আখাউড়া-আগরতলা ডুয়েলগেজ রেলসংযোগ নির্মাণ ব্যয় বাড়ল ৯ কোটি টাকা
Published: 27th, May 2025 GMT
আখাউড়া-আগরতলা ডুয়েলগেজ রেল সংযোগ নির্মাণের ব্যয় ৯ কোটি ১৪ লাখ ৬২ হাজার ৯৫৩ টাকা বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। সেই সঙ্গে জয়দেবপুর-ঈশ্বরদী সেকশনের ডুয়েলগেজ ডাবল লাইন নির্মাণ সংক্রান্ত কারিগরি সহায়তা প্রকল্পের আওতায় ১৪১ কোটি ৩ লাখ ৬১ হাজার ৮০০ টাকায় পরমর্শক নিয়োগ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
মঙ্গলবার (২৭ মে) সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সম্মেলন কক্ষে অর্থ উপদেষ্টা ড.
বৈঠক সূত্রে জানা গেছে, রেলপথ মন্ত্রণালয় থেকে ‘আখাউড়া-আগরতলা ডুয়েলগেজ রেল সংযোগ নির্মাণ (বাংলাদেশ অংশ) প্রথম সংশোধিত’ প্রকল্পের একটি প্যাকেজের পূর্ত কাজের দ্বিতীয় ভেরিয়েশনের প্রস্তাব নিয়ে আসা হলে সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটি প্রস্তাবটি অনুমোদন দিয়েছে।
জানা গেছে, ২০১৮ সালের ১১ এপ্রিল সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির অনুমোদনে ‘আখাউড়া-আগরতলা ডুয়েলগেজ রেল সংযোগ নির্মাণ (বাংলাদেশ অংশ)’ প্রকল্পের প্যাকেজ ডব্লিউডি-১ এর পূর্ত কাজ ২৪০ কোটি ৯০ লাখ ৬৩ হাজার ৫০১ টাকায় টেক্সম্যাকো রেল অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং লিমিটেড থেকে ক্রয়ের চুক্তি করা হয়।
পরবর্তীতে প্রথম ভেরিয়েশনে চুক্তিমূল্য কমিয়ে ২২৬ কোটি ৭৩ লাখ ৫৩ হাজার ৫৩৮ টাকা করা হয়। কিন্তু দ্বিতীয় ভেরিয়েশনে ১৫টি নন-সিডিউল আইটেম যুক্ত হওয়ায় অতিরিক্ত ৯ কোটি ১৪ লাখ ৬২ হাজার ৯৫৩ টাকা ব্যয় বৃদ্ধির প্রয়োজন পড়ে। তার প্রেক্ষিতেই এই ব্যয় বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
এই প্রকল্পের মেয়াদ ২০১৬ সালের ১ জুলাই থেকে ২০২৫ সালের ৩০ জুন পর্যন্ত। চলতি বছরের এপ্রিল পর্যন্ত প্রকল্পের ভৌত অগ্রগতি হয়েছে ৯৯ দশমিক ৫০ শতাংশ। আর আর্থিক অগ্রগতি হয়েছে ৮০ দশমিক ৫০ শতাংশ।
এদিকে ‘বাংলাদেশ রেলওয়ের জয়দেবপুর-ঈশ্বরদী সেকশনের ডুয়েলগেজ ডাবল লাইন নির্মাণ (প্রকৌশল সেবা) সংক্রান্ত কারিগরি সহায়তা’ প্রকল্পের আওতায় পরামর্শক প্রতিষ্ঠান নিয়োগের ক্রয় পস্তাব দেয় রেলপথ মন্ত্রণালয়। এই প্রস্তাবটিও অনুমোদন দিয়েছে সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটি।
জানা গেছে, ‘বাংলাদেশ রেলওয়ের জয়দেবপুর-ঈশ্বরদী সেকশনের ডুয়েলগেজ ডাবল লাইন নির্মাণ (প্রকৌশল সেবা) সংক্রান্ত কারিগরি সহায়তা’ প্রকল্পের আওতায় পরামর্শক সেবা ক্রয়ের জন্য সংক্ষিপ্ত তালিকাভুক্ত ৩টি প্রতিষ্ঠানের নিকট রিকুয়েস্ট ফর প্রপোজাল ইস্যু করা হলে ৩টি প্রতিষ্ঠানই কারিগরি ও আর্থিক প্রস্তাব দাখিল করে।
