সুব্রত বাইন ও মোল্লা মাসুদের তথ্যে হাতিরঝিলে গ্রেপ্তার ‘শুটার’ আরাফাত ও শরিফ
Published: 27th, May 2025 GMT
তালিকাভুক্ত শীর্ষ সন্ত্রাসী সুব্রত বাইন ও মোল্লা মাসুদকে কুষ্টিয়া থেকে গ্রেপ্তারের পর তাঁদের দেওয়া তথ্যমতে ঢাকার হাতিরঝিল থেকে দুজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাঁরা হলেন সুব্রত বাইনের সহযোগী শুটার আরাফাত ও শরিফ। এই সন্ত্রাসীরা স্যাটেলাইট ফোন ব্যবহার করতেন।
আজ মঙ্গলবার বিকেলে ঢাকা সেনানিবাসের অফিসার্স মেসে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানায় আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর)।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, দেশের তালিকাভুক্ত শীর্ষ সন্ত্রাসী সুব্রত বাইন ওরফে ফতেহ আলী ও তাঁর ঘনিষ্ঠ সহযোগী মোল্লা মাসুদ ওরফে আবু রাসেল মাসুদসহ চারজনকে গ্রেপ্তার করেছে সেনাবাহিনী। অভিযানের সময় গ্রেপ্তার ব্যক্তিদের কাছ থেকে ৫টি বিদেশি পিস্তল, ১০টি ম্যাগাজিন, ৫৩টি গুলি এবং একটি স্যাটেলাইট ফোন উদ্ধার করা হয়। গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা স্যাটেলাইট ফোন ব্যবহার করতের বলে জানিয়েছে অভিযানসংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো।
আইএসপিআরের পরিচালক লেফটেন্যান্ট কর্নেল সামি উদ দৌলা সংবাদ সম্মেলনে জানান, সেনাবাহিনীর বিশেষ অভিযানে আজ সকাল ৫টার পর কুষ্টিয়া থেকে গ্রেপ্তার করা হয় সুব্রত বাইন ও মোল্লা মাসুদকে। পরে তাঁদের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে রাজধানীর হাতিরঝিল এলাকা থেকে সুব্রত বাইনের অপর দুই সহযোগী শুটার আরাফাত এবং শরীফকে গ্রেপ্তার করা হয়।
সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, গ্রেপ্তার চারজনের নামে বিভিন্ন থানায় হত্যা, চাঁদাবাজিসহ বিভিন্ন নাশকতামূলক কর্মকাণ্ডের অভিযোগে মামলা রয়েছে। সুব্রত বাইন এবং মোল্লা মাসুদ ‘সেভেন স্টার’ সন্ত্রাসী দলের নেতা এবং তালিকাভুক্ত ২৩ শীর্ষ সন্ত্রাসীদের অন্যতম। সুনির্দিষ্ট গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে আজ সকালে অভিযানটি পরিচালনা করা হয়।
আরও পড়ুনপোশাক কেনাবেচার কথা বলে দেড় মাস আগে ভাড়া নেওয়া হয় বাসাটি১ ঘণ্টা আগেআইএসপিআরের পরিচালক বলেন, গ্রেপ্তার অভিযান দলের কোনো ক্ষয়ক্ষতি ও নাশকতা ছাড়াই অপরাধীদের গ্রেপ্তার করা সম্ভব হয়েছে। সফল এই অভিযান বাস্তবায়নে সেনাবাহিনীর বিভিন্ন ইনফরমেশন, দেশের বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থা এবং বাংলাদেশ পুলিশ অগ্রণী ভূমিকা পালন করে।
লে.
উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: গ র প ত র কর
এছাড়াও পড়ুন:
পবিত্র ঈদুল আজহায় নিরাপত্তা নিশ্চিতে ডিএমপির সমন্বয় সভা
আসন্ন পবিত্র ঈদুল আজহা ঘিরে রাজধানীতে নিরাপত্তা ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় নানা উদ্যোগ নিয়েছে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি)। সোমবার সকালে ডিএমপি সদর দপ্তরে অনুষ্ঠিত এক সমন্বয় সভায় এসব উদ্যোগের বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার শেখ মো. সাজ্জাত আলী।
সভায় ডিএমপি কমিশনার বলেন, পবিত্র ঈদুল ফিতরের মতো এবারও নগরবাসীকে নির্বিঘ্ন ও নিরাপদ ঈদযাত্রা উপহার দিতে হবে। দুর্ঘটনা প্রতিরোধে চালকদের গতি নিয়ন্ত্রণ ও ফিটনেসবিহীন গাড়ি চলাচল বন্ধে কঠোর পদক্ষেপ নিতে হবে। ঈদ আনন্দ যেন কারও জন্য শোকের কারণ না হয়, সে জন্য সবাইকে সতর্ক থাকার আহ্বান জানান তিনি।
ট্রাফিক বিভাগের অতিরিক্ত কমিশনার মো. সরওয়ার জানান, যাত্রীদের নিরাপত্তা নিশ্চিতে ফিটনেসবিহীন গাড়ির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ঢাকার মোটরযান মেরামতকেন্দ্রগুলোতে মোবাইল কোর্ট পরিচালনার কথাও জানান তিনি।
অপরাধ প্রতিরোধ নিয়ে অতিরিক্ত কমিশনার (ক্রাইম অ্যান্ড অপারেশনস) এস এন মো. নজরুল ইসলাম বলেন, অজ্ঞান পার্টি, মলম পার্টি ও ছিনতাইকারীদের দমনে ডিএমপির টহল জোরদার করা হবে। বড় অঙ্কের টাকা বহনের ক্ষেত্রে পুলিশের সহায়তা নেওয়ার আহ্বান জানান তিনি।
সভায় পুলিশের বিভিন্ন ইউনিট, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী, পরিবহন খাতের প্রতিনিধিসহ সংশ্লিষ্ট সরকারি-বেসরকারি সংস্থার কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। নিরাপদ ঈদযাত্রা নিশ্চিতে সমন্বিতভাবে কাজ করার আহ্বান জানানো হয়।