পর্দা নামল চার দিনব্যাপী নিউইয়র্ক বাংলা বই মেলার। সোমবার রাতে নিউইয়র্কের জ্যামাইকা পারফর্মিং আর্টস সেন্টারে ৩৪তম আন্তর্জাতিক এই বাংলা বইমেলায় বিপুলসংখ্যক বইপ্রেমী, লেখক ও প্রকাশকের মিলনমেলা ঘটেছিল।
এ বছরও বই মেলার আয়োজন করে নিউইয়র্ক মুক্তধারা ফাউন্ডেশন। ২৩ মে শুরু হওয়া এই উৎসবে ২৫টিরও বেশি প্রকাশনা সংস্থা অংশগ্রহণ করে এবং তিন হাজারের বেশি নতুন ও পুরাতন বই প্রদর্শিত হয়।
বই মেলায় লেখক আড্ডা, কবিতা পাঠ, আলোচনা সভা, শিশুদের চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা এবং সাংস্কৃতিক সন্ধ্যাসহ নানা কর্মসূচি ছিল। এ আয়োজনে বাংলা সাহিত্যের খ্যাতনামা লেখকরা উপস্থিত ছিলেন এবং পাঠকদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন।
বইমেলা উদ্বোধন করেন লেখক সাদাত হোসাইন। উদ্বোধনী দিনে প্রধান অতিথি ছিলেন বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধকালীন মার্কিন বন্ধু ফিলিস টেইলর। অনুষ্ঠানে আরও ছিলেন- বীর প্রতীক ক্যাপ্টেন (অব.
আরও উপস্থিত ছিলেন- অর্থনীতিবিদ অধ্যাপক ড. রেহমান সোবহান, ভাষাতাত্ত্বিক ও অধ্যাপক গায়ত্রী চক্রবর্তী স্পিভাক ও আন্তর্জাতিক রাজনীতি বিশ্লেষক অধ্যাপক রওনক জাহান, অধ্যাপক ড. শামীম রেজা, লেখক ও সাংবাদিক বিরূপাক্ষ পাল, সমকালের উপদেষ্টা সম্পাদক আবু সাঈদ খান, লেখক ও সাংবাদিক মুস্তাফিজ শফি সহ আরও অনেকে।
মেলার তৃতীয় দিনের উল্লেখযোগ্য ঘটনার মধ্যে ছিল আয়োজক কর্তৃক একাধিক পুরস্কার ঘোষণার খবর। এ বছর নিউইয়র্ক মুক্তধারা-জিএফবি সাহিত্য পুরস্কার পেয়েছেন অধ্যাপক ড. পবিত্র সরকার। তিনি একজন ভারতীয় বাঙালি। তিনি একাধারে ভাষাতাত্ত্বিক পণ্ডিত, সাহিত্যিক, নাট্যসমালোচক, শিক্ষাবিদ ও গবেষক।
এ পুরস্কারের অর্থ মূল্য তিন হাজার ডলার। গতবছর এই পুরস্কার পেয়েছেন কথাসাহিত্যিক শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায়। আমেরিকার নিউজার্সিভিত্তিক ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠান জিএফবি এ পুরস্কারের অনুদান প্রদান করে থাকে।
নিউইয়র্ক মুক্তধারা আজীবন সম্মাননা পেয়েছেন বিশিষ্ট কথাসাহিত্যিক ড. আবদুন নূর।
ছুটির দিন রোববার এবং বইমেলার শেষ দিনে তিল ধারণের জায়গা ছিল না। নতুন বইয়ের অনুষ্ঠান ছাড়াও বিখ্যাত কণ্ঠশিল্পীদের গান শ্রোতাদের গভীর রাত পর্যন্ত মুগ্ধ করে রাখে।
উল্লেখ্য, ২৫ মে রোববার নিউইয়র্ক টাইমসে বইমেলা নিয়ে ‘এ ফেস্টিভাল অব ওয়ার্ডস’ শিরোনামে নিউজ প্রকাশিত হয়েছে। আন্তর্জাতিক বইমেলায় শত শত মানুষের সমাবেশকে পত্রিকাটি আনন্দ-উৎসব হিসেবে চিহ্নিত করেছে।
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: বইম ল ন উইয়র ক ন উইয র ক প রস ক র বইম ল
এছাড়াও পড়ুন:
নাচে-গানে রং ছড়ালেন আদর-পূজা (ভিডিও)
ঈদুল আজহায় মুক্তি পাবে আলোচিত সিনেমা ‘টগর’। তার আগে মুক্তি পেয়েছে সিনেমাটির ‘১০০% দেশি’ শিরোনামে গান। প্রকাশের পরপরই দর্শক-শ্রোতাদের মনে দোলা দিয়েছে গানটির ছন্দ, রঙ আর প্রাণের উচ্ছ্বাস।
রণক ইকরামের কথা এবং কামরুজ্জামান রাব্বি ও কর্ণিয়ার গাওয়া এই গানে মিশে আছে দেশীয় উৎসবের আমেজ। সুরের তালে তাল মিলিয়ে নির্মিত ভিডিওটি যেন বিশুদ্ধ ভিজ্যুয়াল ফিয়েস্তা। গানটির কোরিওগ্রাফি করেছেন হাবিব রহমান। তার দক্ষ পরিকল্পনায় পুরো দৃশ্যপট রূপ নিয়েছে নৃত্যনির্ভর এক জমকালো আয়োজনে।
ভিডিওতে জুটি বেঁধে নাচের ঝড় তুলেছেন অভিনেতা আদর আজাদ ও পূজা চেরি। তাদের সঙ্গে পারফর্ম করেছেন ৭০ জনেরও বেশি পেশাদার নৃত্যশিল্পী, যারা পুরো গানজুড়ে ছড়িয়েছেন বর্ণিলতা ও প্রাণচাঞ্চল্য।
আরো পড়ুন:
২৯ বছরের বড় টাবুর সঙ্গে অন্তঃরঙ্গ দৃশ্য, মুখ খুললেন ইশান
মা হতে যাচ্ছেন ‘কাভি খুশি কাভি গাম’ সিনেমার সেই ছোট্ট পু
আদর আজাদ বলেন, “এমন এনার্জি ভরা গানে পারফর্ম করা এক দারুণ অভিজ্ঞতা। পুরো টিমের টানটান পরিশ্রম আর নিখুঁত কোরিওগ্রাফির কারণেই এমন চোখজুড়ানো দৃশ্য দর্শকদের উপহার দেওয়া সম্ভব হয়েছে।”
এ গানের শুটিংয়ের অভিজ্ঞতা জানিয়ে পূজা চেরি বলেন, “১০০% দেশি’ আমার ক্যারিয়ারের অন্যতম রঙিন কাজ। গানটি করতে গিয়ে এত আনন্দ পেয়েছি, যা দর্শকরাও সহজেই টের পাবেন। কাজটি আমার কাছে সত্যিই বিশেষ।”
আলোক হাসান পরিচালিত ও এআর মুভি নেটওয়ার্কের প্রযোজনা ও পরিবেশনায় নির্মিত হয়েছে ‘টগর’। গানটির এই সাফল্য যেন সিনেমাটিকে আরো একধাপ এগিয়ে দিল ঈদুল আজহার রঙিন উৎসবের দিকে।
ঢাকা/রাহাত/শান্ত