ঠানে শিল্প-সাহিত্যের বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত থাকবেন।
একই দিন সকালে ময়মনসিংহ সাহিত্য সংসদ, ময়মনসিংহে আয়োজন করেছে ‘আমাদের আল মাহমুদ’ শীর্ষক সেমিনার।
বাংলা একাডেমি সূত্র জানিয়েছে, কবির জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে জুলাইতে বিশেষ সেমিনারের আয়োজন করা হবে। তবে দিন-তারিখ এখনও নির্ধারিত হয়নি। আর ১২ জুলাই, শনিবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এমবিএ ভবনে বিকেল ৪টায় কবিতা, স্মৃতিচারণ ও আড্ডার আয়োজন করা হয়েছে।
এদিকে, রাষ্ট্রীয়ভাবে কবির জন্মবার্ষিকী পালন না করায় ক্ষোভ জানিয়েছে কবিভক্তরা। তারা জানিয়েছেন, ‘বিগত স্বৈরাচারী সময়ে আল মাহমুদকে তুমুল অবজ্ঞা ও উপেক্ষা করা হয়েছে। জুলাই বিপ্লবে আল মাহমুদের অনেক কবিতা ছাত্র-জনতাকে দারুণভাবে উদ্বুব্ধ করেছে। তিনি বাংলা ভাষার ফসলি জমিনকে জাদুকরী দক্ষতায় উর্বর করে গেছেন। জুলাই বিপ্লবের বর্ষপূর্তি অনুষ্ঠানের পাশাপাশি উচিত ছিল রাষ্ট্রীয়ভাবে তাকে স্মরণ করা। অবিলম্বে কবির লেখনি পাঠ্যপুস্তকে পুনর্বহালসহ কবির সাহিত্য গবেষণায় কবি আল মাহমুদ ইনিস্টিটিউট প্রতিষ্ঠারও দাবি জানানো হয়।
ঢাকা/এসবি