ইতিহাস গড়া থেকে আর মাত্র এক ম্যাচ দূরে পিএসজি। আগামী শনিবার চ্যাম্পিয়নস লিগ ফাইনালে ইন্টার মিলানকে হারাতে পারলেই প্রথমবারের মতো চ্যাম্পিয়নস লিগ জয়ের স্বাদ পাবে প্যারিসের ক্লাবটি। এর মধ্য দিয়ে শুধু ইউরোপিয়ান শ্রেষ্ঠত্বের মুকুটই তারা পাবে না, ঐতিহাসিক ট্রেবল জয়ের মিশনও সম্পন্ন করবে ক্লাবটি।

প্রায় এক দশকের বেশি সময় ধরে চ্যাম্পিয়নস লিগ ট্রফিকে পাখির চোখ করেছে পিএসজি। এ জন্য টাকার বস্তা নিয়ে খেলোয়াড় কেনার বাজারেও নামে তারা। কিন্তু জ্লাতান ইব্রাহিমোভিচ, এদিনসন কাভানি, নেইমার, কিলিয়ান এমবাপ্পে ও লিওনেল মেসির মতো তারকাদের নিয়েও চ্যাম্পিয়নস লিগ জিততে পারেনি পিএসজি। সর্বোচ্চ সাফল্য ২০১৯-২০ মৌসুমে ফাইনালে খেলা।

সেবার বায়ার্ন মিউনিখের কাছে ১-০ গোলে হেরে রানার্সআপ হয়েই সন্তুষ্ট থাকতে হয় পিএসজিকে। তবে এই তারকাদের বিদায়ের পরই এবার নতুন করে ইতিহাস লেখার সম্ভাবনা জাগিয়েছে লুইস এনরিকের দলটি। ফাইনালে ওঠার পথে অসাধারণ ফুটবলও উপহার দিয়েছে তারা। এখন পিএসজির অপেক্ষা শুধু শেষ ধাপটি পেরোনোর।

আরও পড়ুন৬ ম্যাচ হাতে রেখেই অপরাজিত চ্যাম্পিয়ন পিএসজি০৬ এপ্রিল ২০২৫

শেষ কাজটি ঠিকঠাক সম্পন্ন করে দলের খেলোয়াড়দের নতুন ইতিহাস লেখার তাগিদ দিয়েছে পিএসজি কোচ লুইস এনরিকেও। সুবর্ণ এই সুযোগ কোনোভাবেই হাতছাড়া করতে চান না তিনি।

শনিবার কুপ দে ফ্রান্স জিতেছে খিচা পিএসজি.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: চ য ম প য়নস ল গ প এসজ

এছাড়াও পড়ুন:

‘ফিরিয়ে দাও’ থেকে ‘ধূসর সময়’: সিডনিতে একই মঞ্চে মাইলস ও আর্টসেল

সিডনির বসন্তের সন্ধ্যা। লিভারপুলের হুইটল্যাম লেজার সেন্টারের বাইরে তখন লম্বা লাইন—হাতে পতাকা, কাঁধে ব্যাগ, চোখে প্রত্যাশা। সাউন্ডচেকের শব্দ ভেসে আসছে বাইরে। ভেতরে যেন উন্মুখ এক ‘সাগর’, যেখানে মিশে আছে দুই প্রজন্মের মুখ, কণ্ঠ আর স্মৃতি। শনিবার রাতটি হয়ে উঠেছিল প্রবাসী বাঙালিদের জন্য এক ব্যতিক্রমী উৎসব—বাংলাদেশের ব্যান্ড সংগীতের দুই যুগের দুই প্রতীক, মাইলস ও আর্টসেল; প্রথমবারের মতো একই মঞ্চে গান করল সিডনিতে।
‘গ্রিনফিল্ড এন্টারটেইনমেন্ট’ আয়োজিত এই ‘মিউজিক ফেস্ট’ ঘিরে প্রবাসী বাংলাদেশিদের মধ্যে যে উচ্ছ্বাস তৈরি হয়েছিল, তা যেন উপচে পড়ল সেই রাতে। টিকিট বিক্রি শুরু হওয়ার পরপরই সব শেষ। অনুষ্ঠান শুরুর ঘণ্টাখানেক আগে থেকেই সিডনির দক্ষিণ-পশ্চিম উপশহর লিভারপুলের রাস্তাগুলো ভরে গেল গানের ভক্তে।

আয়োজনের আগে ভিডিও বার্তায় মাইলস জানায় তাদের উচ্ছ্বাস। ব্যান্ডের অন্যতম সদস্য হামিন আহমেদ বলেন, ‘সিডনি বরাবরই আমাদের কাছে বিশেষ কিছু। সম্ভবত ১৯৯৬ সালে আমরাই প্রথম বাংলাদেশি ব্যান্ড হিসেবে অস্ট্রেলিয়ায় পারফর্ম করি। এরপর এ নিয়ে অন্তত পঞ্চমবারের মতো সিডনিতে এলাম। এখানকার দর্শকদের ভালোবাসা সব সময়ই অবিশ্বাস্য।’

তিনি আরও বলেন, ‘আমরা জানতাম এটি স্মরণীয় একটি আয়োজন হতে যাচ্ছে। আমরা চেয়েছি সবাই একসঙ্গে গাইবে, চিৎকার করবে—ভক্তরা সেটাই করেছেন।’ গিটারিস্ট তুজো যোগ করেন, ‘অস্ট্রেলিয়ার পাঁচটি শহরে ট্যুর করছি, কিন্তু সিডনির আবহ একেবারেই আলাদা। দর্শকেরা আমাদের রাতটিকে স্মরণীয় করে দিয়েছেন।’

মঞ্চে আর্টসেল

সম্পর্কিত নিবন্ধ