সম্প্রতি গণমাধ্যমে প্রকাশিত ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের প্রশাসক তার এক বক্তব্যে জানান যে, আসন্ন ঈদুল আজহায় কোরবানির পশুর বর্জ্য ব্যবস্থাপনা এবং ডেঙ্গু মশা নিয়ন্ত্রণের দায়িত্বে সেনাবাহিনী নিয়োগ করা হবে।

মঙ্গলবার (২৭ মে) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি নিয়ে অবস্থান স্পষ্ট করেছে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী।

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সবার অবগতির জন্য  জানানো যাচ্ছে-বাংলাদেশ সেনাবাহিনী এ ধরনের কোনো কার্যক্রমের বিষয়ে অবগত নয় এবং ভবিষ্যতেও এ ধরনের কোনো কার্যক্রমের সাথে সম্পৃক্ত হওয়ার পরিকল্পনা নেই।

আরো পড়ুন:

‘শীর্ষ সন্ত্রাসীদের’ কাছে মিলল অস্ত্র, গুলি ও স্যাটেলাইট ফোন

সিরাজগঞ্জে সেনাবাহিনীর চিকিৎসাসেবা

বিজ্ঞপ্তিতে আরো বলা হয়, বর্তমান প্রেক্ষাপটে সেনাবাহিনী দেশের সার্বভৌমত্ব ও জননিরাপত্তা নিশ্চিতে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। এ ধরনের কার্যক্রম পরিচালনার জন্য সংশ্লিষ্ট ও উপযুক্ত সংস্থাসমূহকে দায়িত্ব প্রদান করাই যৌক্তিক বলে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী মনে করে।

ঢাকা/হাসান/সাইফ

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

ঘুমের মধ্যে পায়ের নড়াচড়া

অনেকেই আছেন, ঘুমাতে গেলেই পায়ে চুলকানি বা পিন ফোটানো বা পায়ে কোনো কিছু হাঁটছে বলে অনুভূত করেন। ফলে বারবার পা চুলকাতে, নাড়াচড়া করতে থাকেন। ঘুমে চোখ একটু বন্ধ হয়ে এলেই আবার শুরু হয় একই অনুভূতি। ঘুম থেকে জেগে আবার শুরু হয় পা ঝাড়ামোছা। এমন করতে করতেই কারও কারও রাত কেটে যায়। কারও আবার এসব লক্ষণ অল্প অনুভূত হয়।

সাধারণত রাতে ঘুমাতে গেলে এ সমস্যা বেশি দেখা যায়। এটিকে বলে রেস্টলেস লেগ সিনড্রোম। এটি এক ধরনের  স্নায়ুরোগ। ঘুমের সমস্যাজনিত রোগও বলা যেতে পারে। সাধারণত মাঝবয়সীরা এ রোগে বেশি আক্রান্ত হন। এর মধ্যে নারীরা বেশি আক্রান্ত হন। 

কী কারণে এ রোগ দেখা দেয়, তার কারণ জানা যায়নি। এ রোগে আক্রান্তের অর্ধেকেরই পরিবারে কেউ না কেউ একই সমস্যায় ভোগেন। গবেষণায় দেখা গেছে, কিছু কারণে এ রোগের প্রকোপ বাড়ে বা এ রোগ দেখা দিতে পারে। যেমন– আয়রনের অভাবজনিত রক্তস্বল্পতা, ডায়াবেটিস, কিডনির সমস্যা, পারকিনসন ডিজিজ, পেরিফেরা নিউরোপ্যাথি রোগ ইত্যাদি। কিছু ওষুধ, যেমন– বমির ওষুধ, মানসিক অবসাদের ওষুধ, ঠান্ডা-কাশির ওষুধ সেবনেও এমন হতে পারে। ওষুধ বন্ধ করে দিলে এ সমস্যার সমাধান হয়। কারও কারও গর্ভধারণের শেষ তিন মাসে এ সমস্যা দেখা দিতে পারে। তবে প্রসবের এক মাসের মধ্যে সাধারণত ভালো হয়ে যায়। মদপানেও হতে পারে রেস্টলেস লেগ সিনড্রোম। যদি এমন সমস্যা দেখা দেয়, তাহলে দেরি না করে চিকিৎসকের শরণাপন্ন হোন। 

শুরুতে ওষুধ সেবনে না গিয়ে জীবনযাত্রার কিছু পরিবর্তন, যেমন– নির্দিষ্ট সময়ে ঘুমের অভ্যাস, চা-কফি ও ধূমপান-মদপান পরিহার করা, নিয়মিত ব্যায়াম করা, পায়ের ম্যাসাজ করা, পায়ে গরম বা ঠান্ডা সেঁক দেওয়ার মাধ্যমে নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করা যেতে পারে।

অনেকেই দুশ্চিন্তায় ভোগেন। তাদের স্ট্রেসমুক্ত জীবনে অভ্যস্ত হতে হবে। প্রয়োজনে মানসিক রোগ বিশেষজ্ঞের শরণাপন্ন হোন। দেখা গেছে, মানসিক সমস্যা কেটে গেলে অনেকের এ ধরনের অসুবিধা কেটে যায়। এ রোগের বেশ কয়েক ধরনের চিকিৎসা রয়েছে। 

লেখক: সহকারী অধ্যাপক, ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব নিউরোসায়েন্সেস (নিনস)

সম্পর্কিত নিবন্ধ