বাংলা সাহিত্যের বিদ্রোহী কবি নজরুল ইসলামের কবিতা সব আন্দোলনে প্রতিবাদের ভাষা হয়ে ওঠে বলে মন্তব্য করেছেন বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক ড. মোহাম্মদ আজম।

তিনি বলেছেন, “যখনই দেশে বিপ্লব, আন্দোলন কিংবা সংগ্রাম হয়েছে, নজরুলের গান-কবিতা তখন হয়ে উঠেছে প্রতিবাদের ভাষা। ব্রিটিশবিরোধী আন্দোলন থেকে শুরু করে স্বাধীনতা সংগ্রাম— সবখানেই নজরুল মানুষকে উজ্জীবিত করেছেন। তার সৃষ্টিকর্ম নিপীড়িত মানুষের অধিকার আদায়ের পথ দেখিয়েছে।”

মঙ্গলবার (২৭ মে) বিকেলে কুমিল্লায় কবি কাজী নজরুল ইসলামের ১২৬তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে তিন দিনব্যাপী জাতীয় জন্মোৎসবের সমাপনী অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। কুমিল্লা জেলা শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে তিনি প্রধান আলোচক ছিলেন।

আরো পড়ুন:

বইমেলায় বাংলা একাডেমির ‘গুণিজন স্মৃতি’ পুরস্কার ঘোষণা

একুশে ফেব্রুয়ারি ‘রাষ্ট্রভাষা দিবস’ হিসেবে পালন করা উচিত

কুমিল্লা জেলা প্রশাসক মো.

আমিরুল কায়ছারের সভাপতিত্বে এতে বিশেষ অতিথি ছিলেন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রাশেদুল হক চৌধুরী, সিভিল সার্জন ডা. আলী নূর মোহাম্মদ বশির আহমেদ এবং অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) পঙ্কজ বড়ুয়া। আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নজরুল গবেষক শান্তিরঞ্জন ভৌমিক। 

অন্যদের মাঝে আরো উপস্থিত ছিলেন, জেলা কালচারাল অফিসার ফয়েজ উল্লাহ, কবি নজরুল ইনস্টিটিউট কেন্দ্র কুমিল্লার দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. আল আমিন, নজরুল গবেষক আলী হোসেন চৌধুরী এবং ইতিবৃত্ত, অভয়চরণ, যাত্রী, সুরছন্দসহ বিভিন্ন সাংস্কৃতিক সংগঠনের প্রতিনিধিরা।

আলোচনা পর্ব শেষে সাংস্কৃতিক পরিবেশনায় অংশ নেয় জেলা শিল্পকলা একাডেমি, কুমিল্লার কবি নজরুল ইনস্টিটিউট কেন্দ্র, জাসাস, ইতিবৃত্ত, অভয়চরণ, সুরছন্দসহ স্থানীয় সাংস্কৃতিক সংগঠনগুলো।

ঢাকা/রুবেল/মেহেদী

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ব ল এক ড ম ক জ নজর ল ইসল ম এক ড ম নজর ল

এছাড়াও পড়ুন:

রাকসু নির্বাচন: ভোটগ্রহণ শুরু

প্রায় ২০ দিনের প্রচার শেষে আজ বৃহস্পতিবার (১৬ অক্টোবর) সকাল ৯টা থেকে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (রাকসু), হল সংসদ ও সিনেটের ছাত্র প্রতিনিধি নির্বাচনের ভোট গ্রহণ শুরু হয়েছে।

এর আগে মঙ্গলবার (১৪ অক্টোবর) রাত ১২টায় প্রার্থীদের প্রচার প্রচারণা শেষ হয়। এখন ভোটের মাধ্যমে পছন্দের প্রতিনিধি বেছে নেওয়ার অপেক্ষায় দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম এই বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।

আরো পড়ুন:

চাকসুর ভিপি-জিএস শিবিরের, এজিএস ছাত্রদলের

চাকসু নির্বাচন: ভিপি, জিএস, এজিএস পদে ১৫ কেন্দ্রে এগিয়ে যারা

বিশ্ববিদ্যালয় পরিচালনায় ছাত্র প্রতিনিধিত্বের শূন্যতা নিয়ে রাবির কেটে গেছে ৩৫ বছর; অবশেষে সেই খরা কাটতে চলেছে। নির্বাচিত রাকসু পেতে যাচ্ছে দেশের উত্তর-দক্ষিণাঞ্চলের সবচেয়ে বড় এই বিশ্ববিদ্যালয়।

এদিকে, ভোট গ্রহণকে কেন্দ্র করে সব ধরনের প্রস্তুতি শেষ করেছে রাকসুর নির্বাচন কমিশন। ভোট ও ফলাফল ঘিরে বিশেষ নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। মোতায়েন করা হয়েছে দুই হাজার পুলিশ সদস্য, ছয় প্লাটুন বিজিবি ও ১২ প্লাটুন র‍্যাব। 

ক্যাম্পাসের গেটগুলোতে নিরাপত্তা বাড়ানো হয়েছে। ভোটের দিন বৃহস্পতিবার এবং আগে ও পরের দুই দিন ক্যাম্পাসে বহিরাগত প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে রাবি প্রশাসন।

এবার রাকসু নির্বাচনে মোট ভোটার ২৮ হাজার ৯০১ জন। এর মধ্যে ছাত্রী ১১ হাজার ৩০৫ জন এবং ছাত্র ভোটার ১৭ হাজার ৫৯৬ জন।

রাকসুর ২৩টি পদের বিপরীতে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন ২৪৭ জন, যার মধ্যে নারী ২৬ জন। সিনেটে ছাত্র প্রতিনিধির পাঁচটি পদে ৫৮ জন এবং হল সংসদের ১৫টি পদে ১৭টি হলে ৫৯৭ প্রার্থী লড়াই করছেন। 

প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীদের এই সংখ্যা রাকসু নির্বাচনের ইতিহাসে সর্বাধিক। এর মধ্যে ভিপি পদে ১৮, জিএস পদে ১৩ এবং এজিএস পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন ১৬ জন। বাকি ২০টি পদে ২০০ জন লড়াই করছেন।

৯টি ভবনে ১৭টি কেন্দ্রের ৯৯০টি বুথে প্রত্যেক ভোটারের রাকসু ও হল সংসদের মোট ৪৩টি পদে নিজের পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দেওয়ার সুযোগ থাকছে।

ঢাকা/ফাহিম/এস

সম্পর্কিত নিবন্ধ