তিনটি প্রস্তাব কারিগরিভাবে যোগ্য বিবেচিত হয়। প্রস্তাবের সব প্রক্রিয়া শেষে পিইসির নেগোসিয়েশনের মাধ্যমে সুপারিশ করা সর্বোচ্চ স্কোর অর্জনকারী দরদাতা প্রতিষ্ঠান যৌথভাবে ওসিজি, সিএইচওডিএআই, জেআইসি, এসএমইসি, এসিই এবং ডিডিসি-কে ১৪১ কোটি ৩ লাখ ৬১ হাজার ৮০০ টাকায় প্রকল্পের পরামর্শক প্রতিষ্ঠান হিসেবে নিয়োগের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
প্রকল্পটি একনেক থেকে অনুমোদিত হয় ২০২৩ সালের ৩১ অক্টোবর। এর মেয়াদ ধরা হয়েছে ২০২৩ সালের ১ জুলাই থেকে ২০২৫ সালের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত।
ঢাকা/হাসনাত/সাইফ
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর প রকল প র প রস ত ব উপদ ষ ট অন ম দ মন ত র সরক র
এছাড়াও পড়ুন:
আলোনসো যেভাবে রিয়ালকে ভয়ংকর এক দল বানালেন
সব ম্যাচ এক রকম হয় না। কিছু ম্যাচ শুধু জয়-পরাজয়ের হিসাব দেয় না, একটা নতুন অধ্যায়ের সূচনা করে। সেই ম্যাচের পর মনে হয়, দলের ভেতরে কিছু একটা বদলে গেছে। লা লিগায় এই মৌসুমের প্রথম এল ক্লাসিকো ছিল তেমনই এক ম্যাচ। রিয়াল মাদ্রিদ সে জয়টা উদ্যাপন করেছিল দারুণভাবে। যদিও সেটা কোনো শিরোপা জেতার ম্যাচ ছিল না। বড় ব্যাপার হলো, এমন জয়েও রিয়ালের মধ্যে আত্মতুষ্টি চলে আসেনি। বরং আরও লড়াই চালিয়ে যেতে উজ্জীবিত করেছে।
এল ক্লাসিকোর পর রিয়াল গতকাল রাতে মাঠে নেমেছিল ভ্যালেন্সিয়ার বিপক্ষে। এই ম্যাচেও জাবি আলোনসোর দল দেখিয়েছে একই তীব্রতা, শৃঙ্খলা আর জয়ের ক্ষুধা। সব মিলিয়ে এটা সম্ভবত আলোনসোর অধীনে রিয়ালের অন্যতম সেরা পারফরম্যান্স। কারণ, এই জয় শুধু ভালো খেলার নয়, দলের মানসিকতা ও কাঠামোগত পরিবর্তনের প্রতীকও।
চলতি মৌসুমে এখন পর্যন্ত ১৪ ম্যাচের ১৩টিতে জিতেছে রিয়াল। লিগে ১১ ম্যাচের মধ্যে জয় ১০টিতে, চ্যাম্পিয়নস লিগে তিনের তিনটিতেই। এর মধ্যেই নিজেদের আলাদা একটা পরিচয় তৈরি করে ফেলেছে আলোনসোর রিয়াল।
আরও পড়ুনএমবাপ্পের আরেকটি গোল, নাম লেখালেন ডি স্টেফানো, রোনালদোদের পাশে ২০ অক্টোবর ২০২৫শুধু কৌশলগত দিক থেকেই নয়, দার্শনিক ও মানসিক দিক থেকেও দলে পরিবর্তন আনতে পেরেছেন এই স্প্যানিশ কোচ। খেলোয়াড়রা এখন মাঠে আরও স্বতঃস্ফূর্ত, গতিময় এবং আত্মবিশ্বাসী। খেলোয়াড়েরা পরস্পরের সঙ্গে বোঝাপড়ায়ও যেন আগের চেয়ে আরও পরিণত। ফলাফল, রিয়াল এখন এমন এক দল, যারা প্রতিপক্ষকে দমিয়ে রাখার পাশাপাশি নিজেদের পরিকল্পনাও নিখুঁতভাবে বাস্তবায়ন করতে পারে।
এমবাপ্পে ও বেলিংহামের উদ্যাপন